আন্তর্জাতিক
সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থার তালিকায় ইন্ডিগো
আকাশপথে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এয়ারলাইন্সের তালিকায় নাম উঠে এসছে ভারতের বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগোর। মূলত কম খরচের এয়ারলাইন্স হিসেবে পরিচিত ইন্ডিগো। বাংলাদেশেও ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে এ এয়ারলাইন্স সংস্থাটি।
বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কর্মক্ষমতার ওপর প্রতি বছর প্রতিবেদন তৈরি করে ‘এয়ারহেল্প’ নামে একটা সংস্থা। ওই সমীক্ষার প্রতিবেদনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১০৯টি বিমান সংস্থার মধ্যে ১০৩-এ স্থান হয়েছে ইন্ডিগোর।
২০২৪ সালের এয়ারহেল্পের পরিষেবা সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে ইন্ডিগো স্কোর করেছে ৪.৮০ শতাংশ। ভারতীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে ইন্ডিগো ছাড়াও এয়ারহেল্পের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। ৬.১৫ শতাংশ স্কোর করে ৬১তম স্থান পেয়েছে তারা। ৮.১২ স্কোরে তালিকায় প্রথম হয়েছে ব্রাসল্স এয়ারলাইন্স। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে কাতার এয়ারলাইন্স (৮.১১) এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স (৮.০৪)।
এদিকে গত বুধবার একটি বিবৃতিতে এয়ারহেল্পের এই প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সংস্থাটি সব ধরনের নিয়মকানুন মেনেই সেবা দিয়ে আসছেন। ভালো পরিষেবা দেওয়ার কারণেই বিমানসংস্থা হিসেবে সুনামও রয়েছে তাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়ার জব্দ সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ২০০০ কোটি ডলার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনকে ২০০০ কোটি ডলার অর্থসহায়তা দিয়েছে অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদের লাভের অঙ্ক থেকেই এই অর্থ ইউক্রেনকে দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এই অর্থনৈতিক সহায়তা জি৭ সদস্য দেশগুলোর জুন মাসে ঘোষিত ৫০ বিলিয়ন ডলার প্যাকেজের একটি বড় অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, এই সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রাশিয়া তার অবৈধ যুদ্ধের খরচ বহন করবে, করদাতারা নয়।
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিছুদিন পর দায়িত্ব ছাড়বেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ট্রাম্প কিয়েভকে আর্থিক সহায়তা দেওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের অপচয় বলে অভিহিত করেছেন। তাই নতুন মার্কিন প্রশাসনের অধীনে এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ২০ বিলিয়ন ডলার বিশ্বব্যাংকের একটি তহবিলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ইউক্রেন এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। তবে, বিশ্বব্যাংক পরিচালিত এই অর্থ সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন এই অর্থের অর্ধেক সামরিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ করতে চেয়েছিল। তবে এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।
এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদনের আগে মাসের পর মাস হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন করে অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ইউক্রেনকে “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন” দেবে, যা দেশটির ‘অযাচিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে’ প্রতিরক্ষায় সহায়ক হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর জব্দ করা প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মুনাফা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
অক্টোবরে জি৭ দেশগুলো ঘোষণা করে, এই জব্দকৃত সম্পদের মুনাফা থেকে আগামী ৩০ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ এর প্রথম কিস্তি প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একইভাবে ১৮ বিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইয়েলেন বলেন, এই ৫০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা, হাসপাতাল এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালু রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই সহায়তা এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হারাচ্ছে এবং যুদ্ধে রুশ অগ্রগতি ইউক্রেনের সৈন্যদের মাঝে হতাশাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার সুযোগ দিচ্ছে ট্রাম্প
যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ বিনিয়োগ করলে আমেরিকায় তাকে দ্রুত অনুমতি ও পারমিট দিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি পরিবেশগত সম্মতির ক্ষেত্রেও তা সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও ট্রাম্প দ্রুত-ট্র্যাক অনুমোদনের জন্য কে যোগ্য হবেন তা নির্দিষ্ট করেননি। তবে প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন, রপ্তানি টার্মিনাল, সৌর খামার এবং অফশোর উইন্ড টারবাইনসহ শক্তি প্রকল্পগুলি বিলিয়ন ডলারের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে।
