রাজনীতি
শেখ মুজিবের ছবি সরানো বক্তব্য নিয়ে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি- বলে নিজের করা এমন মন্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, আজকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত, ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জাতি হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে: ফখরুল
দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসন আমলে কতগুলো গার্বেজ তৈরি হয়েছে। এগুলো পরিস্কার সত্যিকার অর্থে ১৭ দিনেও সম্ভব নয়, ১৭ মাসেও নয়। তাই জাতি হিসেবে আমাদের এখন সহনশীল হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের পর কালিবাড়ির নিজ বাস ভবনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা কাজ খুব সফলভাবে করেছে। তা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন থাকবে কিন্তু ঐক্য থাকবে মৌলিক বিষয়ে। এই ঐক্য রাখার ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যেটা মনে করি এবং এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আমাদের সহনশীল হতে হবে। ১৭ বছরে একটা জঞ্জাল, একটা গার্বেজ তৈরি হয়েছে এটা সত্যি কথা বলতে ১৭ দিনেও সম্ভব না, ১৭ মাসেও না। তাদের সময় দিতে হবে। তাদের প্রধান যে দায়িত্ব আমরা বারবার বলছি, সব সংস্কারে তাদের হাত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট আসবে তারা সে কাজগুলো করবে। এই সরকারের দায়িত্ব হবে নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলে যেন ভোট দিতে পারে। সকলে যেন অংশ নিতে পারে। আর ভোটের যে সিস্টেম আওয়ামী লীগ করে গেছে সেগুলো নির্মূল করা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন। নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ। অন্যান্য সরকারের দিকে না তাকিয়ে আপনাদের মত করে দেশ পরিচালনা করুন।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় লালমনিরহাটের বড়বাড়ি ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন সংস্কারের বিষয়গুলো শেষ করতে পারেন সে ব্যাপারে সহনশীলতা দেখাতে হবে। সব সমস্যা রাজনীতিতে না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
ফখরুল বলেন, দেশের সব জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া বিতর্কিত কেউ যাতে উপদেষ্টা পরিষদের যুক্ত হতে না পারেন সেদিকেও নজর দিতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসন শেষে দেশের মানুষ এখন মুক্ত বাতাসের স্বাদ নিতে পারছে। শহীদ জিয়ার চেতনাকে বুকে লালন করে বিএনপি নেতাকর্মীকে এগিয়ে যেতে হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানো ঠিক হয়নি: রিজভী
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকার করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। খন্দকার মোশতাকও তার ছবি নামিয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমান আবার টাঙিয়েছিলেন সেই ছবি।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ভালো ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভাজন করা হয়েছিল। বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি অনেককে। রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। একই পদে ১৫ থেকে ১৬ বছর চাকরি করেছেন তারা।
রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মারা গেছে। চিকিৎসকরা রাতের পর রাত জেগে থেকে চিকিৎসা করেছে, ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। আপনারা (উপদেষ্টা ও সচিব) কয়জন হাসপাতালে গিয়েছেন? আর আজকে অহংকার করেন, কথা বলতে চান না। আমরা আপনাদের চিনে রাখছি। আপনারা কারা? আপনারা শেখ হাসিনার দোসর। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা তুলে আজকে সচিব ও যুগ্ম সচিব হচ্ছেন। উপদেষ্টার পদে আছেন।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছেন স্বাধীনতার পরে। সব দল নিষিদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তার হাত ধরে। এর আগে ৬০’র দশকে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন করেছেন। মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছিল, ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেননি। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে তার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন একজন অদম্য সৈনিক, জিয়াউর রহমান।
রিজভী বলেন, দেশ স্বাধীন হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। আমরা দেখলাম তাদের হাত দিয়ে হত্যা, খুন ও গুম হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কম অত্যাচার করত তাহলে তাকে পালাতে হতো না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গণতন্ত্র না ফিরলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না: তারেক রহমান
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুঁশি তাকে ভোট দেবে। ষড়যন্ত্র রুখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিনমাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে আমাদের দেশের কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুইটি হয়েছিল, দুইটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে। খালেদা জিয়ার সময় ৫ হাজার পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করতো। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।
কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয় সেজন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি। অনেক সময় মহাজন থেকে ঋণ নেয়, যা কৃষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সেখান থেকে আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে এই সমস্যাটা আর হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এত মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি সম্ভব না। তাই যেগুলো মৌলিক খাদ্য, সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষি জমি বাড়ানো যায় সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো করলে কৃষি জমি বাড়ানো যায়, এটা একমাত্র সম্ভব ক্ষমতায় গেলে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কার অর্থবহ হতে নির্বাচন দরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার অর্থবহ হবে না। আর তা হতে হবে সংসদীয় ব্যবস্থায়, সে জন্য নির্বাচন দরকার। শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তরুণদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিন মাসের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করেছে। এই সরকারকে সময় দিতে হবে। সংস্কারের জন্য অনেক কমিশন করেছে, ফ্যাসিবাদের বিচারের উদ্যেগ নিয়েছে। এই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথার কারণে ফ্যাসিবাদীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে, কোনো কোনো মিডিয়া সেটিকে আবার প্রোমোট করছে, এটা বন্ধ করতে হবে। বয়স্কদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুবকদের শক্তি, সাহসকে এক করে দেশের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে সময় দিতে হবে। তাদের আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। মিডিয়ার মধ্যে অনেকেই কোনো সাফল্য দেখতে পান না। সব কিছু এক সঙ্গে সম্ভব নয়। তরুণদের অনুরোধ করবো, আপনারা ধৈর্য ধরুন।
এমআই