শিল্প-বাণিজ্য
বিজয় দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম।
তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে এই বন্দরে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এদিন যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকবে বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম। তবে দুইদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূইয়া বলেন, মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

শিল্প-বাণিজ্য
প্লাস্টিক শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা চান মালিকরা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে গত দেড় বছরে দেশের প্লাস্টিক খাতের অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় শিল্পটির বিকাশে আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরে রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্কহার টেক্সটাইল শিল্পের মতো ১ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
নতুন অর্থবছর আমদানি যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক সুবিধা চেয়ে সরকারের কাছে ১৫টি সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। তবে বিপিজিএমইএর অভিযোগ, প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক খাতের জন্য করা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো উপেক্ষিত তথা বিবেচনা করা হয়নি।
বিপিজিএমইএ বলছে, প্লাস্টিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসআরও-এর অধীনে আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা দেওয়া হলে অর্থনীতিতে আরও ভালো অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে শুল্ক খাত আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সক্ষম হবে। রপ্তানিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করবে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি সামিম আহমেদ। এসময় বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সামিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক খাত একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে খাতটি কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পাচ্ছে না। নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট জটিলতা অনেক প্রতিষ্ঠানকে নিরুৎসাহিত করছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে বিগত দেড় বছরে প্লাস্টিক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার যদি আমদানি যন্ত্রপাতিতে ১ শতাংশ শুল্ক সুবিধা দেয়, তবে খাতটি আরও প্রতিযোগিতামূলক ও বিকশিত হবে। একই সঙ্গে রপ্তানিও বাড়বে।
বর্তমানে টেক্সটাইল খাতের সংগঠনগুলোর (বিটিএমএ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিএলএমইএ, বিটিটিএলএমইএ, বিটিডিপিএ) সদস্যরা এসআরও নং-১২০-আইন/২০২১/০৯/কাস্টমস অনুযায়ী মাত্র ১ শতাংশ শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির পাশাপাশি মূসক ও অন্যান্য শুল্ক থেকেও ছাড় পাচ্ছে।
বিপিজিএমইএ বলছে, প্লাস্টিক শিল্প একই সুবিধা পেলে এ খাত আরও দ্রুত বিকশিত হবে এবং দেশের রপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের হার প্রথমে ৫ শতাংশ, তারপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাবটি সংশোধন করে মূসক ৫ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করছি। মূসক ১৫ শতাংশ করা হলে তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে।
শিল্প-বাণিজ্য
আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চারদিন বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো. হাসিবুল হাসান ও মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি আগে থেকে দুদেশের ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হয়। তবে ওই সময় বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলা ভারতে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ১০ দিন

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। এই সময়ে চতুর্দেশীয় এই বন্দরের সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ঈদে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সব আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৫ জুন (রোববার) থেকে আমদানি-রপ্তানি যথারীতি চালু হবে। বাংলাবান্ধা কাস্টমস, আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, ঈদে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও ভিসা আর পাসপোর্টধারীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
শিল্প-বাণিজ্য
ঈদে টানা ১০ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর।
সোনাহাট কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম আকমল স্বাক্ষরিত এক পত্রে বন্ধের বিষয়টি জানা গেছে।
এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ জুন স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বন্দর ১০ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে।
সোনাহাট স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৫জুন) থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত মোট ১০ দিন সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৫ জুন থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে।
শিল্প-বাণিজ্য
ঈদে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর

ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। তবে এই সময়ে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন সই করা এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১৪জুন শনিবার পর্যন্ত টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ১৫ জুন রোববার সকাল থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।