আইন-আদালত
সাবেক ডিসি জসীমসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্লাসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন, গুলশান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক-যাত্রাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তানজিল আহমেদ এবং এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক ডিসি ও বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর রংপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেহেতু জসীম উদ্দীন মোল্লাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
গুলশান বিভাগের সাবেক এডিসি মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাড্ডা থানার মামলায় গত ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
সেহেতু, রফিকুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন রফিকুল ইসলামকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ট্রাফিক-যাত্রাবাড়ী জোনের এসি তানজিল আহমেদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গত ১৫ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সেহেতু, তানজিল আহমেদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তানজিল আহমেদকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হাটহাজারী মডেল থানার মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সেহেতু, রফিকুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন রফিকুল ইসলামকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪ মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে আপিল বিভাগে।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি ও ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা পৃথক আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করা হয়।
আইনজীবী সূত্রগুলোর তথ্য অনুসারে, ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।
আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।
তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমান পৃথক চারটি আবেদন করেছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিলসংক্রান্ত হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে এভার লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষের এসব আবেদন শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে আবেদনগুলোর ওপর শুনানি হবে।
আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভূপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাককে অনুমতি দেওয়া হলো।
প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনও আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
২০১৭ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬শ’ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো.সাইফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো.মফিজুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হয়।
২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানির দিন থাকলেও কোনও আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন ২ জানুয়ারি ধার্য ছিল। গত বুধবার যে দুজনের জামিনের শুনানি ছিল, তাদের আইনজীবীও আসেননি।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো.মফিজুল হক ভূঁইয়া জানান, আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আমরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে জামিনের শুনানি করেছি। আদালতকে জানিয়েছি, জাতীয় পতাকার কোনও অবমাননা হয়নি। এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে পৌঁছেন সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল। এই শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
শুনানি শেষে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীরা পুলিশি পাহারায় আদালত থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ৫০-৬০ জন আইনজীবী তাদের ‘দালাল’ বলে স্লোগান দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চিন্ময়কে আদালতে তোলা হবে আজ, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে আজ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আদালতের প্রবেশমুখে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায়।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষের কেউ ছিলেন না। তাই আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আজ পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছিলেন।
অন্যদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে তিনি ভারত থেকে কবে বাংলাদেশে ফিরবেন তা নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল।
এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে আদালতে দাঁড়াবো। এর আগেই বাংলাদেশে যাব। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি তার ওই বক্তব্য থেকে খানিকটা সরে এসে বলেন, আমি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছি। ডাক্তার যেদিন সুস্থ বলবেন সেদিন বাংলাদেশে যাব। আমি না থাকলেও অন্য আইনজীবীরা দাঁড়াবেন। তবে সুস্থ্ থাকলে অবশ্যই যাব।
কাফি