Connect with us

জাতীয়

জলবায়ু সম্মেলনে নতুন সভ্যতা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Published

on

১২৫ কোটি

জলবায়ু সংকট যখন মানব সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনার হুমকি দিচ্ছে, তখন পুরো বিষয়টিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে গ্রহণ করতে হবে ভিন্ন জীবনধারা, গড়ে তুলতে হবে ভিন্ন এক সংস্কৃতি। আর সেটা হতে পারে তার দীর্ঘদিনের লালিত ‘থ্রি জিরো’ বা ‘তিন শূন্য’ ধারণা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।

বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৯) সংকট মোকাবেলার নিদান হিসেবে এই তিন শূন্যের ধারণা বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস।

তরুণদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন তিন শূন্যের আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠে এবং পুরো জীবন সেই আদর্শে অটল থাকে।

বাকুতে কপ-২৯ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। আগের সম্মেলনগুলোতে যে প্রতিশ্রুতি বিশ্ব নেতারা দিয়ে আসছিলেন, তার বাস্তবায়ন কোন পথে হবে, সেই আলোচনা বাকুতেও ঘুরে ফিরে আসছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, বৈশ্বিক তাপমামাত্রা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া হবে না। সেজন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমানো হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে অভিযোজনের সুযোগ পায়, সেজন্য উন্নত দেশগুলোর বছরে ১০ কোটি ডলার দেবে।

এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর, সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি খুব বেশি নেই।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জলবায়ু বিপর্যয়কে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের শুধু মেরামত করার কথা বলবে না, বরং আমাদেরকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য একটি নতুন পথে নিয়ে যাবে। এটা অনেক বড় কাজ, অনেক প্রশ্নও উঠবে।”

বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে। আমরা আত্মবিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাওয়ায় আমাদের সভ্যতা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক এবং যুব শক্তিকে একত্রিত করা, যে সভ্যতা নিজেই নিজেকে রক্ষা করবে, নিজেই নিজের শক্তি যোগাবে।”

প্রধান উপদেষ্টার মতে, মানুষের কাজের কারণেই তাদের আবাসভূমি পৃথিবী আজ ধ্বংসের দুয়ারে পৌঁছে গেছে।

“আমরা জেনেশুনে এই ধ্বংসপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। এমন এক জীবনধারা আমরা বেছে নিয়েছি, যা পরিবেশের ক্ষতির কারণ।”

বিষয়টি ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, যে অর্থনৈতিক কাঠামো মানুষ গড়ে তুলেছে, তা কেবল সীমাহীন ভোগবাদে উৎসাহ দেয়।

“আপনি যত বেশি ভোগ করবেন, তত বেশি উৎপাদন আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি বেশি উৎপাদন করবেন, তত বেশি অর্থ আপনি উপার্জন করবেন। আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে সর্বোচ্চ লাভের ওই আকাঙ্ক্ষা, যা কি না এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমস্ত কিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত করে।”

ইউনূসের বিশ্বাস, শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য দারিদ্র্য আর শূন্য বেকারত্ব অর্জনের পথ ধরে মানুষ পৌঁছাতে পারে সেই নতুন জীবনধারায়, যা আত্মবিধ্বংসী নয়, বরং নিজেই নিজের আবাসভূমিকে রক্ষা করবে।

“শূন্য বর্জ্যের নীতি মানুষের ভোগে লাগাম দেবে; যা একান্ত জরুরি, কেবল তাই মানুষ ব্যবহার করবে। তাতে কোনো বর্জ্য অবশিষ্ট থাকবে না। এটা সেই জীবনধারা, যেখানে কার্বন নিঃসরণ নামবে শূন্যের ঘরে, কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি মানুষ ব্যবহার করবে না। মানুষের চাহিদা মেটাবে কেবল নবায়নযোগ্য জ্বালানি।

