পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারী বাড়লেও বিদেশি কমেছে

দেশের পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার যে ধারা চলছে তা এখনো থামেনি। হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চার মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই মিছিল চলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে।
দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলেও হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় তথা দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত চার মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। অবশ্য চলতি বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে শেয়াবাজারে প্রায় ১ লাখ বিও হিসাব কম রয়েছে।
বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ১২ হাজার ৪৫১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে তিনি দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এই সরকারের চার মাস পার হয়েছে। হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিলেও বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৭৪৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৩৩৭টি।
বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা চলছে আরও আগে থেকেই। গত বছরের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এরপর ওই বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টিতে।
এ হিসাবে চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৮ হাজার ৬০৪টি। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ৮ হাজার ৭৬৮টি।
বিদেশিদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও সরকার পতনের পর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৫৮টি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১২ হাজার ৪৭৮টি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও তার আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিও হিসাব কমেছে ৯২ হাজার ১০৫টি।
এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৮৫৪টি।
অপরদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৯২টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ১২০টি।
হাসিনা সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত চার মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৪১৪টি।
বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬টি, যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭টি। অর্থাৎ গত চার মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৮৯টি।
অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ গত চার মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৭১৫টি।

আন্তর্জাতিক
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে পতন

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে, যা মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শনিবার (২১ জুন) ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার সূচকগুলোর মধ্যে ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সামান্য ০.১ শতাংশ বাড়লেও, প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ০.২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রযুক্তি খাতের সূচক নাসডাক কম্পোজিট ০.৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রি দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনে প্রযুক্তি সরবরাহে শর্তাবলী কঠোর করার সম্ভাবনা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ‘ডি-রিস্কিং’ অর্থাৎ ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ করতে শেয়ার বিক্রি করছেন।
৫০ পার্ক ইনভেস্টমেন্টসের বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সারহান বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অব্যাহত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় বিক্রি করছে।”
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও, শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমাতে ব্যাংকগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানি পর্যায়ে, যদিও ক্রোগার ও কারম্যাক্সের মতো কিছু কোম্পানির শেয়ার উন্নতি করেছে, তবুও সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনোবল কমেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অচলাবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়তে পারে, যা পুঁজিবাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে।
পুঁজিবাজার
শ্যামপুর সুগার মিলসের সর্বোচ্চ দরপতন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন -১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে শ্যামপুর সুগার মিলস। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে শ্যামপুর সুগার মিলের দর কমেছে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩৪ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
শীর্ষ দর পতন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৫২ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
শীর্ষ পতন তালিকায় তৃতীয় স্থানে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে আনলিমা ইয়ার্ন। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর কমেছে আরএসআরএম স্টিলের ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, এসইএমএল গ্রোথ ফান্ডের ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ফাস ফাইন্যান্সের ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন-১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাহিন স্পিনিং। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৫ টাকা ৭০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশ গার্মেন্টস। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে লাভেলো আইসক্রীমের ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, স্টাইলক্রাপ্টের ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং অ্যাপেক্স ফুডের ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন-১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকা দ্বিতীয় স্থানে কোম্পানি ছিল বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে অগ্নি সিস্টেমের ৮ কোটি ৩ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টর ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসির ৫ কোটি ০৭ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন থেকে ১৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৯৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৪১ কোটি ১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম