আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম, কমতে পারে দেশেও
রেকর্ড গড়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বড় দরপতনের মধ্যে পড়েছে সোনা। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে প্রায় ১২২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার টাকার ওপরে।
বিশ্ববাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় বাংলাদেশে সোনার দাম কমানো হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে সোনার দাম কমার হার বেশ কম। ফলে দেশের বাজারে যেকোনো সময় সোনার দাম কমতে পারে। গত সপ্তাহে দুই দফায় দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমেছে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা।
তথ্য পর্যালোচায় দেখা যায়, বিশ্ববাজারে দফায় দফায় দাম বেড়ে গত ৩০ অক্টোবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৮৯ ডলারে উঠে। এই রেকর্ড দাম হওয়ার পর দিন থেকেই পতনের মধ্যে পড়ে সোনা। সেই দরপতনের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় বাংলাদেশে ২০, ২৩ ও ৩১ অক্টোবর টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৩১ অক্টোবর সব থেকে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে যেমন সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাজারে সোনা পতনের মধ্যে পড়লে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হচ্ছে। চলতি মাসে টানা চার দফা দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে। এই চার দফায় ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম কমেছে ৯ হাজার ১৭ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর সময় প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৬৮৪ দশমিক ৪১ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬২ দশমিক ৫৪ ডলারে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ১২১ দশমিক ৮৭ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৬২৫ টাকা (১ ডলার সমান ১২০ টাকা ধরা হয়েছে)।
বিশ্ববাজারে সোনার এই দাম কমার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহের ১৩ ও ১৫ নভেম্বর দুই দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ১৫ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমানো হয়। আর ১৩ নভেম্বর কমানো হয় ২ হাজার ৫১৯ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহের দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমেছে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা। এ হিসাবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম যে পরিমাণ কমেছে, বাংলাদেশে তার তুলনায় ৭১ শতাংশ কম কমেছে।
বাজুসের এক সদস্য বলেন, নানা ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক উত্থান হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর সোনার দাম পতনের মধ্যে পড়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারের তুলনায় আমাদের বাজারে সোনার দাম কমার পরিমাণ তুলনামূলক কম। তাই বিশ্ববাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করতে যে কোনো সময় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হতে পারে।
বাংলাদেশে সোনার বর্তমান দাম
দেশের বাজারে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৮০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দেশটির সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঘুষের প্রস্তাব ও তথ্য আড়াল করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। খবর রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
একই অভিযোগে গৌতম আদানির ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রসিকিউটরদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আদানি ও অন্য সাতজন অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই প্রকল্পের বিনিময়ে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে রাজি হয়েছিলেন। এই প্রকল্প থেকে ২০ বছরে তাদের ২০০ কোটি ডলার ফায়দা হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটি পেলে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ করতে পারে।
ঘুষ-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে গৌতমের ভাইপো সাগরেরও। এ ছাড়াও রয়েছেন- ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডে’র সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রুপেশ আগরওয়াল, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল এবং দীপক মলহোত্র।
আদালতের নথির বরাতে রয়টার্স আরও বলছে, গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে একজন বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। প্রসিকিউটররা এই পরোয়ানা বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছেন।
প্রসিকিউটররা জানান, আদানি ও আদানি গ্রিন এনার্জির আরেকজন নির্বাহী, সাবেক সিইও ভিনিত জৈন দুর্নীতির বিষয়টি গোপন করে ঋণদাতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ ও বন্ড সংগ্রহ করেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, কিছু ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিগতভাবে গৌতম আদানিকে ‘নুমেরো উনো’ এবং ‘দ্য বিগ ম্যান’ সাংকেতিক নামে ডাকতেন। আর সাগর আদানি তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘুষের সুনির্দিষ্ট তথ্য ট্র্যাক করতেন।
এদিকে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২২৩৭ কোটির বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আদানি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে।
তবে আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ দায়ের এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি আদানি গ্রুপ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুস-জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে ঘুষ-জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার নিউইয়র্কের একটি আদালতে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঘুষকাণ্ডে জড়িত এবং বিষয়টি গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে অর্থও সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আদানি এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তারা ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে লাভজনক চুক্তি করেছেন। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়েছে।
এমনকি আদানি গ্রুপ ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ এবং বন্ডও সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস বলেন, আমাদের আর্থিক বাজারের সততা রক্ষার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
অভিযোগ করা হয়েছে, ঘুষকাণ্ড এগিয়ে নিতে গৌতম আদানি নিজেই একাধিকবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কর্মী সংকটে অতিরিক্ত দুই লাখ ভিসা দেবে জার্মানি
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে কর্মী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। দীর্ঘদিন ধরে চলমান জনবল সংকট কাটাতে এবার আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন। যার ফলে ইউরোপের দুয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেতে পারেন লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশে কঠোর সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই এসব সুযোগ দিল জার্মানি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মী সংকট কাটাতে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই অতিরিক্ত ২ লাখ দক্ষ কর্মী ভিসা প্রদান করবে দেশটি। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার জানান, দক্ষ তরুণরা জার্মানিতে আরও সহজে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা শেষ করত পারবে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা খুব দ্রুত এবং সহজেই জার্মানিতে তাদের কাজ খুঁজে নিতে পারবে।
২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার পেশাদার ভিসা ইস্যু করেছিল জার্মানি, চলতি বছর এই ভিসার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি সংকট সমাধানে ভিসাসংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জার্মানিতে বিভিন্ন চাকরিতে ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি রয়েছে। এই কর্মী ঘাটতি না থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর আরও বেশি হতে পারতো বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত পাঁচ বছরে জার্মানিতে ১৬ লাখ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন বিদেশিরা।
ভাষার দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং কম বয়সের ভিত্তিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পয়েন্ট সিস্টেমে এক বছরের ভিসা দেবে জার্মানি। এজন্য ‘অপরচুনিটি কার্ড’ চালু করেছে দেশটি৷ এই কার্ডের কারণে পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়ালেখা ও চাকরি খোঁজার সুযোগ বেড়েছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের মানুষরাও সরাসরি জার্মানিতে যেতে পারবেন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন।
দক্ষ কর্মী ভিসার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে জার্মান সরকার। আগামী ২০২৫ সালে ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে শিক্ষার্থী ভিসার পরিমাণ। ভবিষ্যতে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিনামূল্যে ১ হাজার মুসল্লিকে ওমরাহ করাবে সৌদি
তালিকাভুক্ত ৬৬টি দেশের এক হাজার মুসল্লিকে বিনামূল্যে ওমরাহ করার সুযোগ দেবে সৌদি সরকার। সুযোগ পাওয়া মুসল্লিদের ওমরাহর সম্পূর্ণ ব্যয় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন।
দেশটির হজ এবং ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববি এবং সৌদি সরকারের অতিথি হিসেবে তারা ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মনোনীত সব ওমরাহ যাত্রীকে ইতোমধ্যে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের আহ্বান করা হবে।
সৌদির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী এবং সরকারি এই কর্মসূচির সুপারভাইজার শেখ আবদুল লতিফ আল শেখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইসলামিক স্কলার, শেখ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব ও সম্পর্ক স্থাপনই এ উদ্যোগ বা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মুসল্লিকে অতিথি হিসেবে ওমরাহ করিয়ে আসছে সৌদি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তীব্র বায়ুদূষণে দিল্লির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ভারতের রাজধানীতে তীব্র বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশী। তবে অনলাইনে প্রাইমারি স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। খবর বাসস।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে ছিল নয়াদিল্লি, যা এই মৌসুমে সর্বনিম্ন। এ কারণে খুব কাছে থাকা জিনিসও দেখতে বেগ পেতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ শিশুদের বাড়ির ভিতরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল রোববার দিনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী অতীশী এক বিবৃতিতে বলেছেন, সশরীরে উপস্থিত হয়ে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বায়ুদূষণে সবচেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। চোখের জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন নয়াদিল্লির বাসিন্দারা।
যানবাহন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ডিজেল চালিত যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পরিবেশ মন্ত্রী।
এমআই