“নতুন এই অর্থনীতি গড়ে উঠবে প্রাথমিকভাবে শূন্য ব্যক্তিগত লাভের নীতিতে, অর্থাৎ সামাজিক ব্যবসা হবে এর ভিত্তি। এটা সেই ব্যবসা কাঠামো যার উদ্দেশ্য থাকবে সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করা, ব্যবসা থেকে লাভ করা নয়। সামাজিক ব্যবসার একটি বড় অংশ নজর দেবে পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষার দিকে।

“সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবেও উন্নত হবে। এ ব্যবস্থা তরুণদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ খুলে দেবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মধ্য দিয়ে তরুণরা নিজেদের প্রস্তুত করবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থার জায়গা নেবে উদ্যোক্তা তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা।”

ইউনূস বলছেন, পরিবেশের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন নতুন একটি জীবনধারা, যে জীবনধারা চাপিয়ে দেওয়া নয়, যা মানুষকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে। বেছে নেওয়ার সুযোগের কারণেই তরুণরা সেই জীবনধারাকে পছন্দ করবে।

“প্রতিটি তরুণ এই তিন শূন্যের নীতি নিয়ে বেড়ে উঠবে — শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, সম্পদের শূন্য পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব। সেটা সম্ভব হবে কেবল সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে এবং নিজেদের উদ্যোক্তায় পরিণত করার মাধ্যমে। প্রতিটি মানুষ তিন শূন্যের নীতি নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং আজীবন তিন শূন্যের নীতি ধারণ করবে। আর সেই পথ ধরেই এটি নতুন সভ্যতা গড়ে উঠবে।”

প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বাস, সেই সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব। সেজন্য মানুষকে যা করতে হবে, তা হল এই পৃথিবী এবং এর সকল বাসিন্দার জন্য মঙ্গলজনক একটি জীবনধারা বেছে নেওয়া। বাকিটা করবে তরুণ প্রজন্ম; তারা এই পৃথিবীকে ভালোবাসে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জলবায়ু সম্মেলনে হাজির হওয়া বিজ্ঞানী, নীতি নির্ধারক আর অধিকারকর্মীদের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আশা করি এই স্বপ্নের পথে আপনারাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি, তাহলে সেটা বাস্তব হবেই।”

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত

বিদেশ যেতে মতিউরের রিট, খারিজ করলো আদালত

Published

on

ছাগলকাণ্ডের মতিউরসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমানের বিদেশ যেতে চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ২১ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

ওইদিন দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কামিজ ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করার জন্য পুনরায় আদেশ দেওয়া আবশ্যক।

আনোয়ার হোসেনের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

সেটা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টে আসেন মতিউর ও তার স্ত্রী। পরে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন এর ওপর রিট করেন। পরে শুনানিতে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ করে দেন আদালত।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

আইজিপির বাসভবনে প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’

Published

on

১২৫ কোটি

বর্তমান আইজিপি দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলি-পদোন্নতি তদবিরের জন্য তার বাসভবনে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার বাসভবনে যাওয়ার আগে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আইজিপির বাসায় প্রায় সময় পুলিশ সদস্যদের ভিড় থাকত। পুলিশ সদস্যরা তাদের বিভিন্ন দাবি কিংবা তদবির নিয়ে যেতেন আইজিপির বাসায়। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতো। বর্তমানে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া এখন কেউ আইজিপির বাসভবনে যেতে পারবেন না।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সাক্ষাতের জন্য বাসভবনে যেতে হলে পূর্বানুমতি প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আদেশের কপিটি পাঠানো হয়েছে- পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন), র‍্যাব মহাপরিচালক, সিআইডি প্রধান, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর, রেলওয়ে পুলিশের প্রধান, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, আর্মড পুলিশের প্রধান, সারদা পুলিশ একাডেমি, নৌ পুলিশের প্রধান, ডিএমপি কমিশনার, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান, এসবি প্রধান, শিল্পাঞ্চল পুলিশ প্রধান, পিবিআই প্রধান, এটিইউ প্রধান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।

