কর্পোরেট সংবাদ
২৫০ সিসির নতুন দুই মডেলের বাইক আনলো সুজুকি

বাংলাদেশের বাজারে ২৫০ সিসির দুটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে সুজুকি বাংলাদেশ। মোটরসাইকেল দুটির মডেল হচ্ছে- সুজুকি জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০। মটোজিপি প্রযুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত পারফর্ম্যান্স এবং ডিজাইনের নতুন মাইলফলক হিসেবে, আনুষ্ঠানিকভাবে সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁওয়ে আলোকি প্রাঙ্গণে উন্মোচন অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজুকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুজুকি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যার মধ্যে রয়েছেন র্যানকনের জিএমডি, রোমো রউফ চৌধুরী; র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ফারহানা করিম; ডিভিশনাল ডিরেক্টর, শোয়েব আহমেদ; চিফ অপারেটিং অফিসার, একেএম তৌহিদুর রহমান; এবং হেড অব মার্কেটিং আমীন মাহমুদ।
বাংলাদেশের মোটরবাইক বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পারফর্ম্যান্স নিয়ে এসেছে সুজুকি জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০। ২৫০সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিনে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন (এফআই) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ পাওয়ার ডেলিভারি এবং জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে। উচ্চতর তাপ ব্যবস্থাপনার জন্য সুজুকি অয়েল কুলিং সিস্টেম (এসওসিএস) ব্যবহার করে উচ্চ চাপের মধ্যেও সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে।
জিক্সার ২৫০ এবং জিক্সার এসএফ ২৫০ দ্রুতগতি এবং স্থিতিশীলতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। মটোজিপি প্রযুক্তির আদলে তৈরি ইঞ্জিন দ্বারা এই বাইকগুলো পারফর্ম্যান্স এবং এফিশিয়েন্সির পাশাপাশি রাইডিংয়ের ক্ষেত্রেও দিবে রেসিং টেকনোলজির অনন্য অভিজ্ঞতা। উভয় মডেলেই ৬-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে, যা সঠিক শক্তি সরবরাহ এবং নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। ডুয়েল-চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম রাইডারদের উচ্চ গতিতে বা হঠাৎ ব্রেকিংয়ের সময় নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে, যা বিভিন্ন রাস্তায় আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
দুটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাবে জিক্সার ২৫০: ম্যাট ব্ল্যাক এবং ম্যাট ব্লু। অন্যদিকে, জিক্সার এসএফ ২৫০ চারটি অনন্য রঙে পাওয়া যাবে: ম্যাট ব্ল্যাক এবং ম্যাট ব্লু; এর পাশাপাশি এসএফ ২৫০ এর নিউ এডিশন মটো জিপি এবং নাইট্রো নিয়ন এডিশনের অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইন এবং উন্নত এরোডাইনামিক্স বাইকের সেরা পারফর্ম্যান্সে সহায়ক।
এই বাইকগুলো ভিন্নধর্মী রাইডিং স্টাইলকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। জিক্সার ২৫০ এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা এবং জিক্সার এসএফ ২৫০ এর দাম ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫০ টাকা। উভয় মডেলেই এলইডি হেডলাইট এবং টেইললাইট, সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং রাইডার ও প্যাসেঞ্জার উভয়ের জন্য আরামদায়ক স্প্লিট সিট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজুকি বাংলাদেশের ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ মটোজিপি ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, সুজুকি জিক্সার ২৫০ সিরিজ আমাদের মটোজিপি-অনুপ্রাণিত ডিএনএ এবং উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমন্বয়ে তৈরি। এই সিরিজটি ২৫০ সিসি সেগমেন্টে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে, যাতে রেসিং পারফর্ম্যান্স আর কমফোর্ট দুটোই বিদ্যমান।
সুজুকি বাংলাদেশের সিওও এ কে এম তৌহিদুর রহমান বলেন, এই বাইকগুলো রোমাঞ্চকর কিন্তু নিয়ন্ত্রিত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নিখুঁতভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। উন্নত এফআই প্রযুক্তি এবং এরোডাইনামিক ডিজাইন নিশ্চিত করেছে জিক্সার ২৫০ সিরিজ, যা বাংলাদেশের রাইডারদের জন্য অনন্য গতি, শক্তি এবং স্টাইলের নিশ্চয়তা দেয়।
সুজুকি বাংলাদেশ রাইডারদের জন্য অত্যন্ত উন্নত আফটার-সেলস সেবা নিশ্চিত করেছে। সার্ভিস সেন্টারগুলোতে এফআই ক্লিনার এবং প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান রয়েছে, যারা বাইকের সর্বোচ্চ পারফর্ম্যান্স বজায় রাখতে সাহায্য করবে। রাইডাররা নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস এবং আসল যন্ত্রাংশ পাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত থাকবেন।

কর্পোরেট সংবাদ
জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহ সভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে ‘রিস্ক সামিট’

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রিস্ক সামিট। সম্প্রতি কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
সামিটে কমিউনিটি ব্যাংকের পোর্টফোলিওর সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা, রিস্কের বর্তমান অবস্থা, রিস্কের আসন্ন হুমকি, প্রভিশন স্ট্যাটাস, ঋণ পোর্টফোলিওর বিভিন্ন ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সামিটে অংশ নেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধানগণ।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী; হেড অব সিআরএম অ্যান্ড হেড অব স্যাম হাসি রানী বেপারী, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমানসহ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ ও অন্যান্য উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
শিক্ষার্থীদের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কর্মশালা

বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার ভিত্তি গড়তে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরতে নারায়ণগঞ্জের আর. পি. সাহা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের আয়োজনে ও লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনায় একটি তথ্যবহুল ও প্রেরণাদায়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। যিনি প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কেবল একাডেমিক শিক্ষা নয়, বরং বাস্তব জীবনের আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শিতা অর্জনও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ছোট ছোট সঞ্চয় আগামী দিনের বড় বিনিয়োগে রূপ নিতে পারে।”
স্বাগত বক্তব্যে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ আবদুর রহিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুধু মুনাফার বিষয় নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।”
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন স্কুল অব বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. গোপাল চন্দ্র সাহা, যিনি তার বক্তব্যে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সরকার হিরেন্দ্র চন্দ্র, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের প্রধান মো. জাহাংগীর হোসেন এবং নারায়ণগঞ্জ শাখার প্রধান মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল। তারা পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া, ব্রোকারেজ হাউসের ভূমিকা এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ধারণা প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই সঞ্চয় ও বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মই আগামী দিনের কর্পোরেট ও অর্থনৈতিক নেতৃত্ব দেবে। আর সেই নেতৃত্বের ভিত গড়তে হলে অর্থনৈতিক শিক্ষায় পারদর্শিতা অপরিহার্য।
এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭৬৭তম পরিচালনা পর্ষদের সভা

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ৭৬৭তম পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৯ মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসের (কোয়ার্টার ওয়ান) অনিরীক্ষিত ফলাফল পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ব্যাংকের বছরের পুরো মুনাফা দিয়ে শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ (প্রভিশন) রাখা হবে, আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকিং নীতি অনুসরণ করে ঋণ শ্রেণীকরণ করা হয়েছে, এজন্য ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে ২০২৪ সালের মুনাফার প্রায় পুরোটা প্রভিশন করায় পর্ষদ এ বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেনি। এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলা এবং ভবিষ্যতের জন্য টেকসই পথ তৈরি করবে বলে বিশ্বাস করে সাউথইস্ট ব্যাংক।
সুসংহত নেতৃত্ব এবং অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক ধীরে ধীরে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠার পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পর্ষদ মনে করছে, ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করতে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য একটি পরিকল্পিত ও স্বচ্ছ রূপান্তর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, যার দ্বারা শেয়ারহোল্ডারগণ ভবিষ্যতে উপকৃত হবেন।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এম. এ. কাশেম এই বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস রেহানা রহমান, ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ- আজিম উদ্দিন আহমেদ, মিসেস জোসনা আরা কাশেম, মিসেস দুলুমা আহমেদ, আলমগীর কবীর, এফসিএ, নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান, মো. রফিকুল ইসলাম (এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিনিধি), মো. নুরুল ইসলাম (সিঙ্গেল ক্লিক আইটি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি), স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. মুজিবুর রহমান (পিএইচডি), আবিদুর রহমান চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এবং কোম্পানি সচিব- মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
৯ মাসে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার আমানত পেল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এফএসআইবি) গত নয় মাসের চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যেও ১০ লাখ নতুন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছে যার মাধ্যমে ৩ হাজার ৯ শত কোটি টাকার নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, এসএমই বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় এবং পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে ব্যাংকটি।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “শরীয়াহর উদ্দেশের আলোকে আমাদের কৌশল হলো কল্যাণমূখী অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যাংকিং, যে এলাকার আমানত সেখানেই বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনমূখী ক্ষুদ্র ও মাঝারী বিনিয়োগের অগ্রাধিকার”। ইসলামী শরীয়ার অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে সম্পদের ন্যায়ভিত্তিক বন্টন ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।
এ সম্পর্কে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরো বলেন, “ক্ষুদ্র আমানতকারী, এসএমই বিনিয়োগ, উদ্দ্যোক্তা তৈরি, কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনকে ভিত্তি করেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খুব দ্রুত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে ফিরে আসবে”।
আমানত সংগ্রহের জন্য ব্যাংকটি বড় কর্পোরেট ডিপোজিটরদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র আমানতকারীদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, আমানত নির্ভর না হয়ে ব্যাংকের ব্যবসা-নির্ভর হওয়া উচিত। এ কারণেই আমরা ক্ষুদ্র আমানতকারী, ক্ষুদ্র বিনিয়োগগ্রহীতা এবং বিনিয়োগ বিকেন্দ্রীকরণে মনোনিবেশ করছি যাতে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে স্থিতিশীল করা যায়। দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংকের নতুন বোর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রেমিট্যান্স এজেন্সির সাথে চুক্তি করেছে ব্যাংকটি।
খেলাপী ও মন্দ বিনিয়োগ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইচ্ছাকৃত খেলাপী বিনিয়োগগ্রহীতাদের থেকে অর্থ উদ্ধার করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের স্থাপনায় ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানোসহ সামাজিক চাপ বৃদ্ধির কৌশলও প্রয়োগ করছে কর্তৃপক্ষ। উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তার মূল্যায়ন ও অধিকাংশ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এসএমই উদ্দ্যোক্তাদের সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকটির সকল কার্যক্রম নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইসলামী শরীয়ার্হ আলোকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কাজ করছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
কাফি