কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামবাসীদের জন্য পাঠাওয়ের ‘ও বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইন
বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম পাঠাও, শুধুমাত্র চট্টগ্রামবাসীদের জন্য নিয়ে এলো ‘ও’ বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে থাকছে পাঠাওয়ের পুরাতন ও নতুন ইউজারদের জন্য পাঠাও কার, বাইক ও ফুড-এ এক্সাইটিং সব ডিসকাউন্টস! ক্যাম্পেইনটি চলবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের ব্যস্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ও কাজের জন্য যাতায়াতে বা লোকাল ফুডগুলো উপভোগ করতে পাঠাওয়ের এই ক্যাম্পেইনের এক্সাইটিং অফারগুলো এভেইল করে সহজে ও বাজেটের মধ্যে করতে পারবেন সবকিছু।
নিউ ইউজারদের জন্য এক্সক্লুসিভ অফারস:
পাঠাও কার: প্রোমো এফইএসটি১০০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ১২৫ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও বাইক: প্রোমো ফাস্টরাইড৫০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৬৫ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও ফুড: প্রোমো হ্যালো১০০ ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ১০০ টাকা পর্যন্ত।
এক্সিসটিং ইউজারদের জন্য এক্সাইটিং অফারস:
পাঠাও কার: প্রোমো সিটিজিকার ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৯০ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও বাইক: প্রোমো সিটিজিবাইক ইউজ করলেই পাবেন, ৫০% অফ, ৪০ টাকা পর্যন্ত।
পাঠাও ফুড: প্রোমো ফুডসিটিজি ইউজ করলেই পাবেন, ৩০% অফ, ১০০ টাকা পর্যন্ত।
এই প্রোমোগুলো ইউজ করে চট্টগ্রামবাসীরা এখন সহজেই ও সাশ্রয়ে রাইড ও ফুড উপভোগ করতে পারবেন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পাঠাও তুলে ধরেছে যে পাঠাও প্রতিটি শহরের বিশেষ চাহিদাগুলো মেটাতে চেষ্টা করে আসছে।
চট্টগ্রামবাসীরা এখনই সময় পাঠাওয়ের সাথে শহরজুড়ে ঘুরে বেড়ানো ও মজাদার সব খাবার উপভোগ করার। এই ক্যাম্পেইনে দারুণ সব ডিসকাউন্ট নিয়ে পাঠাওয়ের সাথে আছে সুলতানস ডাইন, কাচ্চি ডাইন, বারকোড, চমক সহ চট্টগ্রামের আরও সেরা সব রেস্টুরেন্টস।
পাঠাও ডাউনলোড করে উপভোগ করুন ‘ও’ বদ্দা অনলি চিটাং’ ক্যাম্পেইনের এক্সাইটিং সব ডিলস ও ডিসকাউন্টস!
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ পাঠাও হিরো ও ডেলিভারি এজেন্ট, ১ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
‘এমডি অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত ওয়ালটনের মাহবুবুল আলম
‘এমডি অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানির মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ এর ‘এমডি অফ দ্য ইয়ার (টেক)’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস এ ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি এস এম মাহবুবুল আলমের হাতে বছরের সেরা এমডির পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক মাহমুদ।
‘এমডি অফ দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি প্রদান করায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তি সব সময়ই অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস দেশের ব্যবসায়িক খাতের অন্যতম শীর্ষ পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি অত্যন্ত সম্মানিত হয়েছি। আমি ওয়ালটন পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আমরা একের পর এক সাফল্যের মুকুটে বিভূষিত হচ্ছি।
তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি বলেন, সফল হতে গেলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। প্রতিটি কাজে চ্যালেঞ্জ থাকবে। নানান বাধাবিঘ্ন আসবে। কিন্তু এজন্য দমে গেলে চলবে না। অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সবসময় লেগে থাকতে হবে। দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সফলতা ধরা দেবে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন ব্যবসাখাতের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বদানকারী করপোরেট ব্যক্তিত্বদের অবদান এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস এর জন্য চলতি বছর ২৪টি বিভাগে ৩৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। দেশের শীর্ষনীয় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশিষ্ট উপদেষ্টা বোর্ড নিবিড়ভাবে মনোনয়ন গুলো পর্যালোচনা করেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাতের ২২ জন শীর্ষ ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর পূর্বে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ৮ম লিডারশিপ সামিট। এতে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিজনেস লিডার, বিশেষজ্ঞ এবং পেশাদার ব্যক্তিত্ব অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট
চার দিনের সফরে ১৯ সদস্যের একটি দল নিয়ে ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। হোর্তাকে স্বাগত জানাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেইসঙ্গে গার্ড অব অনার ও লাল গালিচা অভ্যর্থনাও দেওয়া হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসবেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার ও লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হবে।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুই শীর্ষ নেতা একান্তে কিছু সময় আলাপ করবেন। পরে প্রতিনিধিদল নিয়ে বৈঠকে বসবেন ইউনূস-হোর্তা। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এদিন বিকেলে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল সফররত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওইদিন সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য রাখবেন। এদিন তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, তার সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি। এছাড়া দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
হোর্তার সফরকালে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তে অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিমুর লেস্তের একজন তরুণ কূটনীতিককে বছরব্যাপী বিশেষ কূটনীতিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির ওপর প্রফেশনাল মাস্টার্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে। কূটনৈতিক প্রশিক্ষণটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে রবিবার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) পরিচালনায় আগামী রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে শিববাড়ি, গাজীপুর বিআরটি লেনে বিআরটিসি এসি বাস চলাচল শুরু করবে।
এদিন বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সড়ক পরিবরহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ১০টি বিআরটিসি এসি বাস গাজীপুরের শিববাড়ি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) টার্মিনাল থেকে বিআরটি লেনে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মোট ৪২ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথ চলাচল করবে।
শিববাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা এবং শিববাড়ি থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রী চাহিদা এবং স্টেশনগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাসের সংখ্যা পরবর্তীতে বাড়ানো হবে।
বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাস সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চিরনিদ্রায় শায়িত কবি হেলাল হাফিজ
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের ১ম জানাজা ও দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কবি হেলাল হাফিজ গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়বেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।
হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।
দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।
২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পাইপলাইনে তেল আসবে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা
পরিবহন খরচ কমাতে পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে জ্বালানি তেল। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই এ লাইন দিয়ে জ্বালানি তেল আসবে। এতে সাশ্রয় হবে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চট্টগ্রাম থেকে নদী ও সড়কপথে ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। তবে নানা কারণে মাঝে মধ্যেই এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি পড়ে তেমনি ওঠে তেল চুরির অভিযোগও। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল পরিবহন খরচ কমবে, অপরদিকে নির্বিঘ্ন হবে সরবরাহ ব্যবস্থাও। একইসঙ্গে পরিবেশ দূষণও রোধ করা সম্ভব হবে।
এসব সংকট নিরসনে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এরপর প্রথম দফায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ আবার বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ হয়।
শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত হয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের গড় চাহিদা ৬৫ লাখ টন হলেও গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরবরাহ করা হয় ৬৭ লাখ টন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
শুধু ঢাকা বিভাগেই জ্বালানি তেলের ব্যবহার মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ জানিয়ে বিপিসি আরও জানায়, বর্তমানে ঢাকায় তেল পরিবহনের জন্য প্রথমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নদীপথে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সড়কপথে ঢাকায় তেল পরিবহন করা হয়। আর পরিবহন কাজে প্রতি মাসে প্রায় ১৫০টি ছোট-বড় জাহাজ ব্যবহৃত হয়। এতে বছরে খরচ হয় ২০০ কোটি টাকা।
এ অবস্থায় পাইপে তেল পরিবহন শুরু হলে প্রতিবছর প্রকল্প থেকে আয় হবে ৩২৬ কোটি টাকা এবং পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ বিল, জমির ভাড়াসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। এতে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা।
এ থেকে ধারণা করা যায়, আগামী ১৬ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের বিনিয়োগ উঠে আসবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) মনোনীত প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল হক বলেন, ডিসেম্বরেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। এরপর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (কমিশনিং) শেষে পুরোদমে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ।
কবে নাগাদ কমিশনিং শুরু হবে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিচালন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই প্রকল্পের কমিশনিং হবে। এরপর জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। সবশেষে মার্চে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহন।
কাফি