খেলাধুলা
বিজয় দিবসে অসাধারণ বিজয় বাংলাদেশের
মহান বিজয় দিবস আজ। বিজয় দিবসের সকালে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে ভেসে এল বিজয়ের আনন্দ। সুদূর ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। এই জয়ে বাংলাদেশ করল চক্রপূরণ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সেন্ট ভিনসেন্টে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৪৩ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকদের ১৪৮ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিকরা এক বল বাকি থাকতেই ১৪০ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাতেই ৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তাসকিন আহমেদকে তুলে মারতে যান ব্র্যান্ডন কিং। মিড অফ থেকে উল্টো দিকে দৌঁড়ে তানজিদ হাসান তামিম দারুণ ক্যাচ ধরেছেন। তাসকিনের মতো শেখ মেহেদী হাসানও নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়া একরকম অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে নিকোলাস পুরানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়া উইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় বাংলাদেশের ওপর। তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে পিটিয়ে ২৫ রান নেয় স্বাগতিকেরা। এই ওভারে জনসন চার্লস ২ ছক্কা ও ১ চার মেরেছেন।
অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা খুইয়েছেন চার্লস। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদীকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন চার্লস। ১২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় চার্লস করেন ২০ রান। তৃতীয় উইকেটে রস্টন চেজের সঙ্গে চার্লস ১৫ বলে ৩১ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন।
এক ওভার বিরতিতে এসে মেহেদী দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা। সপ্তম ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে মেহেদী নিয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও চেজের উইকেট। দুটি উইকেটেই ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৭ রান। স্বাগতিকদের ইনিংসের অর্ধেক হওয়ার আগেই মেহেদী তার নির্ধারিত ৪ ওভার বোলিং করেছেন। ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
নিজের প্রথম ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেলেও তানজিম সাকিব এরপর তার দ্বিতীয় ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। ১১তম ওভারে ২ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। ঠিক তার পরের ওভারে রিশাদ হোসেন নিয়েছেন আরও এক উইকেট। ১১.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৬১ রানে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের ওপর তাণ্ডব। অষ্টম উইকেটে ৩৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েছেন রভমান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ড। উইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েলের এক একটা ছক্কা গ্যালারিতে আছড়ে পড়তেই ক্যারিবীয় সমর্থকেরা করেছেন উল্লাস।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে মেরেছেন ২ চার ও ৩ ছক্কা। উইন্ডিজের আকিল, ম্যাকয় নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আকিল ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৩ রান। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয়
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে লিটন দাসের দল। ক্যারিবিয়ানদের তাদেরই মাটিতে আজ ২৭ রানে হারিয়ে অর্ধযুগের এক আক্ষেপও মিটিয়েছেন লিটন-সোম্য-মিরাজরা। সেইন্ট ভিনসেন্টের অ্যারন্স ভ্যালেতে লো স্কোরিং ম্যাচটি জেতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় হলো টাইগারদের।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন। ৪ বলে ২ রান করে তার পথ ধরেন তিনে ব্যাট করতে নামা তানজিদ তামিমও। তবে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন মিরাজ। অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ১১ রানে সৌম্য রান আউট হলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন মিরাজ। এরপর রিশাদ ৫ রানে আউট হলে দলীয় ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে টাইগাররা। এরপর ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মাহেদী হাসান।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জাকের আলীও। ২০ বলে ২১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। দলের স্কোর তখন ১৬ ওভার এক বলে ৮৮ রান। হাতে মাত্র তিন উইকেট। মনে হচ্ছিল, একশোই হয়তো পেরোবে না স্কোর। কিন্তু, ক্রিজে নেমে দারুণ এক ক্যামিও খেলে দলের জন্য সম্মানজনক একটা স্কোর গড়ে দেন শামীম পাটোয়ারী। দুই চার ও দুই ছয়ে ১৭ বলে করা তার ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটির ওপর ভর করে ১২৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ৯ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তানজিম সাকিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন গুদাকেশ মোতি। এ ছাড়াও রোস্টন চেজ, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ ও ওবেদ ম্যাকয় একটি করে উইকেট নেন।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণই করেছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। দুই ওভারে ১৯ রান তুলে ফেলেন দুজনে মিলে। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসেই আঘাত হানেন তাসকিন। তার প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিং। চার বল পরেই একইভাবে ফেরান তিনে নামা ফ্লেচারকে। তাসকিনের চার বল খেলে এক রানও না করে সাজঘরে ফেরেন কযারিবিয় এ ব্যাটসম্যান। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মাহেদী হাসানের শিকার হন সেট হয়ে আসা জনসন চার্লস। এরপর আবার পঞ্চম ওভারে ফিরে নিকোলাস পুরানকে ফেরান মাহেদী। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদের শিকার হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। নবম ওভারের তৃতীয় বলে রোমারিও শেফার্ডকে ফেরান তানজিম সাকিব। ৪২ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই ক্যারিবিয়ানদের।
মাঝে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রোস্টন চেজ। পাঁচে নামা এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে অপর প্রান্ত থেকে যোগ্য সঙ্গ দেন আটে নামা আকিল হোসেইন। দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রানের চাকা ঘুরতে থাকে ক্যারিবিয়ানদের। লক্ষ্যটা ছোট বলেই কি না, জয়ের আশা ভালোভাবেই বেঁচে ছিল স্বাগতিকদের।
১৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। তার প্রথম দুই বলেই দুই ছক্কা হাঁকান রোস্টন চেজ। প্রথমটি স্কুপ করে, পরেরটি ফুল টসে স্ট্রেট দিয়ে। ১৬ রান দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ তার এই ওভারে। তাতে ম্যাচটাও অনেকটা ঘুরে যায় স্বাগতিকদের পক্ষেই।
তবে, পরের ওভারেই রিশাদ এসে পানি ঢেলে দেন ক্যারিবিয়ানদের জয়ের স্বপ্নে। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা চেজ এবং নয়ে নামা গুদাকেশ মোতিকে। রিশাদের পরের ওভারে এসেই ক্যারিবিয়ানদের দশম ব্যাটসম্যান আলজারি জোসেফকে তুলে নেন তানজিম সাকিব। চোখের পলকেই ৮৯ রানে ৬ উইকেট থেকে স্বাগতিকদের স্কোর হয়ে যায় ৯০ রানে ৯ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন সেই তাসকিন, যার হাতেই প্রথম উইকেটটি পড়েছিল তাদের। স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ৯ বল বাকি থাকতে, ১০২ রানে। ২৭ রানের দারুণ এ জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ এগোল বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে প্রায় সব বড় সাফল্য এসেছে জাতীয় নারী দলের হাত ধরে। ২০২২ সালের পর এবারও মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে সাবিনা খাতুনের দল। টানা দ্বিতীয় সাফজয়ী দলটি তারই পুরস্কার পেল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে। যেখানে সাত ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ নারী দল ১৩২ নম্বরে উঠে এসেছে।
আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নারী ফুটবলের হালনাগাদকৃত নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সাফ চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ১৩৯ থেকে বড় লাফ দিয়েছে। বর্তমানে তাদের রেটিং পয়েন্ট ১০৯৭.৫৫।
২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। গত ৩০ অক্টোবর শেষ হওয়া সাফেও একই প্রতিপক্ষকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়ে সাবিনা খাতুনের দলটি।
ফিফা এবার মেয়েদের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করল চার মাস পর। এই সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নারী দলগুলো মোট ১৭৬টি ম্যাচ খেলেছে। যার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে দলগুলোর অবস্থান। পুরো বছরই মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, এবারও তারা সেই অবস্থান ধরে রেখেছে। এক ধাপ করে এগিয়ে যথাক্রমে ২–৩ এ উঠেছে স্পেন ও জার্মানি। এ ছাড়া দুই ধাপ পিছিয়ে ইংল্যান্ড ৪ নম্বরে নেমে গেছে। এই প্রথমবার ফিফা নারী দলের র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে জিব্রাল্টার (১৮৫তম)।
শীর্ষ ১০–এর ভেতর থাকা বাকি দলগুলো হচ্ছে ৫ নম্বর থেকে যথাক্রমে সুইডেন, কানাডা, ব্রাজিল (এক ধাপ উন্নতি), জাপান (এক ধাপ অবনতি), উত্তর কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস (এক ধাপ উন্নতি)। এক ধাপ পিছিয়ে এই প্রথম র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশের বাইরে (১১) চলে গেল ফ্রান্সের মেয়েরা। মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ৮ ধাপ করে উন্নতি হয়েছে সৌদি আরব (১৬৬) ও এস্তোনিয়ার (৯৯)। সর্বোচ্চ অবনতি ঘটেছে লাওসের (১৬ ধাপ)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস সাকিব
প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে খেলছেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সময়ের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। এই লম্বা ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তবে এর আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেনি। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল কাউন্টি ক্রিকেট কতৃপক্ষ।
চলতি মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব। বিশেষজ্ঞদের সামনে সেই পরীক্ষায় মোট চার ওভার বল করতে হয় সাকিবকে। ২৪ ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে মেলেনি কোনো ত্রুটি। তাই সাকিবের ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কাউন্টি কতৃপক্ষ।
গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে যান সাকিব। প্রায় ১৩ বছর পর এই টুর্নামেন্টে খেলেন তিনি। সারের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এই ম্যাচেই তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
কাউন্টি ক্রিকেটে সেই ম্যাচে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। এরপর লিগ ক্তৃপক্ষ জানায়, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উৎড়াতে হবে সাকিবকে। যে কারণে এ মাসের শুরুতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭১২ উইকেট শিকার করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের গুকেশ
ভারতের গুকেশ ডোম্মারাজু ইতিহাস গড়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ফিদে দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেনকে পরাজিত করেন।
মাত্র ১৮ বছর বয়সী গুকেশ এই জয়ে রাশিয়ার কিংবদন্তি গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারি কাসপারভের রেকর্ড ভেঙেছেন। কাসপারভ ১৯৮৫ সালে ২২ বছর বয়সে এই খেতাব জিতেছিলেন।
গুকেশ ফিদে দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চীনের ডিং লিরেনকে ৭.৫-৬.৫ স্কোরে পরাজিত করে ১৮তম দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই খেতাব জিতলেন। এর আগে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বনাথ আনন্দ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন।
চেন্নাইয়ের এই প্রতিভাবান তরুণ ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন। তবে এবার ফিদে চ্যাম্পিয়নশিপে তার স্থান ছিল বহিরাগত প্রতিদ্বন্দ্বীর মতো।
ফাইনাল খেলায় কালো ঘুঁটি নিয়ে নেমে ডিং লিরেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুলের সুযোগ নেন গুকেশ। ডিং তার শেষ শক্তিশালী ঘুঁটি হারিয়ে বসেন, যা তাকে পরাজয়ের মুখে ঠেলে দেয়।
এই জয়ের ফলে বিশ্বে র্যাংকিংয়ে পঞ্চম এবং ভারতে র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় গুকেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেছেন।
১৪ গেমের এই চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা গত দুই সপ্তাহ ধরে দাবা প্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
চেন্নাই থেকে উঠে আসা গুকেশের পরিবারে কোনো এলিট দাবাড়ু নেই। তবে ছোটবেলায় স্কুল পরবর্তী দাবা ক্লাসে তার প্রতিভা ধরা পড়ে। ২০১৯ সালে ১২ বছর ৭ মাস বয়সে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে তিনি গ্র্যান্ডমাস্টার হন।
চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪ গেমে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ৮টি ড্র এবং ২টি করে জয় অর্জন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ফাইনালে ডিং চাপের মুখে ভুল করে কিস্তি হারালে গুকেশ জয় নিশ্চিত করেন।
ডিং লিরেন২০২৩ সালে চীনের প্রথম দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। তবে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন বিরতিতে ছিলেন। তবে চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতে ও ১২তম রাউন্ডের জয় তাকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছিল।
ডিংয়ের ফাইনাল ভুল সম্পর্কে চেজডটকম বলেছে, ডিং জয়ের সুযোগ পেয়েও রিস্ক ফ্রি পজিশনে পা ফেলেছিলেন, যা তাকে একটি পন-ডাউন এন্ড গেমে ঠেলে দেয়। ম্যাচ ড্র হওয়ার কথা থাকলেও, চাপ বাড়তেই ডিং ভুল করেন। তিন চাল পরেই তিনি পরাজয় মেনে নেন। গুকেশ এই জয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি এই পজিশনে জিতব আশা করিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ঐতিহাসিক ও অনুকরণীয়! এটি তার অনবদ্য প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের ফল।
এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার তহবিল ছিল মোট ২.৫ মিলিয়ন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে
আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এবার এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফা জানাল, আগামী ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব।
বুধবার একটি ভার্চুয়াল সভায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। একই দিনে ফিফা আরো জানিয়েছে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল মিলে। এছাড়া, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে।
২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বদলে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের চেহারা। শেষ কয়েকটি আসর বসেছিল ৩২ দল নিয়ে। যাতে বিশ্বকাপে খেলা হতো ৬৪ ম্যাচ। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ছে আরও ১৬টি, যার ফলে বাড়ছে ম্যাচসংখ্যাও। দশ বছরের পরের তথা ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ৪৮টি দল।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি রাজধানী রিয়াদে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনে (ফিফা) আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা আসল।
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি আরব। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তার অধীনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রসহ ইউরোপ মাতানো অসংখ্য ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছে সৌদি। অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে যাচ্ছে।