অর্থনীতি
১৩৬৬ কোটি টাকায় দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুসরণ করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ টাকা। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো (২০-২১ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ের জন্য ৩৭তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৪.৫৫০০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আরেক কার্গো (২৭-২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ের জন্য ৩৮তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৮০ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮০ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৪.৪২০০ মার্কিন ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা
দেশে চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে বৈধপথে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাসে দেশে ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউলের বিচারের দাবি
উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে মাফিয়া হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যাংকটির মতিঝিল প্রধান শাখা ঘেরাও করেছে একদল ছাত্র জনতা। এ সময় উত্তরা ব্যাংকের নানান অভিযোগে বিক্ষোভ করেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বিডার
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এক ‘খোলা চিঠি’তে তিনি বলেন, চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ী, যারা তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তর বা বৈচিত্র্য আনতে আগ্রহী তাদের জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় গন্তব্য হয়ে উঠতে প্রস্তুত।
সিঙ্গাপুরের বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সাবেক সিনিয়র ব্যাংকার আশিক চৌধুরী আরও বলেন, ‘মার্কিন নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য শুল্ক ও শুল্কহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
‘এই প্রেক্ষাপটে, আমরা চীনের বিনিয়োগকারী বন্ধুদের আহ্বান জানাই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের সমর্থন জানাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘আমরা গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, সোলার ভ্যালু চেইন এবং অটোমোটিভের মতো শিল্পে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা কর্মসূচি এবং সুবিধাসহ বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,’ বলেন তিনি।
গত মাসে বহুজাতিক ও স্থানীয় কোম্পানির অন্তত ২০০ জন প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে বলে আশা জানান তিনি।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের ঝুঁকি এবং উত্পাদন বৈচিত্র্যময় করার ক্ষেত্রে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানতে পেরেছি।’
চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠে। নতুন ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রবণতা বাড়বে বলে আশা জানান আশিক।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে গত এক দশক ধরে চীনা ব্যবসায়ীদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ আমি পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এর আগে তাদেরকে সমর্থন জানানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। নতুন মার্কিন রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে চীনা ব্যবসায়ীদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণের প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলডিসি উত্তরণের কারণে বাড়বে না ওষুধের দাম
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের কারণে দেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে না। তবে ওষুধশিল্পে কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হলে সংকট তৈরি হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে এলডিসি উত্তরণের প্রভাব ও স্থানীয় বাজারে ওষুধের দাম’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে দাম না বাড়ার বিষয়ে একমত হন খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে তারা বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম অনেক বাড়ার কারণে দেশের ওষুধশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে।
এম এ রাজ্জাক বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর দেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে কিনা, এ নিয়ে ওষুধশিল্প-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি তথ্যগত গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ ২০২৩ সালে নতুন যে পেটেন্ট আইন করেছে, সেখানে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ধরে রাখা হয়েছে। ফলে উত্তরণের পর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কী করা যাবে, তা এ আইনে বলে দেওয়া হয়েছে।
কোন পরিস্থিতিতে কী হতে পারে, তার একটি প্রক্ষেপণ দিয়েছে র্যাপিড। এ প্রসঙ্গে এম এ রাজ্জাক বলেন, যেসব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয় না, সেগুলো আমদানির সঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণের সম্পর্ক নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওষুধে মেধাস্বত্ব প্রযোজ্য, এগুলোর ক্ষেত্রেও ডব্লিউটিওর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ মেধাস্বত্ব দিতে বাধ্য নয়। পেটেন্ট আইনেও বিষয়টি সেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ সেগুলো নিয়েও চিন্তা করতে হবে না।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যেসব ওষুধ পেটেন্টের আওতায় আসবে, সেগুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে কী করতে হবে, তা আইনে উল্লেখ আছে। তাতে বলা হয়েছে, এসব ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলে ডব্লিউটিওর আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে ৪ শতাংশ লয়্যালটি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের বাজারে ওষুধের দাম ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়বে।
এম এ রাজ্জাক বলেন, সার্বিকভাবে বলা যায়- শুধু এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারেই কম। তবে অন্যান্য কারণে, যেমন ওষুধ তৈরির অন্যতম কাঁচামাল অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টের (এপিআই) দাম বাড়লে ওষুধের দাম বাড়তে পারে। তবে এখন রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে ওষুধ খাতে যে নগদ প্রণোদনা পায়, এলডিসি উত্তরণের পর তা দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রণোদনা কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে কিছুটা চাপ পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় অনেক বেশি। এর মূল কারণ, এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে কম, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। র্যাপিডের সুপারিশ, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির সঙ্গে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন করা হোক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২২ নভেম্বর থেকে।
কাফি