এছাড়াও সকল রেঞ্জ ডিআইজি, সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, সকল অতিরিক্ত ডিআইজি, সকল জেলা পুলিশ সুপারদেরকে আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে।

গত ২০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বাহারুল আলমকে।

বাহারুল আলম ২০০৭-০৮ সালে এসবি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। পরে পুলিশ সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত বাহারুল আলম ২০২০ সালে অবসরে যান। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়।

এদিকে সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন মধ্যরাতে নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পান মো. ময়নুল ইসলাম।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

Published

on

১২৫ কোটি

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকার গৃহীত কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের টেকসই উন্নয়নের ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব যুক্ত করার চিন্তা করছে সরকার।

সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এই তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।

‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ আর্থিক স্বাধীনতা, কর্মঠ জনশক্তি তৈরি এবং পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি মডেল। এটি একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হচ্ছে- জিরো দারিদ্র্য, জিরো বেকারত্ব ও জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ। আর তা অর্জনে প্রয়োজন তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।

গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলাদা সম্মান পেয়েছেন তার এই থ্রি জিরো তত্ত্বের জন্য।

এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মূল পরিকল্পনায় রয়েছে- সবার জন্য কল্যাণকর পৃথিবী এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ।

থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘আমরা এজডিজির সঙ্গে থ্রি জিরো তত্ত্ব যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এসডিজির ওপর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের একটি কর্মশালা চলছে, সেখানে এই তত্ত্বের বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা চাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সব পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্বের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হোক।’

তিনি উল্লেখ করেন, এসডিজির লক্ষ্য পূরণের কার্যক্রমের মধ্যে থ্রি জিরো তত্ত্ব রাখা হয়েছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কারোর ওপর এই তত্ত্বের প্রয়োগ চাপিয়ে দিতে চান না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- যার ভালো লাগবে তিনি এটি গ্রহণ করবেন এবং কাজে লাগাবেন। এ কারণে এসডিজির বাইরে সরকারের কোনো বড় পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

থ্রি জিরো তত্ত্বের মূল ভিত্তি হলো- দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। এই তত্ত্বের ব্যাপারে অধ্যাপক ইউনূসের ভাষ্য, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং এই ব্যবস্থার অধীনে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। মানুষ এককভাবে দারিদ্র্যতা তৈরি করে না, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভেতরেই তৈরি হয় দারিদ্র্য।’

তার মতে, ভালো চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা তৈরিতে জোর দিতে হবে। তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমরা জন্মেছি সমস্যা সমাধানের জন্য, কারো অধীনে চাকরি করার জন্য নয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে হবে। কারো অধীনে নয়, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই।’

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী ও নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বকে বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি সম্মেলনে নিজের ভাষণে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করে বলেছেন, এটি এক নতুন সভ্যতার জন্ম দেবে। গড়ে তুলবে এক নতুন পৃথিবী, যা সবার জন্য বাসযোগ্য হবে।

তিনি এও বলেছেন, এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে জীবনশৈলী পাল্টানো সম্ভব। পরিবেশের নিরাপত্তার জন্যই দরকার এই নতুন জীবনধারা বা ‘লাইফস্টাইল’। সেই যাপন চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তা পছন্দ করতে হবে। যুব সম্প্রদায় তা আনন্দের সঙ্গে ভালবেসে গ্রহণ করবে। এভাবে যুবসমাজের প্রত্যেকে নিজেদের ‘থ্রি জিরো পারসন’ হিসেবে গড়ে তুলবে।

‘থ্রি জিরো পারসন’ কেমন, তার ব্যাখ্যায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সেই ব্যক্তি কার্বন নিঃসরণ করবে না। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো কার্বন’। সে সম্পদের একক মজুতদার হবে না। তার সম্পদ হবে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো দরিদ্র’ এবং এভাবেই তারা প্রত্যেকে উদ্যোগী হয়ে পূরণ করবে ‘জিরো বেকারত্বের’ তৃতীয় শর্ত। অর্থাৎ মুহাম্মদ ইউনূসের মতে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে পারলে দুশ্চিন্তামুক্ত ও বাসযোগ্য এক নতুন পৃথিবী গড়ে উঠবে।

