আইন-আদালত
সংখ্যালঘুরা আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে, মনে করেন ৬৪ শতাংশ মানুষ
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে করেন দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ। ভয়েস অব আমেরিকার একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আপাতত সন্তোষের জায়গায় আছে বলে ভয়েস অব আমেরিকার একটি জরিপে উঠে এসেছে।
ওই জরিপ বলছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। যদিও জরিপে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসের শেষের দিকে জরিপটি পরিচালিত হয়। দেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। সেখানে সমান সংখ্যার নারী এবং পুরুষ ছিলেন, যাদের মধ্যে ৯২.৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। উত্তরদাতাদের অর্ধেকের খানিকটা বেশি ছিল ৩৪ বছর বয়সের নিচে এবং প্রায় এক-চতুর্থাংশ শহুরে মানুষ।
জরিপের উত্তরদাতাদের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়। এতে দেখা গেছে, ৬৪.১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। মাত্র ১৫.৩ শতাংশ মনে করেন বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে এবং ১৭.৯ শতাংশ মনে করেন পরিস্থিতি আগের মতই আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায়, তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতনী ধর্মাবলম্বী বা হিন্দুদের উপর।
তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসে সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া জন্য।
গুম কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলেন, বেশ কিছু দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করেছি, সাধারণ মানুষের তরফ থেকে, রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর তরফ থেকে। এর ফলে দেখা গেছে, পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম এবং অমুসলিমদের কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৩.৯ শতাংশ মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ। অন্যদিকে সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের ৩৩.৯ শতাংশ মনে করেন, তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে খারাপ করছে।
জরিপে দেখা গেছে, মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৬.১ শতাংশ মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৯.৫ শতাংশও এই ধারণার সঙ্গে একমত।
ঢাকার বাসিন্দা এবং বেসরকারি সংস্থায় প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত হীরেন পণ্ডিত মনে করছেন, সম্প্রতি গ্রামে-গঞ্জে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের চেয়ে ভালো হয়েছে। তবে তিনিও শঙ্কার মধ্যেই আছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর দক্ষিণ এশিয়া পরিচাল মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলছেন, কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।
তার মতে, শেখ হাসিনার ‘নিপীড়নমূলক শাসনের’ প্রতি ভারতের সমর্থনও হিন্দুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এক্ষেত্রে আগামীতে দিল্লির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সব জায়গাতেই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে চিন্তিত হওয়া। কিন্তু যেসব গোষ্ঠী ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে ঘৃণা এবং সহিংসতা ছড়াতে চায়, তাদের ব্যাপারে বিশেষ করে ভারতের আরও সাবধান হওয়া উচিত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বার্তায় জানানো হয়, রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১০ ঘণ্টা উত্তর খান, দক্ষিণ খান, ফায়েদাবাদ ও আশকোনা এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া, আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করতে হবে : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করতে হবে। বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন হয়েছে; যা আগে পার্লামেন্টের কাছে ছিলো। বিচার বিভাগ আলাদা করার জন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট বার আয়োজিত নবীন আইনজীবীদের কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক স্বশাসন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নবীন আইনজীবীদেরকে বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। সম্প্রতি আদালত অঙ্গনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনজীবীদের আরও দায়বদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। সার্বিকভাবে বিচারবিভাগ বার ও বেঞ্চের সমন্বয়ে এগিয়ে যাবে।
এ সময় আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ৫ আগস্ট ঘিরে আন্দোলনে হতাহতদের জন্য বিশেষ দোয়া হয়।
উল্লেখ্য, আজকের কর্মশালায় কয়ে কদিন আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফেরও থাকার কথা ছিলো।
কর্মশালায় প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান , সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশ থেকে কর্মশালায় যোগ দিয়েছেন বারে নতুন সদস্য হওয়া প্রায় এক হাজার ৫০০ জন নবীন আইনজীবী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
গণমাধ্যমগুলোর উচিত ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার তুলে ধরা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেসব মিথ্যাচার হচ্ছে, দেশের গণমাধ্যমগুলোর সেগুলোকে শক্তভাবে তুলে ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক : প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে, সেটি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রভাব বিস্তার থাকবেই। এসব মোকাবিলার জন্য আমাদের ঘর গোছাতে হবে, যাতে কেউ অযাচিত প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি কাজ হওয়া উচিত, ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার তুলে আনা এবং তাদের এই বিষয়গুলো শক্তভাবে উপস্থাপন করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা কারও জন্য হুমকি না। কেউ আমাদের জন্য হুমকি হোক, সেটাও আমরা চাই নাই। কিন্তু, গত ৫ আগস্টের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের রূপ বদলে গেছে।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, সব দেশেই অপরাধী আছে, কিন্তু আপনি সীমান্তে গুলি করে মেরে ফেলতে পারেন না। ভারতের উচিত, সীমান্তে অপরাধীকে ধরা এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে প্রচলিত আইনে বিচার করা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতীয় ঐক্য না থাকার কারণে আমরা পিছিয়েছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য দরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার, বিজিবির সতর্কতা
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বর্ডর গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফের ভূমিকা সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, একটি চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিজিবি এবং বিজিবির ডিজির নামে এই অপপ্রচারগুলোতে দাবি করা হচ্ছে যে, বিজিবি প্রধান ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামিয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্র এবং শিক্ষার্থীকে হত্যার মনগড়া তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
ফেসবুক পোস্টে বিজিবি জানায়, প্রকৃত সত্য হলো-
বিজিবির ডিজির নির্দেশনায় আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
ভারতীয় নাগরিকদের বিজিবির পোশাক পরিয়ে আন্দোলন দমন করার তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
৫ আগস্ট বিজিবি মহাপরিচালকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ হাজার লোক মেরে ফেলা কিংবা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো ধরনের কথাই হয়নি।
৫ আগস্ট সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশদ্বারে বিজিবি ছাত্র-জনতাকে সমর্থন করেছে।
বিজিবির যে সদস্য অপেশাদার আচরণ করেছে তার/তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এটি স্পষ্ট যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও ডিজি বিজিবির সুনাম নষ্টের জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
অপপ্রচারে কান না দিয়ে সত্যের পক্ষে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি। বিজিবি বলছে, বিভ্রান্তি এড়াতে যাচাই-বাছাই করুন এবং প্রকৃত তথ্য সবার সামনে তুলে ধরুন। বিজিবি দেশের মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন বাতিল
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আইনটি বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারির প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। ২০১০ সালের আইনটি বাতিল করা হলেও ওই আইনের অধীনে হওয়া চুক্তি বাতিল হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ আইনের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসে আইনটি স্থগিত করে।
অধ্যাদেশ অনুমোদনের সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেন।