আইন-আদালত
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তাকে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার তিনজন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা আলাদা আদেশে এই বদলি করা হয়।
এ মধ্যে এডিসি রীমা সুলতানাকে সিটি-ইনটেলিজেন্স কনফিডেন্সিয়াল বিভাগে, মো. ফরহাদ কবিরকে ডিজিটাল ফরেনসিক অ্যান্ড ই-ফ্রড বিভাগে এবং মোছা. মফেলা খাতুন মেমীকে ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোরস বিভাগের নারী পুলিশ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও এসি আব্দুল হান্নান খানকে ট্রাফিক-রমনা জোনে, ইসফাকুল কবির সরকারকে সিটি-কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে এবং বিমল চন্দ্র বর্মনকে ট্রাফিক-দারুসসালাম জোনে বদলি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন রুটে চলবে ট্রেন
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নড়াইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা থেকে খুলনা এবং বেনাপোলে চলাচল করবে ট্রেন। নতুন এ পথে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে প্রস্তুত পদ্মা রেল লিংকের পুরো লাইন। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের।
পদ্মা রেল লিংকের দ্বিতীয় ফেজের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে নতুন রুটের পরীক্ষামূলক রেল চলাচল। তবে নতুন রুট চালু হলেও সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের রুটের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আগের রুটেই এ দুটি ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন একটি ট্রেন চলবে এ রুটে। প্রতিদিন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতি সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ভাঙা হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রেন যশোর হয়ে যাবে বেনাপোল। বেনাপোল থেকে একই রুটে ঢাকায় ফিরবে ট্রেনটি। বিকেলে আবার ঢাকা থেকে নড়াইলের একই রুট ধরে ফিরবে খুলনায়। ৩৭৬ কিলোমিটার থেকে পথ কমে আসবে ২০৮ কিলোমিটারে। এতে রাস্তা কমবে ১৬৮ কিলোমিটান। আর খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
‘প্রতিদিন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতি সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ভাঙা হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রেন যশোর হয়ে যাবে বেনাপোল। বেনাপোল থেকে একই রুটে ঢাকায় ফিরবে। বিকেলে আবার ঢাকা থেকে নড়াইলের একই রুট ধরে ফিরবে খুলনায়।’
রেলওয়ের খুলনা ট্রাফিক পরিদর্শক হংশুমান রায় তপু জানান, আশা করছি ডিসেম্বরের ১ বা ২ তারিখ থেকে স্বাভাবিক চলাচল শুরু করতে পারবো। এর মধ্যে জনবলের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন জনবল না পেলেও অন্য সেটআপের জনবল দিয়ে আপাতত ট্রেন চালানো হবে।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মামুনুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে খুলনা থেকে ঢাকায় এবং বেনাপোল ঢাকায় নতুন রুটের যাত্রার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবো। নতুন রুটটি খুলনা থেকে যাত্রা শুরু করে যশোরের সিঙ্গিয়া থেকে নড়াইল হয়ে মধুমতি সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবে। ট্রেনটি পরে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোলে যাবে। একইভাবে বেনাপোল থেকে ঢাকা ও বিকেলে ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চার মাসে সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ৪ মাসে সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অফিসার শাহাদত বরণ করেছেন এবং ৯ জন অফিসারসহ মোট ১২২ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির অফিসারদের সরকার কর্তৃক যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়, তা গত ১৫ নভেম্বর পুনরায় ৬০ দিনের জন্য বর্ধিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সব পর্যায়ের সদস্যরা সচেষ্ট রয়েছে। গত ২০ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অফিসার শাহাদত বরণ করেছেন এবং ৯ জন অফিসারসহ মোট ১২২ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন।
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে যেসব দায়িত্ব পালন করছে সেগুলো হলো- অনাকাঙ্ক্ষিত অরাজকতা প্রতিরোধ করা; দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা; বিদেশি কূটনীতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কলকারখানাগুলোকে সচল রাখা; রাষ্ট্রের কেপিআই এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করা; মূল সড়কগুলোকে বাধামুক্ত রাখা; অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা; অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক কারবারি ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা; বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করা; পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা; কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করা; এবং সার্বিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার যাতে তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে, সেজন্য স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা।
১৩ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোট ২৪টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৪০টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং ১৮টি সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এবং কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও শিল্পাঞ্চল ছাড়াও ৬৩টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৬টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত ১টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৬টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৪০টি।
যৌথ অভিযানের কথা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যৌথ অভিযানে ২২৮ জন মাদক কারবারি অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৩২৮ জন ব্যক্তিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান আরও বলেন, সারা দেশে সদ্যসমাপ্ত বৌদ্ধদের দেশব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব যেন নিরাপদে পালিত হতে পারে, সেজন্য সেনাবাহিনী অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বৌদ্ধ সংগঠন ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী মোট ৪৪৪টি বৌদ্ধ বিহারে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই কঠিন চীবরদান উৎসব পালিত হয়েছে।
নভেম্বরের ১৫-১৬ এবং ২০ তারিখে সনাতন ধর্মাবলম্বী মাতুয়া গোষ্ঠীর রাসমেলা ও নবান্ন উৎসব উদযাপনের জন্য গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলায় নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, এবং উভয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়েছে। এছাড়াও ১০-১২ নভেম্বর প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বরিশালের জগদ্ধাত্রী পূজাতেও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী এখন ৩ হাজার ৪৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে; যার মধ্যে ৩৫ জন এখনো সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিএমএইচে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৩টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মাত্রার। এছাড়া ৪ জন গুরুতর আহত রোগীকে উন্নত সুচিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়লো
আগামী বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজের নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো কোটার বড় অংশ খালি রয়ে গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এসময়ের মধ্যে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে এবং একই সঙ্গে হজ প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার জন্য হজযাত্রীদের অনুরোধ করা হলো।
এ সময়ের পর আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি এক লাখ ১৭ হাজার জন হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে ৪০ হাজারের মতো হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ওসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে কোনো ছাড় নয়: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ডিএমপির আওতাধীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির ৫০টি থানার ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনাদের (ওসি) কারও বিরুদ্ধে আমার কাছে যেন অভিযোগ না আসে। কারও বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিতে চাই না। কিন্তু অভিযোগ এলে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, থানা হচ্ছে পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র। থানায় আসা সেবাপ্রার্থীরা যেন তাদের প্রত্যাশিত সেবা পায়, সেজন্য ওসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাজ্জাত আলী বলেন, সব পুলিশি কর্মকাণ্ডই থানাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। আপনাদের দায়িত্ব অনেক। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, অতীতের কিছু উচ্চাভিলাষী পুলিশ কর্মকর্তার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এখন জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে যত বেশি সম্পর্ক তৈরি করবেন তত বেশি তথ্য পাবেন। তথ্য বেশি পেলে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ সময় যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা বিবেচনা করুন: ড. ইউনূস
নিজেকে রংপুরের সন্তান মনে করেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের সাহস ও আত্মত্যাগ আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশনের সনদপত্র শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন সনদপত্র গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের ভাতিজা মো. লিটন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।