থ্রি জিরো পারসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে থ্রি জিরো ক্লাব বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করেন কর্মজীবনে অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের সহকর্মী লামিয়া মোরশেদ। তিনি মনে করেন এই ক্লাবের সদস্যরা থ্রি জিরো তত্ত্ব সম্পর্কে সচেতন হন এবং একসময় নিজেরা থ্রি জিরো পারসন হিসেবে গড়ে ওঠেন।

ইউনূস সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লামিয়া মোরশেদ বলেন, সারা পৃথিবীজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার ৬০০টি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে, যার প্রতিটি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত। এসব ক্লাবের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে উঠেছে।

বিশ্বের অসংখ্য বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এই ক্লাব সমানভাবে গড়ে উঠেনি। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির পক্ষে এই থ্রি জিরো ক্লাব তৈরির আগ্রহ দেখানোটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। অধ্যাপক ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

এ বিষয়ে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বাংলাদেশে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, এখন সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় দিন দিন এর পরিসর বাড়ছে। এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন। বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইদানীং থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কর্মশালা অনেক বেড়ে গেছে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নয়, এটা যে যার অবস্থান থেকে নিজ উদ্যোগে করছেন। শুধু নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেন যে আমরা এটা করছি।’

তিনি জানান, থ্রি জিরো ক্লাব ইচ্ছে করলেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় দেখা হয়। তারা যে কাজগুলো করছে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে করছে কি-না এবং সেটি টেকসই কি-না, এসব দেখার পরেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়।

টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রবক্তা অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘ স্যার সবসময় বলেন আমাদের সমাজে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করেছি। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য তরুণরা উপযুক্ত ব্যক্তি, কারণ তাদের মাথায় অনেক নতুন নতুন আইডিয়া আছে, তারা সেটা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। এজন্য ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যারা রয়েছেন, তাদেরকে তিনি বলেন তোমরা থ্রি জিরো ক্লাব করতে পারো।’ ৪ থেকে ৫ জন মিলে এই ক্লাব করা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

লামিয়া মোরশেদ মনে করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বকে প্রকৃতপক্ষে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, মাইক্রোক্রেডিট ও মাইক্রো ফাইন্যান্সের পর ড. ইউনূসের নবীন প্রোগ্রাম হলো সামাজিক ব্যবসা। এই ধারণার মূল বিষয় হলো একজন তার নিজের চাকরির ব্যবস্থা করবে পাশাপাশি অন্যদের চাকরির সুযোগ করে দেবে। অর্থাৎ আমি একটি ঋণ নিয়ে একটি কাজ শুরু করলাম যেখানে আরও তিন-পাঁচজন লোক কাজ করবে তাদের কর্মসংস্থান হবে। এই ব্যবসা থেকে যে মুনাফা আসবে তা জনকল্যাণে ব্যয় হবে।

মুনাফার অর্থ স্বাস্থ্য, শিক্ষা কিংবা পরিবেশের উন্নয়নে ব্যয় হতে পারে। এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ইউনূস সবসময় দারিদ্র বিমোচন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশ দূষণ কমানোর ওপর জোর দেন উল্লেখ করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘ড. ইউনূস সবসময় বলেন যদি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকে তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো কীভাবে। তাই প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। তার যে উন্নয়ন তত্ত্ব তা কেবল বাংলাদেশকে ঘিরে নিয়ে নয়, সেটি সারা বিশ্বের কল্যাণ এবং ভবিষ্যতকে কেন্দ্র করে।’

এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার মূল থিম হচ্ছে-এখান থেকে আমি কোন লাভ করব না তবে আমার মূল টাকা ফেরত আসতে হবে। যাতে করে ওই অর্থ আবার অন্য আরেকটি সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায়। মুহাম্মদ ইউনূস আগে থেকেই বলতেন মাইক্রোক্রেডিটের সঙ্গে সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সামাজিক কার্যক্রম মনকে অনেক তৃপ্তি দেয়, কারণ এতে মানুষ অনেক উপকৃত হয়।

তিনি জানান, বিশ্বের ৩৯টি দেশের ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার রয়েছে। যেখানে মাইক্রোক্রেডিটের বিজনেস গুলো শিখানো হয়। তাদের আগ্রহে থ্রি জিরো ক্লাব তৈরি হচ্ছে। এ ক্লাবের মূল লক্ষ্য হলো শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জন করা।

লামিয়া মোরশেদ জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যুব সম্মেলনে (ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল) থ্রি জিরো বিষয়টা রাখা হবে। খেলাধুলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদনের অংশ হিসেবে কাজ করে, এটাকে কীভাবে সামাজিক কার্যক্রমের অংশ বানানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। একটা টুর্নামেন্টে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করে, সেখানে যদি আমরা একটি থিম দেয় যে আমরা জিরো ওয়েস্ট এর দিকে এগিয়ে যাবো, আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার করব না, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলবো না। এই বিষয়ে যদি আমরা সচেতনতা তৈরি করতে পারি তাহলে সমাজে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মেসির মতো খেলোয়াড় যদি বলেন যে আমরা জিরো ওয়েস্ট করব তাহলে এই বার্তাটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা এ ধরনের কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড বিভাগের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা সংস্থা র‌্যাপিড এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের সব সূচকে অভীষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে ‘থ্রি জিরো থিওরি’ অনুঘটন হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি মনে করেন থ্রি জিরো তত্ত্বের ধারণা বাংলাদেশে তরুণদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য খাতে একটি নতুন বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, অথচ উদ্যোক্তা বিকাশ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়।

ড. রাজ্জাক বলেন, থ্রি জিরো তত্ত্ব কাজে লাগানো গেলে দেশে সর্বস্তরে উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করা যাবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

নেতৃত্বের পরিবর্তনেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান

Published

on

১২৫ কোটি

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার অগ্রগতি নি‌য়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার জাপান দূতাবাস। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। গত আগস্টে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসার পর আমি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়নে কী প্রয়োজন এগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের প্রয়োজন জানতে পারলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ ক‌রে যাবে। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়।

কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি) থেকে জাপানি সৈনিকদের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিককে ওয়ার সিমেট্রিতে ৮১ বছর আগে সমাহিত করা হয়। ২৪টি সমাধির মধ্যে ২৩টিতেই সৈনিকদের দেহাবশেষের বিভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ঢাকায় আনা হ‌য়ে‌ছে। ২৩ সৈনিকের দেহাবশেষের পাওয়ার পর কিছু অংশ জাপানে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নি‌য়ে যাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। ডিএনএ টেস্টে জাপানি সৈন্য নিশ্চিত হওয়া গেলে পরবর্তীতে তা‌দের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় গত ১৩ নভেম্বর। খনন কাজ ২৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দিন আগে এ কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু

Published

on

১২৫ কোটি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও ১১ জন মারা গেছেন। যা চলতি বছর একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৭৯ জন।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা। এর মধ্যে পাঁচজন উত্তর সিটির, চারজন দক্ষিণ সিটির। বাকি দুজন খুলনা বিভাগের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১০৭৯ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৭২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১২৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬১২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৬ হাজার ৭৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার39 minutes ago

দুই ঘণ্টায় ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন।...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার48 minutes ago

ইজিএমের তারিখ জানালো সমতা লেদার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩১...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

হেলমেট উৎপাদনে এটলাস বিডি ও রানার ট্রেডের চুক্তি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিএল) এবং রানার ট্রেড পার্ক লিমিটেডের (আরটিপিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

সোনালী আঁশের পর্ষদ সভার তারিখ প্রকাশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ নভেম্বর...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো এসএস স্টিল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসএস স্টিল লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা অয়েলের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ০১ ডিসেম্বর...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার13 hours ago

বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার17 hours ago

মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়নে অ্যাসেট ম্যানেজারদের সঙ্গে বসবে বিএসইসি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার17 hours ago

জাহাজ কিনবে এমজেএল বাংলাদেশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি আফরাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার নামে একটি...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার18 hours ago

সমতা লেদারের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার18 hours ago

লোকসান কমেছে আইসিবির

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি) গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার19 hours ago

শাশা ডেনিমসের নতুন চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি শাশা ডেনিমস লিমিটেডের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচত হয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার19 hours ago

ব্লকে ১৩ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে ৩১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার20 hours ago

‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত মার্কেন্টাইল ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ড

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে বন্ড খাতে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। বন্ডটি ‘এন’ থেকে...

১২৫ কোটি ১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার21 hours ago

ড্রাগন সোয়েটারের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ নভেম্বর...

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
১২৫ কোটি
রাজধানী5 minutes ago

ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

ছাগলকাণ্ডের মতিউরসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ
আইন-আদালত23 minutes ago

বিদেশ যেতে মতিউরের রিট, খারিজ করলো আদালত

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার39 minutes ago

দুই ঘণ্টায় ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার48 minutes ago

ইজিএমের তারিখ জানালো সমতা লেদার

১২৫ কোটি
অর্থনীতি1 hour ago

মুখ থুবড়ে পড়েছে এডিপি বাস্তবায়ন, একযুগে সর্বনিম্ন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

হেলমেট উৎপাদনে এটলাস বিডি ও রানার ট্রেডের চুক্তি

১২৫ কোটি
আইন-আদালত2 hours ago

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

সোনালী আঁশের পর্ষদ সভার তারিখ প্রকাশ

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো এসএস স্টিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা অয়েলের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

১২৫ কোটি
রাজধানী5 minutes ago

ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

ছাগলকাণ্ডের মতিউরসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ
আইন-আদালত23 minutes ago

বিদেশ যেতে মতিউরের রিট, খারিজ করলো আদালত

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার39 minutes ago

দুই ঘণ্টায় ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার48 minutes ago

ইজিএমের তারিখ জানালো সমতা লেদার

১২৫ কোটি
অর্থনীতি1 hour ago

মুখ থুবড়ে পড়েছে এডিপি বাস্তবায়ন, একযুগে সর্বনিম্ন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

হেলমেট উৎপাদনে এটলাস বিডি ও রানার ট্রেডের চুক্তি

১২৫ কোটি
আইন-আদালত2 hours ago

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

সোনালী আঁশের পর্ষদ সভার তারিখ প্রকাশ

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো এসএস স্টিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা অয়েলের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

১২৫ কোটি
রাজধানী5 minutes ago

ফের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

ছাগলকাণ্ডের মতিউরসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ
আইন-আদালত23 minutes ago

বিদেশ যেতে মতিউরের রিট, খারিজ করলো আদালত

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার39 minutes ago

দুই ঘণ্টায় ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার48 minutes ago

ইজিএমের তারিখ জানালো সমতা লেদার

১২৫ কোটি
অর্থনীতি1 hour ago

মুখ থুবড়ে পড়েছে এডিপি বাস্তবায়ন, একযুগে সর্বনিম্ন

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

হেলমেট উৎপাদনে এটলাস বিডি ও রানার ট্রেডের চুক্তি

১২৫ কোটি
আইন-আদালত2 hours ago

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

সোনালী আঁশের পর্ষদ সভার তারিখ প্রকাশ

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো এসএস স্টিল

১২৫ কোটি
পুঁজিবাজার2 hours ago

যমুনা অয়েলের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা