অর্থনীতি
সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার মাঠ পর্যায়ে তদারকিসহ পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। এজন্য সরবরাহ বাড়ানোর সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু পণ্যে শুল্ক কমানোর ফলে কিছুটা দাম কমেছে। সরবরাহ ঠিক রাখতে ভোক্তা অধিকারকে আরও জোরালোভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের কষ্টের বিষয়ে অবগত আছে। এরই মধ্যে চাল আদমানি শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তেল নিয়ে ব্যাপক কাজ করছি। রমজানকে সামনে রেখে সব পক্ষ সমন্বিত কাজ করছি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান কিংবা চীন দেখা হবে না। কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন নেই বাংলাদেশের। বাণিজ্য উদারনীতিতে চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি স্থানে ট্রাকে করে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। ভোক্তাদের জন্য ৪০ টাকা দরে জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলডিসি থেকে উত্তরণ ২০২৬ সালের নভেম্বরেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে এটি এবং এ পরিবর্তন বিপুল পরিমাণ সুযোগ তৈরি করবে। তবে এ জন্য আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন ও মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি–সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালাবিষয়ক তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যম শ্রেণির কর্মচারী ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এর আগে গত শনিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক বাণিজ্য সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের একাংশ ২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে বের হওয়া পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ওই দিন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেছিলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ার দরকার আছে কি না, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো নেওয়া যাবে কি না, এখনই তা ভেবে দেখা দরকার। অন্য ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে একই ভাষায় কথা বলছিলেন।
এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে ওই দিন শেখ বশিরউদ্দীনের জবাব ছিল, এটা করতে হবে। ২০২৬ না ২০৩০, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু এটা করতেই হবে। যথাযথ নীতি তৈরি করতে পারলে এটা সম্ভব।
এর আগে গত ১২ আগস্ট ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ এক বক্তব্যে বলেছিলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া দরকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থায়নের সুযোগ ও জিএসপি প্লাসের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং সেই বিনিয়োগের জোগান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই দেশের ব্যাংক খাত। এ কারণেই এলডিসি থেকে উত্তরণের দরকার নেই বলে তিনি মত দেন।
এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। গরিব বা এলডিসির তকমা থাকবে না। পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে বাংলাদেশ, যাতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হবে। ডব্লিউটিওর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর নিয়মিত হারে শুল্ক বসবে। বাড়তি শুল্কের কারণে রপ্তানি কমতে পারে বছরে ৫৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা)।
আজ সকালে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা যতই এগিয়ে যাব, ততই অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ), সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিও) করার জন্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি বহুপক্ষীয় আলোচনা করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), দক্ষিণ এশীয় উপ–আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কও গভীরতর করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দীন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি সরকারের শীর্ষ পর্যায়, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল এসেছিল। তাদের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ ৪.৭ বিলিয়ন ডলারে মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে এটা পেয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের স্থিতিশীলতা কিন্তু ফিরে আসছে। সম্পূর্ণ আসে নাই, তবে এখন সময় বিনিয়োগের। আপনারা দেখবেন ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট আগের মতো ওঠানামা করছে না। ব্যাংকিং খাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের লিকুইডিটি সার্পোট লাগছে। তবে ইসলামী ব্যাংকের মতো বড় ব্যাংক কিছুটা ফিরে আসছে। ইসলাসী ব্যাংক সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স খুবই ভালো। রপ্তানিও হচ্ছে ভালো, আমদানি একটু কম আছে। তবে আগের থেকে একটু বেড়েছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি কিছু কম আসছে, সেটা কিছু রেস্ট্রিকশনের কারণে। সেটা আমরা চিন্তা করছি, কী করা যায়। তারা আমাদের এখানে থাকবে কিছুদিন। আমরা তাদের বলেছি আমরা এমন কিছু নেব যেটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়। আমরা এমন কিছু নেব না যেটা নিজের।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা দেবে সেটা করতে পারব কিনা, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু আমি আশা করি তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেবে।
অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে আমরা আবার আলোচনা করে বলব। চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলার তো প্রথম প্যাকেজের। কিন্তু সংস্কার করতে হলে আমাদের ফান্ড লাগবে। আমাদের অনেক কিছু সংস্কার করতে হচ্ছে, যেমন- ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব খাত। এগুলো করতে আমাদের ফান্ড লাগবে।
তিনি বলেন, কিছুদিন পর এডিবি আসবে, ওপেক ফান্ডের টাকা আসবে। সব মিলিয়ে আগামী জুনের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার পাব।
শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিনদিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়।
২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশকিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন এবং আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে। এখন চতুর্থ কিস্তিতে ১.১ বিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইউসিবি ও ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চেয়ারম্যান শরীফ জহির ও তার ভাই ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেডের (এনএফএল) চেয়ারম্যান আসিফ জহিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার মা কামরুন নাহারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব লেনদেন বন্ধ থাকবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩-এর ২২৩ ধারার ক্ষমতাবলে শরীফ জহির, তার ভাই আসিফ জহির ও তাদের মা কামরুন নাহার এবং সৈয়দ ইশতিয়াক ইসলাম (পিতা- সৈয়দ দিদারুল আলম) ও তাদের পরিবারের (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) নামে পরিচালিত সব হিসাব (ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ভল্ট লকার) অর্থসম্পদ লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
শরীফ জহির ইউসিবি ব্যাংকের নবগঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার ভাই আসিফ জহির সম্প্রতি এনএফএলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অনন্ত গ্রুপে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া, তিনি আসিফ জহির সিন্দাবাদডটকম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপিজির দাম বদলাচ্ছে না ডিসেম্বরে
ডিসেম্বর মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মতো একই দাম থাকছে। এবারও ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মাসেও একই ছিল।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করেন।
এছাড়া ৫.৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৬৭ টাকা, ১২.৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১ হাজার ৮১৯ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১ হাজার ৯৪০ টাকা, ১৮ কেজির দাম ২ হাজার ১৮৩ টাকা, ২০ কেজির দাম ২ হাজার ৪২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২ হাজার ৬৬৮ টাকা, ২৫ কেজির দাম ৩ হাজার ৩২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩ হাজার ৬৩৮ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৪ হাজার ২ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৪ হাজার ২৪৪ টাকা, ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫ হাজার ৪৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসেও এই একই দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকা ৪৩ পয়সা এবং গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০.২৬০৯ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৬০.৯০ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, সৌদি সিপি এই মাসে অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ডলারের দামের তেমন তারতম্য হয়নি। এজন্য দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর নভেম্বর মাসে ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তারও আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সে সময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
তবে গত জুন ও মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা ও ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল এলপিজির দাম।
মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ
ডিসেম্বর মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হবে আজ (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকোর ডিসেম্বর মাসের সিপি (কন্ট্র্যাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী, এ মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয়ের বিষয়ে বিইআরসি মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করবে।
এর আগে, গত নভেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা কমিয়ে ১,৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা অক্টোবর মাসের তুলনায় কম ছিল। তবে গত অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, জুন, মে এবং এপ্রিল মাসে দাম কমানো হয়েছিল। একইভাবে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছিল।
এলপিজির পাশাপাশি, নভেম্বরে অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছিল। নভেম্বরে অটোগ্যাসের মূসকসহ প্রতি লিটারের দাম ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। গত অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট এবং জুলাই মাসে অটোগ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল, তবে জুন, মে এবং এপ্রিল মাসে দাম কমানো হয়েছিল। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে অটোগ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
২০২৩ সালে মোট ৫ দফা কমানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, এবং বেড়েছিল ৭ দফা।
কাফি