কর্পোরেট সংবাদ
কর্পোরেট গভর্নেন্সে স্বীকৃতি পেলো বিএটি বাংলাদেশ

কর্পোরেট গভর্নেন্সে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দুইটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ। এসএএফএ বিপিএ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ সেরা বার্ষিক প্রতিবেদনের (বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট) জন্য ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি’তে সিলভার অ্যাওয়ার্ড এবং ১৪তম আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ডে ‘এমএনসি ম্যানুফ্যাকচারিং’ ক্যাটাগরিতে সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
দ্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসএএফএ) গভর্নেন্স, আর্থিক প্রতিবেদন, কমপ্লায়েন্স ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে উৎকর্ষ সাধন করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ স্বীকৃতি দেয়। আর টেকসই অনুশীলন, কর্পোরেট গভর্নেন্স ও আর্থিক অনুশাসনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিতে কাজ করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। শক্তিশালী কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করা এবং সাসটেইনিবিলিটি ও আর্থিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সেরা অনুশীলন বজায় রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কারগুলো অর্জন করে বিএটি বাংলাদেশ। এ অর্জন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের সাথে অংশীজনদের স্বচ্ছতা ও আস্থা আরও জোরদার করবে।
এসএএফএ বিপিএ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. পি. নন্দলাল বীরাসিংহে ও এসএএফএ’র সভাপতি হিসানা করুপ্পু। অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল সৈয়দ আফজাল হোসেন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান অংশ নেন।
১৪তম আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বিজয়ীদের হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআর), অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। বিএটি বাংলাদেশের পক্ষে সিনিয়র কর্পোরেট ফাইন্যান্স ম্যানেজার শাহরিয়ার হাসনাইন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এই গৌরবময় অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে, বিএটি বাংলাদেশের কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের কর্পোরেট দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার প্রতি আমাদের অটুট প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। এমন স্বীকৃতি পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি, যা আমাদের কার্যক্রম ও কর্পোরেট সুশাসনের উৎকর্ষ সাধনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। এই স্বীকৃতি বিএটি বাংলাদেশকে দেশের টেকসই উন্নয়নে আরও বৃহত্তর ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক পরিবারের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান

ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ব্যাংকের সকল স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান।
ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি একেএম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কেএম মুনিরুল আলম আল মামুন ও মো. মাকসুদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহ-সভাপতি আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ইমতিয়াজ আহমেদ হিমেল, আদিবা আফনান, ফারজানা সুলতানা জেবা ও হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ।
এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট বসির আহাম্মদ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. মজনুজ্জামানসহ বিভিন্ন শাখার প্রধানগণ, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংবর্ধিত এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ওমর ফারুক খান বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দিবে তাই দেশ পরিচালনার জন্য এখনই নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আত্ম গঠনের জন্য সুশৃঙ্খলভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে এবং পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে তাদের পরামর্শ কাজে লাগিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে এবং তা মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের উপায় বের করতে হবে। তিনি ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে জানতে এবং তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রবাসী পরিবারের জন্য যশোরে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উঠান বৈঠক

দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারে যশোরে আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং। ব্যাংকটি যশোরের বস্তাপট্টি এলাকার স্থানীয়দের নিয়ে একটি ‘উঠান বৈঠক’ সেশনের আয়োজন করেছে। এই সেশন মূলত এলাকার রেমিটেন্স সুবিধাভোগীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। ব্র্যাক ব্যাংক রূপদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সেশনের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে আর্থিক সাক্ষরতা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার ঘটানো।
সম্প্রতি আয়োজিত এই উঠান বৈঠক সেশনে অংশ নেন ৫০টিরও বেশি প্রবাসী পরিবার। এই উদ্যোগটি প্রবাসী এবং প্রবাসী পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সেশনটি পরিচালনা করেন ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট রিলেশনশিপ অফিসার বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং ব্র্যাক ব্যাংক রূপদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের এজেন্ট ফিল্ড অফিসার ফরজ আহমেদ। তাঁরা আর্থিক সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রবাসী পরিবারের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, নিরাপদ রেমিটেন্স সেবা গ্রহণ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেল নাজমুর রহিম বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী পরিবারগুলোর জন্য আধুনিক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পরিবারগুলোর জন্য আমরা এমন একটি ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে চাই, যা তাঁদের সচেতন আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং আর্থিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক রূপদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট প্রবাসী পরিবারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সহজে রেমিটেন্স-প্রাপ্তি পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে। এই উদ্যোগটি ব্র্যাক ব্যাংকের বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফরমাল ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে এসে দেশে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের দ্রুত বর্ধনশীল এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেল এখন দেশব্যাপী সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের ৮০ শতাংশই গ্রামীণ অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে নগদ উত্তোলন, ঋণের কিস্তি ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ রেমিটেন্স সার্ভিসও গ্রহণ করতে পারছে। ফলে, স্থানীয়দের কাছে এটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কমিউনিটি ব্যাংকের এএমডি ও প্রধান নির্বাহী হলেন কিমিয়া সাদাত

কমিউনিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়েছেন কিমিয়া সাদাত। ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি তিনি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষ্যে তিনি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন।
কমিউনিটি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে কিমিয়া সাদাত মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকটির কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি তিনি ইসলামিক ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সলিউশনস, স্ট্রাকচার্ড ফিন্যান্স ইউনিট, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট, ফরেন রেমিটেন্স ও এফআই রিলেশনশিপ, ব্র্যান্ড ও পাবলিক রিলেশনশিপ ইত্যাদি ডিপার্টমেন্ট এর নেতৃত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে মেঘনা ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট হাউসগুলোর মধ্যে অন্যতম পছন্দনীয় ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত। তিনি “এশিয়ান ব্যাংকিং এন্ড ফিন্যান্স হোলসেল ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ” – এর মাধ্যমে ব্যাংকের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনে ব্যাংকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
দেশি ও বহুজাতিক ব্যাংকিং এ ২২ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ব্যাংকার মেঘনা ব্যাংক ছাড়াও ইস্টার্ন ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ও এইচএসবিসি বাংলাদেশ এ কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং থেকে এমবিএ ডিগ্রির পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল কন্সাল্ট্যান্টস (আইএফসি, কানাডা) থেকে তিনি সার্টিফাইড ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট (সিএফসি) সনদপ্রাপ্ত। কর্পোরেট ব্যাংকিং এর পাশাপাশি তিনি এসএমই ক্রেডিট, ইমারজিং কর্পোরেট, ইসলামিক ব্যাংকিং, অফশোর ব্যাংকিং, ফরেন রেমিটেন্স, এজেন্ট ব্যাংকিং, এফআই রিলেশনশিপ, স্ট্রাকচার্ড ফিনান্স, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট ও রিকভারি সলিউশনস, ব্র্যান্ড ও পাবলিক রিলেশনশিপ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলালিংকের নতুন ডেপুটি সিইও জহরত আদিব চৌধুরী

মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জহরত আদিব চৌধুরী। এ খাতের ডিজিটাল লিডার হিসেবে কোম্পানির যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
জহরত ২০১৪ সালে বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। বিভিন্ন খাতে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জহরতের।
এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলালিংককে টেলিকম অপারেটর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি ‘অ্যাসেট-লাইট’ এবং ‘রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ উদ্যোগসহ বাংলালিংকের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গ্রাহকদের জন্য ব্যতিক্রমী ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে ডেপুটি সিইও হিসেবে জহরত সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাংলালিংকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করবেন এবং দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আইন, করপোরেট গভর্নেন্স ও ইএসজি সংশ্লিষ্ট বর্তমান দায়িত্বের পাশাপাশি, তিনি বাংলালিংকের ডিজিটাল আর্থিক সেবার লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যাবেন।
বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে বলেন, নতুন ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় জহরতকে অভিনন্দন। তার পেশাগত অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তুলেছে। এ নিয়োগ শুধু একটি প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি নয়- এটি আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জন্য আরও উন্নত অভিজ্ঞতা এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে। আমরা একটি উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় নতুন এ ভূমিকা গ্রহণ করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সবার জন্য উন্নত সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে অবদান রাখতে কাজ করে যাবো আমি। অত্যন্ত দক্ষ ও উদ্যমী বাংলালিংক পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। কার্যকর ডিজিটাল সমাধান প্রদানে আমাদের সহকর্মীদের সহায়তা করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’ থেকে বিকাশে রেমিটেন্স নিয়ে কুপন পেলেন ১৫ জন

প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয় মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’ এর মাধ্যমে বিকাশে পাঠানো সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিটেন্স গ্রহণ করে মোটরবাইক, ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স ও ডিভাইস কুপন জিতে নিলেন দেশে থাকা ১৫ জন স্বজন।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী স্বজন পেয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মোটরবাইক কুপন এবং ২য় ও ৩য় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী স্বজন পেয়েছেন ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স কুপন। পাশাপাশি, প্রতি সপ্তাহে তিনজন করে মোট ১২ জন পেয়েছেন ১৫, ১০ ও ৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস কুপন।
প্রসঙ্গত, ১লা মার্চ থেকে ২৮ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন ধাপে প্রবাসীদের পাঠানো সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণ করা স্বজনরাই এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন। দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত রেমিটেন্স যাতে প্রবাসীরা বৈধ পথে সবচেয়ে সহজে ও নিরাপদে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হন, সে লক্ষ্যেই ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করা হয়।
বিকাশের মাধ্যমে রেমিটেন্স গ্রহণ সবচেয়ে সহজ, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন তা প্রবাসী এবং তাদের স্বজনদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে, বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এর মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটেলমেন্ট হয়ে নিমেষেই রেমিটেন্স পৌঁছে যাচ্ছে দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
এদিকে, রেমিটেন্সের টাকা এখন আরও কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন দেশে থাকা প্রবাসীর স্বজনেরা। দেশজুড়ে শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় ২,৫০০ এটিএম বুথ থেকে হাজারে মাত্র ৭ টাকা চার্জে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বা *২৪৭# ডায়াল করে গ্রাহকরা রেমিটেন্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন।
কাফি