আইন-আদালত
আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার লালদীঘি এলাকায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভিডিও ফুটেজ থেকে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
একইসেঙ্গে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ হওয়ায় তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
দ্রুতই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়: প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগের জন্য দ্রুতই পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে। এখন সবদিক থেকে যাচাই-বাছাই চলছে। যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, অচিরেই এটি চূড়ান্ত রূপ পাবে। কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে কি না তা দূরীকরণেরও কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবীদের বিশেষ করে নারী আইনজীবীদের যে অবকাঠামোগত অসুবিধা রয়েছে, তা অচিরেই দূর করা হবে।
এ সময় স্বাধীন বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয় পরিদর্শনকালে সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞা ও স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার শুরু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। বিচার শুরুর জন্য একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী নেওয়াজের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। পরে ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। নবী নেওয়াজ মামলার ১৭০নং এজহারনামীয় আসামি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক সচিব খাইরুলের ছেলের ৫৪ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলামের ছেলে মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির একটি বিও হিসাবের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এ শেয়ারে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এর আগে দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার এসব শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সস্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, খাইরুল ইসলাম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একাত্ম সচিব-১ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার অনুসারে প্রতিজন ঋণগ্রহীতাকে গৃহঋণ বাবদ সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিধান থাকলেও নিজের নাবালক দুই সন্তান রওশন শিপারিন মেঘমালা ও মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের প্রত্যেকের নামে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের শেয়ারগুলো জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করা প্রয়োজন। এই শেয়ারের মূল্য ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে থাকা ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৩ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এছাড়া ফৌজিয়া ইসলামের নামে ইজারা ও বায়না দলিলে বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
জানা যায়, ফ্রিজ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোতে আছে এক কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৫ টাকা। আর শেয়ারের মূল্য ৩ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা। জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামের হালিশহরে চার তলা পাকা বাড়ির তিনভাগের একভাগ অংশ রয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইজারা ও বায়না দলিল মূলে ৫৩ দলিলে প্রায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি রয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং তার স্বামী মো. তাজুল ইসলাম কর্তৃক অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা তদন্তকালে তার নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোনো সময় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়।
এর আগে ১৩ এপ্রিল সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নামে থাকা ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের ২৮ বিঘা জমি, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুইটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারে জমাকৃত ২৮ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়।
কাফি