আন্তর্জাতিক
ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যেই কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা সীমিত করেছে ঢাকা। দুই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন শক্ত পদক্ষেপ নিলো বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেয়া না হলেও বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) গোপন এক দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতীয়দের ঢালাও ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই নির্দেশ কার্যকরও শুরু করেছে করেছে কলকাতা দূতাবাস।
এর আগে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুবৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুরের পর সেখানে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া।
তবে দিল্লি বা আসাম মিশনের ক্ষেত্রে এমন কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও ত্রিপুরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি ও আসামের ক্ষেত্রেও একই রকমের নির্দেশনা আসতে পারে।
এর আগে গত বুধবার এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ ও কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। এখন নতুন করে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে।
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায়নি। ঘটনার একদিন পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে ক্ষোভ জানায় ঢাকা।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতও গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত এবং তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অর্থ আত্মসাৎ, যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকেরও।
আর এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ‘ন্যায় ও নৈতিকতা’ দল তাকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও সানডে টাইমস।
সানডে টাইমসকে উদ্ধৃতি করে ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্পের চুক্তির সময় নিজের পরিবারকে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেন টিউলিপ। এই অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এই খবরটি সামনে আসে রোববার।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। তিনি তাকে স্বাগত জানান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সাথে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা পিইটি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনোকিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (রূপপুর) নির্মাণে রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। যেখানে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল। মূলত টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদক যে তদন্ত শুরু করেছে তারই আওতায় পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিকও।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৫০ বছর পর নাগরিকত্ব ফিরে চায় গ্রিসের সাবেক রাজপরিবার
দীর্ঘ ৫০ বছর পর গ্রিসের সাবেক রাজপরিবারের সদস্যরা দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে তারা গ্রিসের প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
প্রয়াত রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইন এবং তার পরিবারের সদস্যদের রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালে তাদের গ্রীক নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
সরকারের পক্ষে তখন দাবি করা হয়েছিল, রাজা তার বংশধরদের জন্য গ্রীক সিংহাসনের কোনো অধিকার ত্যাগ করতে রাজি নন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আথানসিওস বালেরপাস বলেন, ৮২ বছর বয়সে মারা যাওয়া প্রয়াত রাজার আত্মীয়রা বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) একটি ঘোষণায় সই করেছেন। সেখানে প্রজাতান্ত্রিক সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে রাজার আত্মীয়রা নতুন ঘোষণায় নিজেদের জন্য একটি উপাধি নির্ধারণ করেছে, ‘ডি গ্রেস’ বা ‘গ্রিসের’।
কিন্তু পারিবারিক নাম ‘ডি গ্রেস’ ব্যবহার করে নাগরিকত্বের আবেদন করার বিষয়ে বামপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিরক্তির কারণ হয়েছে। গ্রিসের সমাজতান্ত্রিক দল বলেছে, যখন তারা (রাজপরিবার) বলে, তাদের উপাধি কিংবা সব দাবি ছেড়ে দিচ্ছেন, তখন তারা পরিবারের নামে উপাধি বেছে নিয়ে নতুন করে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি করছে।
বামপন্থী সিরিজা পার্টি বলছে, পারিবারের নাম সমস্যাযুক্ত। কারণ গ্রিসের আইন উপাধি কিংবা আভিজাত্যকে স্বীকৃতি দেয় না।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করেননি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিতীয় কনস্টানটাইন এবং প্রাক্তন রানী অ্যান-মেরির পাঁচ সন্তান অ্যালেক্সিয়া, পাভলোস, নিকোলাওস, থিওডোরা এবং ফিলিপোসসহ পরিবারের ১০ জন সদস্য নাগরিকত্ব চেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রাষ্ট্র পরিচালিত রেডিওকে বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে ঝুলে থাকা একটি বিষয় সমাধান করা হচ্ছে। এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর সময়। আমি মনে করি, এটি একটি ভালো মুহূর্ত, আমরা এখন মানুষ হিসাবে সামনের দিকে তাকাতে পারি।
সাত বছরের সামরিক একনায়কতন্ত্রের পতনের কয়েক মাস পরে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা হয়েছিল। ভোটাররা সে সময় ব্যাপকভাবে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানকে সমর্থন করেছিল।
সত্তরের দশকে কনস্টানটাইন ‘সাধারণ নাগরিক’ হিসাবে ফিরে আসার আগে রাজপরিবারের সদস্যরা কয়েক দশক ধরে নির্বাসনে ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে তাদের গ্রিসের নাগরিকত্বও ছিনিয়ে নেওয়া হয় রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের সময়, যা এখন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন তেল না কিনলে ইইউয়ের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি তেলের আমদানি না বাড়ায়, তবে তাদের ওপর তিনি শুল্ক আরোপ করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, আমাদের তেল ও গ্যাসের ব্যাপক পরিমাণে কেনার মাধ্যমে তা পূরণ করতে হবে।
নয়তো সব কিছুতেই শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি বৈশ্বিক আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, মার্কিন সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যার মধ্যে ১৩১.৩ ডলার বিলিয়ন বাণিজ্য ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ইইউয়ের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য, যা ইইউয়ের মোট রপ্তানির প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। এছাড়া দেশটি ইইউয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আরাকান আর্মির দখলে রাখাইন সামরিক সদর দপ্তর
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ নিয়ে দ্বিতীয় আঞ্চলিক কমান্ড সেন্টার হারালো জান্তা বাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারজুড়েই বিদ্রোহীদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে সামরিক বাহিনী।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে দুই সপ্তাহ তুমুল লড়াইয়ের পর পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দখলে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি মিয়ানামারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের কাছ থেকে।
২০২১ সালে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলো। প্রথম দিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করলেও পরবর্তীসময়ে তা সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।
২০২৩ সালে আরাকান আর্মি জান্তার বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। আগস্টে আরাকান আর্মি উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহর লাসিও দখল করে। এর মাধ্যমে তারা মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আঞ্চলিক কমান্ড দখলে নেওয়ার সক্ষমতা দেখায়।
বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষা রাখাইন রাজ্যটি মিয়ানমারের একটি দরিদ্র অঞ্চল।
কিছু রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট জানিয়েছেন, রাখাইনে উত্তরাঞ্চালে অভিযানের সময় তাদের কমিউনিটিকে টার্গেট করে আরাকান আর্মি। এরপর কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বাংলাদেশে যায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি। সূত্র: রয়টার্স
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার বাংলাদেশের জনগণ: ভারত
বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। ভারতের যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্বালানিসহ বহুমুখী খাতে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ, স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমাদের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তাই, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এটাই এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবেও এটাই।
কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিল্লির মন্তব্য জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ভারতও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সার্ক কয়েক বছর ধরে ‘হিমঘরে’ এবং কেন তা সবাই জানে।
কাফি