ইউএস ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল পলিসি অ্যাক্ট (এনইপিএ) অনুযায়ী, পাইপলাইন এবং হাইওয়ের মতো কোনো জ্বালানি বা অবকাঠামো প্রকল্প অনুমোদন করার আগে সরকারি সংস্থাগুলিকে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে। ট্রাম্পের ঘোষণা এমন কোম্পানিগুলির জন্য একটি আশীর্বাদ হিসাবে আসবে যারা এই জাতীয় মূল্যায়ন সংক্রান্ত বিলম্বের বিষয়ে দীর্ঘকাল অভিযোগ করেছে। টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক, যার ইভি কোম্পানি টেসলার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের ঘোষণার প্রশংসা করেছেন।
আমেরিকান পরিবেশ সংস্থাগুলি অবশ্য ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, যে এটি এইপিএ বিধি লঙ্ঘন করেছে।
এভারগ্রিন অ্যাকশন, একটি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক পরিবেশগত গ্রুপ বলেছে, ‘অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হচ্ছে, যাতে শুধুমাত্র ধনী কর্পোরেশনরাই উপকৃত হয়। ট্রাম্প নির্দ্বিধায় এবং আক্ষরিক অর্থে আমেরিকাকে সর্বোচ্চ কর্পোরেট দরদাতার কাছে বিক্রি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। ‘সংস্থাটির দাবি, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি স্পষ্টতই বেআইনি, যা আমেরিকান জনগণকে বিপদে ফেলবে।’
এদিকে প্রাকৃতিক সম্পদ প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান নীতি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি অফিসার আলেকজান্দ্রা অ্যাডামস বলেছেন, ‘ট্রাম্পের সতর্ক হওয়া উচিত যে তিনি কী চান। যদি কেউ মার-এ-লাগোর পাশে একটি বর্জ্য ইনসিনেরেটর বা বেডমিনস্টার গল্ফ কোর্সের পাশে একটি কয়লা খনি তৈরি করতে চায় তাহলে কী হবে?’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
ঢাকা সফর থেকে ফেরার দু’দিন পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। বুধবার নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিফে দেশটির ২১ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস বলেছে, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যদের জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশটির সংসদ সদস্যদের বলেন, ঢাকা সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনও চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করেনি।
অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস বলেছে, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় দেশটিতে অবস্থান করছেন, সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
ব্রিফ থেকে বেরিয়ে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘চমৎকার’ ব্রিফিংয়ের সময় সচিবের কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
শশী থারুর বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা যেকোনও ক্ষেত্রে এই ধরনের বিষয়ে সংসদে রিপোর্ট করি। কারণ এটি একটি সংসদীয় কমিটির আনুষ্ঠানিক বিষয়; যার জন্য প্রতিবেদন প্রয়োজন। তিরুবনন্তপুরমের এই সংসদ সদস্য বলেন, আপাতত আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে এবং এর একটি খুব ভালো সূচনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ের ভেতর বিস্ফোরণে মন্ত্রী নিহত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন দেশটির শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানি। কাবুলে শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
বুধবার কাবুলে শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিস্ফোরণে মন্ত্রীর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন হাক্কানির ভাতিজা আনাস হাক্কানি।
নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কাবুলে শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানিসহ তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের দুই দশকের বিদ্রোহের সময় সবচেয়ে সহিংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিচিত দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক। মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির ভাই জালালউদ্দিন হাক্কানি এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বিস্ফোরণে নিহত খলিল উর-রহমান হাক্কানি দেশটির তালেবান নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির চাচা।
২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর দেশটির ক্ষমতায় আসে সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তালেবান। আফগানিস্তানের এই গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে।
তবে দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সক্রিয় রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রায়ই আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিক, বিদেশি এবং তালেবান কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় ও বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি সম্পর্কে ওয়াশিংটানের কী কোনও মন্তব্য আছে?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে।
কাফি