রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানালো সৌদি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তাকে এ আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।
রাত ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা’য় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি প্রবেশ করে। ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতের সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতের পর অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন, উনার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ম্যাডাম কবে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবে, সে বিষয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত ম্যাডামকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।’
ডা. জাহিদ বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত তার সরকারের পক্ষ থেকে ম্যাডামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ম্যাডামও প্রত্যুত্তরে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংবিধান সংস্কারে বিএনপির ৬২ প্রস্তাব
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও গণভোটের বিধান রাখাসহ সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের কাছে নিজেদের প্রস্তাবনা জমা দেয় দলটি।
সংবিধান সংস্কারে দলের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরতে এদিন সংসদ ভবনে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিটির সঙ্গে সেখানে প্রায় পৌনে এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপির প্রস্তবনায় ব্যালেন্স অব পাওয়ারের কথা বলা হয়েছে। সংস্কার কমিটি সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারকে দেবে। তারপর নির্বাচিত সরকার এসে এসব সংশোধন করবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবনার মূল অংশে রাজনৈতিক ক্যারেক্টার পরিবর্তন করার বিষয়ে প্রস্তাবনা করেছি। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই-আগস্টের যে শহীদের রক্তের অঙ্গীকার তার চেতনাকে মাথায় রেখে ভবিষ্যতে যাতে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি না হয় সেগুলো মাথায় রেখে আমরা প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সমস্ত জায়গা আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি; যাতে করে রাষ্ট্রের ভারসাম্য সৃষ্টি হয়।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও গণভোটের বিধান রাখার প্রস্তাব ছাড়াও বিএনপির উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আছে, যেন পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী না হতে পারে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের স্বার্থে যেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি পদের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ড. আলী রিয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে সারাদেশে জরিপ করা হবে। গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবার মতামত নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান
নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সাবেক স্বৈরাচার দেশি-বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেই চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শনিবার সকালে স্থানীয় টাউন ফুটবল ময়দানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার ও আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে সেই সংস্কার বিএনপিও চায়। বেশি সংস্কার করতে গিয়ে নির্বাচন করতে দেরি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিতে পারে। শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কারের বাস্তবায়ন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি দিয়েছে। এতে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়করা প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এই কমিটি প্লাটফর্মের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত পত্রে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করা হলো। পদাধিকার বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এই কমিটির সদস্য থাকবেন।
জানা গেছে, এই কমিটির দুই তৃতীয়াংশ ভোটে আহ্বায়ক কমিটি অথবা সভাপতি-সম্পাদকের কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করা যাবে। এ ছাড়া আগামীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষায়িত সেল করা হবে- এই সেল তৈরিতে তারা ভূমিকা রাখবেন।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন সমন্বয়ক স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন, মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, লুৎফর রহমান, নুসরাত তাবাসসুম, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমন্বয়ক মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, সাত কলেজ থেকে ঢাকা কলেজের মোহাম্মদ রাকিব ও মুঈনুল ইসলাম, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইব্রাহিম নিরব রয়েছেন কমিটিতে।
এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসাদ বিন রনি, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইম আবেদীন এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি সায়েন্সের (ইউআইটিএস) মাহমুদা সুলতানা রিমি, কওমী মাদরাসা থেকে রফিকুল ইসলাম আইনী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সম্মানে জাতি আনন্দিত: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যে সম্মান জানানো হয়েছে, তাতে গোটা জাতি আনন্দিত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার জীবনের সবচেয়ে বড় সময়টা দিয়েছেন গণতন্ত্রে জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য। ১২ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনীকে তার কাছ থেকে দূরে করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি আজকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের, বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি আজ ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) যে সম্মান দেখিয়েছেন, এতে আমরা যেমন কৃতজ্ঞ হয়েছি, একই সঙ্গে গোটা জাতি আজ আনন্দিত হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছে তার আসনে বসার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। আগেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।
বুধবার (২০ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের পর খালেদা জিয়ার এটি প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরের মাধ্যমে খালেদা জিয়া শেষবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হয়েছিলেন।
এবারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা ২০০৯ সালের পর তার প্রথম অংশগ্রহণ। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ২৬ জন আমন্ত্রিত হয়েছেন, যার মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এমআই