পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমেছে
দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতনের ফলে অনেক শেয়ারের মূল্য প্রকৃত দামের নিচে নেমে গেছে। এ ক্ষেত্রে মৌল ভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অনেক কমেছে। ফলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই) আরও কমেছে। এতে বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ বা ০ দশমিক ১২ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে পিই রেশিও যত কম বিনিয়োগ ঝুঁকিও ততো কমে। পাশাপাশি পিই রেশিও বাড়লে বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়ে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও আরো কমেছে, পিই রেশিও কমায় শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকি মুক্ত অবস্থানে আছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯ দশমিক ৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, মিউচুয়াল ফান্ড খাত ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট, ব্যাংক খাত ৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাত ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাত ১০ দশমিক ৯২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাত ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাত ১১ দশমিক ১২ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাত ১২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, আর্থিক খাত ১২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট, বীমা খাত ১৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ১৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাত ১৪ দশমিক ২৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাত ১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি খাত ১৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাত ২৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট, চামড়া খাত ৩৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৬১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট, পাট খাত ৭৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট এবং সিরামিক খাত ৮৩ দশমিক ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ব্যাংক খাত
বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক খাত। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৮ শতাংশ।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন করে খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফার্মা খাতের শেয়ার। আর খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনর তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৭ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, জীবন বীমা খাতে ২ দমমিক ৯০ শতাংশ, যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ, পাট খাতে ২ দশমিক ২০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২ শতাংশ, ভ্রমন খাতে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, সেবা খাতে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, পেপার খাতে ০ দশমিক ৮০ শতাংশ, সিরামিক খাতের ৩ শতাংশ এবং ট্যানারি খাতে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৫ খাতে। এর ফলে এই ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। আলোচ্য সময়ে ১৫ খাতে দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইবিএল সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জীবন বীমা খাতে ও খাদ্য খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই দুই খাতে ০ দশমিক ৯০ শতাংশ করে দর কমেছে। ০ দশমিক ৫০ শতাংশ করে দর কমায় তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত ও পাট খাত। একই সময়ে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর কমে তালিকার উঠে এসেছে সিমেন্ট খাত।
এছাড়া, মুনাফায় থাকা ১৫ খাতের মধ্যে- তথ্য প্রযুক্তি এবং সেবা ও আবাসন খাতে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রকৌশল খাত ও আর্থিক খাত এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে সমান ১ দশমিক ২০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০ দশমিক ৬০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মুনাফায় ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে দর বেড়েছে ১৫ খাতের শেয়ারে। দরবৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচ্য সপ্তাহে মুনাফায় রয়েছে এই ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা। আর একই সময়ে দর কমেছে ৫ খাতের শেয়ারে।
ইবিএল সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি এবং সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারে। এই দুই খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং তৃতীয় থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ দরবৃদ্ধি পেয়েছে।
সাপ্তাহিক রিটার্নে দরবৃদ্ধি পাওয়া অন্য ১১ খাতের মধ্যে- বিবিধ খাতে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রকৌশল খাত ও আর্থিক খাত এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে সমান ১ দশমিক ২০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০ দশমিক ৬০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে থেকে ৫০০ কোটি টাকার তুলবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ফুল্লি রিডেম্বল নন-কনভাটেবল বন্ড ইস্যু করবে। এই বন্ডের নাম ‘এফএসআইবি চতুর্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড’। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ব্যাংকটি পুঁজিবাজার থেকে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার-টু মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি।
সাত বছর মেয়াদী এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। প্রতিটি বন্ডের মূল্য ১০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি নন-কনভাটেবল বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ডটির নাম হবে ‘স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক চতুর্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড’। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটি নন-কনভাটেবল ফুল্লি রিডেম্বল আনসিকিউরড ফ্লোটিং রেট বন্ড ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ৩৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
সাত বছর মেয়াদী এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। প্রতিটি বন্ডের মূল্য ৫ লাখ টাকা। টিয়ার-II মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এসএম