অর্থনীতি
বাংলাদেশে আইএমএফ দলের সফর শুরু ৪ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি অর্থ ছাড়ের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি মিশন আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছে।
মিশনটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার যে আরও অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলার চেয়েছে তার বিষয়েও আলোচনা করবে। মিশনটি ওয়াশিংটনে ফিরে গিয়ে প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন উপম্থাপন করবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় ও বাড়তি সহায়তার পাওয়ার বিষয়টি।
সূত্র জানায়, আইএমএফের এবারের মিশনটি বেশ বড় হচ্ছে। কমপক্ষে ১০ সদস্যের এই মিশনটি এবার ১৪ দিন ঢাকায় অবস্থান করবে। এবারের মিশনে নেতৃত্ব দেবেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
এর আগের মিশনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ পেট্রোরিয়াম কর্পোরেশনসহ (বিপিসি) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচীর অতিরিক্ত আররও ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত সহায়তা চায়। এ বিষয়ে আইএমএফ শুরুতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইএমএফলে বার্ষিক সভার সময়েও সাইড লাইনে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচী চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ এটি অনুমোদন করে। ইতিমধ্যে তিনটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা। এর আগে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের সময় যেসব শর্ত বাস্তবায়নের কথা বলেছিল সেগুলো অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্হে বাড়তি অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনা করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আরও কমলো
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দরের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বুধবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ৩০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত? বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাওয়া আজকের সোনার দাম জেনে নিতে পারেন এখনই।
১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৩৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেটের পকেটে ঢুকছে দৈনিক ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি সরকার এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।
তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন ৫ লাখ করদাতা
২০২৪-২০২৫ করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের উদ্দেশ্যে ১২ লাখ ৫০ হাজার করদাতা রেজিস্ট্রেশন নিবন্ধন নিয়েছেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, গত অর্থবছরের এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১টি। সেখানে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২৯ শতাংশ। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ১২ লাখ ৫০ হাজার অতিক্রম করেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী সব করদাতাকে সেজন্য এনবিআর ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে সব তফশিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধি, আয়কর আইনজীবী এবং প্রশিক্ষণপ্রার্থী করদাতাসহ প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে রিটার্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করতে পারছে। একই সঙ্গে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমকে অধিকতর করদাতাবান্ধব করণের জন্য ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির আপডেট করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণ সহজে এবং দ্রুত তাঁদের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে দাখিল করতে পারছেন। এ সিস্টেম হতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন এবং দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্টের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া পূর্ববর্তী বছরের দাখিলকৃত ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এদিকে আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব ধরনের সেবা দিতে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর তথ্যসেবা মাস। নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা
বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও উন্নত ও সহজ সেবা দিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সিলেট সিটি কর্পোরেশন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
এর ফলে বিডা ওএসএস নতুন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের আরও ৭টি সেবা যুক্ত হবে। যা অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের সেবার গতি, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিডা কার্যালয়ে পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বিনিয়োগকারীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বিডা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করা। বর্তমানে আমরা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিডার ২৩ টিসহ মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠানে ১৩৩টি সেবা করে আসছি। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১,৭০,০০০ সেবা দিয়েছি। তবে, এর মধ্যে মাত্র ৫,০০০ অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যাশিত নয়। আমরা বিনিয়োগকারীদের বিডা ওএসএস আরও উৎসাহিত করব। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করবে না, বরং অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রাপ্তির কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করতে সহায়তা করবে।’’
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৫টি আইপিএ, প্রত্যকের আবার নিজস্ব ওএসএস রয়েছে, এ সমস্যা দূর করার জন্য আমরা একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা করছি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি আইডি ব্যবহার করে সব আইপিএ থেকে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিডার সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, আজ চারটি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ওএসএস প্ল্যাটফর্মে ৭টি নতুন সেবা যুক্ত হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ওএসএস সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে সেবা প্রদান প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিনিয়োগকারীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিডার পরিচালক আব্দুর রহিম। বিডার মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ওএসএস এর হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর ও বক্তব্য রাখেন-নূর উদ্দীন মো. সাদেক হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাউথইস্ট ব্যাংক। মঞ্জুরুল হক, কোম্পানি সচিব, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন। রেজাই রাফি সরকার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন।জয়শ্রী রানী রায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশন। বিডার পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিডার নির্বাহী সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম (সাউথইস্ট ব্যাংক এর সাথে) ও বিডার মহাপরিচালক জনাব জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় (রংপুর সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন)।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবু মুহাম্মদ নুরুল হায়াত টুটুল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান
বাংলাদেশকে ২৪ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। প্রতি ডলার সমানে ১১৯ টাকা ৫০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
জাপান সরকারের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের প্রথম ব্যাচের আওতাধীন ‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রজেক্ট ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ-জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি চুক্তিতে সই করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে ঋণ চুক্তি সই হয়।
‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা)। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে দিয়ে আসছে। প্রকল্পের ঋণের সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শকের জন্য ০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর। এর মধ্যে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড। প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ২৩ দশমিক ৭ কোটি ডলার দেবে চীন।
চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৫ হতে নভেম্বর ২০৩২ পর্যন্ত। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো চট্টগ্রাম শহরে উপযুক্ত পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পয়োনিস্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পাম্পিং স্টেশন এবং পাইপলাইন ইত্যাদির মতো পয়োনিস্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং জলজ পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখা। প্রকল্পটির জন্য জাইকা বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জন্য জাইকা ১৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে।
এ ঋণের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সুদের হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ কাল ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)। দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিচ্ছে করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্যখাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।