অর্থনীতি
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৮ শতাংশ হবে: আইএমএফ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর আগে গত অক্টোবরে সংস্থাটি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৪ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছিল।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, গণঅভ্যুত্থান, বন্যা এবং কঠোর নীতির কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইএমএফ আরও অনুমান করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মূল্যস্ফীতি বার্ষিক গড় হিসেবে প্রায় ১১ শতাংশ থাকবে। তবে কঠোর নীতি এবং সরবরাহের চাপ কমার ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফের এ সর্বশেষ প্রক্ষেপণ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসের তুলনায় কম।
অক্টোবরে বিশ্বব্যাংক সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়। তার আগে এপ্রিলে এটি ৫.৭ শতাংশ পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছিল।
দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার এ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলজিইডিকে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।
আজ রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজ এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদায়েল সেক নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে রিসাইলেন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চুক্তি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বাস্তবায়ন হওয়া প্রকল্পটি জুন ২০৩০ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর-পরিষেবা বৃদ্ধি করা; নগরগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা; পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসইভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বব্যাংক-এডিবির ১.১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সাপোর্ট অনুমোদন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এডিবি থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সাপোর্ট সহায়তা অনুমোদন করেছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তাও অনুমোদন করেছে।
চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর মধ্যে স্ট্রেনদেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রাম (সাব প্রোগ্রাম ১) শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচিটি প্রণয়ন করা হয়।
বিশ্বব্যাংক গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের অনুকুলে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রম সফলভাবে অর্জন করায় সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রিসাইলেন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংক এ বাজেট সহায়তা দিয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি, বেড়েছে চাল-মুরগির দাম
সরবরাহ কম ও চাহিদা বাড়ার অজুহাতে বাজারে মুরগির দাম খানিকটা বেড়েছে। কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ ও নতুন আলুর দাম। অন্যদিকে, দেশে আমনের এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দেশে আমনের ভরা মৌসুম হলেও গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে খুচরা পর্যায়ে সরু চালের দাম কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা আরও বলেন, চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি হওয়ায় পণ্য দুটি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় দাম কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট ছিল। ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। তবুও সংকট কাটেনি।
কারওয়ান বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. রোকন বলেন, ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। যা পাচ্ছি, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে সবজির বাজারে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৪০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, পেঁয়াজ ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ধরনভেদে প্রতি কেজি শিম ৪০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এখন মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে থেকে ২৮০ টাকায়। কেজি প্রতি বড় সাইজের চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০ টাকা, কৈ ২০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বব্যাংক থেকে ১১৬ কোটি ডলার পেলো বাংলাদেশ
তিনটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৯২০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য মতে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস বাংলাদেশের জন্য এ ঋণ অনুমোদন দেয়।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবাগুলো উন্নত করন ও সবুজ এবং জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। সবচেয়ে বড় দূষণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রতিটি সেক্টরে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করা এবং দূষণের দুর্যোগ মোকাবিলা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। এই নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশের জনগণের জন্য স্বাস্থ্য, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো উন্নত করবে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার, জলবায়ু সহনশীল এবং টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৫০ কোটি ডলারের ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’ এর মাধ্যমে দেশের সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করার জন্য সংস্কারে সহায়তা করবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক আরও বলে, এ অর্থায়ন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সবুজ এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক হস্তক্ষেপের জন্য জনসাধারণের পরিকল্পনা এবং অর্থায়ন এবং বাস্তবায়নের উন্নতির জন্য নীতি সংস্কারকে সমর্থন করে এবং মূল খাতে পরিষ্কার এবং সম্পদ-দক্ষ উৎপাদন ও পরিষেবার প্রচার করে।
তবে ঋণের পূর্বশর্ত হিসাবে বলা হয়, পরিকল্পনা কমিশন মধ্য-মেয়াদী বাজেট কাঠামোর সঙ্গে একীভূত মূল খাতের জন্য বহু-বছরের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম নির্দেশিকা নিয়েছে।
ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, এ অর্থায়ন বায়ু দূষণ কমাতে, পরিবেশগত প্রয়োগের উন্নতি, কার্বন বাজারে প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে, টেকসই জল ও স্যানিটেশন পরিষেবা উন্নত করতে, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই পরিবেশকে এগিয়ে নিতে নীতিগুলিকে সমর্থন করে। ডেল্টা প্ল্যান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য, পরিকল্পনা বিভাগ ডেল্টা মূল্যায়ন ফ্রেমওয়ার্ক নিয়েছে। অর্থায়ন পরিবেশগত এবং সামাজিক বিবেচনাকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই পাবলিক ক্রয়কে সমর্থন করে। এটি ভবন এবং যন্ত্রপাতিগুলির শক্তি দক্ষতা উন্নত করতে এবং নির্মাণ খাতকে আরও সবুজ হয়ে উঠতে উৎসাহিত করবে।
এছাড়াও ৩৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবায় জনগণের প্রাপ্যতা উন্নত করতে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এটি প্রায় ৫১ লাখ মানুষকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা পরিষেবা দেবে বলে জানানো হয়।
নবজাতকের মৃত্যুহার কমানোর বিষয়ে বলা হয়, এই কর্মসূচি জনস্বাস্থ্য সুবিধায় স্বাভাবিক প্রসব এবং সিজারিয়ান সেকশন ডেলিভারি সব ক্ষেত্রেই জন্মের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমাতে সাহায্য করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, সবচেয়ে বেশি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ মহিলারা পৌঁছেছেন। স্ক্রিনিং এবং উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য অবস্থার চিকিৎসার মতো ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য এই প্রোগ্রামটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের পাশাপাশি, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি ফর উইমেন, চিলড্রেন অ্যান্ড এডলেসেন্টস একটি অনুঘটক ২৫ মিলিয়ন অনুদান প্রদান করছে যাতে শিশু পুষ্টি, কিশোরী স্বাস্থ্য, মানসম্পন্ন মা ও নবজাতকের যত্ন ডেটা ব্যবহার, এবং সমন্বয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ২৮ কোটি ডলারের ‘চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের দশ লাখেরও বেশি মানুষকে নতুন এবং পুনর্বাসিত পাইপ যুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করবে। প্রায় ২ লাখ নতুন পরিবারের পানির সংযোগ তৈরি এবং নিম্ন-আয়ের সম্প্রদায়ের প্রায় ১ লাখ মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন পরিষেবা দেবে প্রকল্পটি। প্রকল্পটি ২০৩৫ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন পরিষেবা প্রদানের জন্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কর ফাঁকি অনুসন্ধানে মাঠে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল
বিগত সরকারের আমলে নানা উপায়ে কর ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তি ও কোম্পানির এ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে কর আদায় ও জরিমানা নির্ধারণে জোর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবিষয়ে কোন কর অঞ্চল কী করছে তা পর্যবেক্ষণে সারাদেশের সব কর অঞ্চল ও ইউনিট পরদর্শন করবে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল-সিআইসির কর্মকর্তারা। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির একেকজন যুগ্ম পরিচালক সাত থেকে আটটি করে কর অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। চলতি মাসের ২১ ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি কর অঞ্চল দুইবার করে পরিদর্শন করবেন এসব কর্মকর্তা।
বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ঢাকায় ২৫টি, চট্টগ্রামে চারটি, দশটি জেলায় দশটি এবং একটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট রয়েছে। এর বাইরে কিছু বিশেষায়িত কর অঞ্চল ও ইউনিট থাকলেও সেগুলোর করদাতাদের রিটার্ন সংশ্লিষ্ট না হওয়ায় সেগুলো এখন পরিদর্শন করা হচ্ছে না।
সব কর অঞ্চলের কমিশনারদের বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের তথ্য দিয়ে ও প্রয়োজনীয় সহায়তার অনুরোধ চাওয়া হয় সিআইসির তরফে।
সিআইসির সুপারিশ ও নির্দেশনায় কর ফাঁকির মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে কর আদায়, জরিমানা ঠিক করাসহ এ কাজ করার দায়িত্ব একজন যুগ্ম পরিচালককে দেওয়া হয়েছে।