আন্তর্জাতিক
বিশ্বের শীর্ষ দশ শক্তিশালী মুদ্রা

বিশ্বের ১৯৫টি দেশে বর্তমানে ১৮০টি মুদ্রা ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি মুদ্রার শক্তি নির্ভর করে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সেটির চাহিদা, সরবরাহ পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর।
মুদ্রাশক্তি বলতে একটি মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। একক পরিমাণ জাতীয় মুদ্রা দিয়ে যত পণ্য ও সেবা কেনা যায় এবং বিনিময়ে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়, তার তুলনা করে এটি হিসাব করা হয়।
মুদ্রা সবসময় জোড়ায় বিনিময় হয়; যেমন, ভারতীয় রুপির বিপরীতে মার্কিন ডলার কেনা। তাই একটি দেশের মুদ্রার মূল্য বিদেশি মুদ্রার সাথে তুলনা করে নির্ধারিত হয়। এটি বিনিময় হার নামে পরিচিত।
এই বিনিময় হারই নির্ধারণ করে, বিদেশি মুদ্রায় পণ্য ও সেবার খরচ কেমন হবে। উদাহরণস্বরূপ, পাউন্ডের বিনিময় হার ডলারের তুলনায় দুর্বল হলে, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করা পাউন্ড ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
বিশ্বের শক্তিশালী ১০টি মুদ্রা
১. কুয়েতি দিনার (কেডাব্লিউডি)
বেশিরভাগ মানুষ মার্কিন ডলারকে সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা মনে করলেও, কুয়েতি দিনার সেই স্থান দখল করে আছে।
১৯৬০-এর দশকে চালু হওয়া কুয়েতি দিনার বিশ্বজুড়ে তেলের রপ্তানির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার অবস্থান অর্জন করেছে।
২. বাহরাইনি দিনার (বিএইচডি)
বিশ্বের প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক সুবিধা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনি দিনার। বাহরাইনি দিনারের মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত হয়।
৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর)
সরকারি মুদ্রা হিসেবে ভারতীয় রুপি ত্যাগ করার পর, ওমান সরকারি মুদ্রা হিসেবে ওমানি রিয়াল চালু করে। এটি মূলত অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের মতোই, তেল রপ্তানি থেকে শক্তি অর্জন করে।
১৯৭০-এর দশকে চালু হওয়া এই মুদ্রার মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত হয়।
৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি)
বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জর্ডানের দিনার।
১৯৫০ সালে এটি প্যালেস্টাইন পাউন্ডের পরিবর্তে চালু করা হয়। এর মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত।
নির্দিষ্ট বিনিময় হার, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি এবং গ্যাস ও তেল রপ্তানি সত্ত্বেও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ঋণের বৃদ্ধি এই মুদ্রাকে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
৫. জিব্রালটার পাউন্ড (জিআইপি)
১৯২০-এর দশকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে এটি সরকারি মুদ্রা হিসেবে চালু করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে জিব্রালটার পাউন্ড পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিংয সমমূল্যের এই মুদ্রাটি পর্যটন এবং ই-গেমিং খাতের ওপর নির্ভরশীল।
৬. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি)
বিশ্বব্যাংক ব্রিটেনকে জিডিপি অনুযায়ী ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে লন্ডনের অবস্থান এবং ব্রিটেনের লাভজনক বাণিজ্য কার্যক্রমের ফলে ব্রিটিশ পাউন্ড একটি শক্তিশালী অবস্থান লাভ করেছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত।
৭. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার (কেওয়াইডি)
ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ একটি উপকূলীয় আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
১৯৭০-এর দশকে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার চালু হয় এবং এটির মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত।
৮. সুইস ফ্রাঙ্ক (সিএইচএফ)
সুইজারল্যান্ড এবং লিচেনস্টাইনের সরকারি মুদ্রা সুইস ফ্রাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে।
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল সুইজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
সুইস ফ্রাঙ্ক-এর মূল্য আগে ইউরোর সঙ্গে নির্ধারিত হতো। কিন্তু পরে এটি মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
৯. ইউরো (ইইউআর)
ইউরোজোনের সরকারি মুদ্রা ইউরো বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯টি সদস্য দেশের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। ইউরো বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।
এটি মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি। এটি মার্কিন ডলারের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সঞ্চিত মুদ্রা এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক লেনদেন হওয়া মুদ্রা।
১০. ইউএস ডলার (ইউএসডি)
ইউএস ডলার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া এবং সবচেয়ে বড় পরিমাণে সঞ্চিত মুদ্রা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ এর অঞ্চল এবং পুয়ের্তো রিকো, জিম্বাবুয়ে, ইকুয়েডরসহ অন্যান্য সার্বভৌম দেশগুলোতে আইনগতভাবে স্বীকৃত।
তেল, সোনা, তামাসহ আরও বিভিন্ন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ইউএস ডলার বা মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন ডলারের আর্থিক শক্তির কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিডিপির দেশ হিসেবে পরিচিত।

আন্তর্জাতিক
ঈদে দুবাইয়ে কমেছে স্বর্ণের দাম

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এর আগে, দুবাইয়ে এক গ্রাম সোনার দাম ৩৭৮ দিরহাম ছিল। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৩৬৯ দশমিক ২৫ দিরহাম।
শনিবার (৭ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি গ্রামে চার দিরহাম করে সাশ্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।
গালফ টাইমসকে এক ব্যবসায়ী বলেন, সবার মনে একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল-সপ্তাহান্তে বৈশ্বিক বাজার বন্ধ হওয়ার আগেই দাম ৩৬৭ বা ৩৬৮ দিরহামে নেমে আসবে কি না।
তিনি বলেন, অতটা না কমলেও আমি মনে করছি ৩৬৯ দশমিক ৭৫ দিরহাম দামও ঈদে ক্রেতাদের স্বস্তি দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি আরব আমিরাতের স্বর্ণ-অলঙ্কারের বাজার ও দোকানগুলোতে আজ ও আগামীকাল দুর্দান্ত ব্যবসা হবে। সোনার দাম ৩৭০ দিরহাম বা তারচেয়েও বেশি হলে এতটা বিক্রি হতো না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগের কয়েক সপ্তাহে দুবাইর সোনার দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় একেবারেই ছিল না। ৩৭০ দিরহামের ওপরে দাম থাকাই এর মূল কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে মূল্যছাড়ের অপেক্ষায় ছিলেন।
তবে অনেকেই বলেন, ভবিষ্যতেও সোনার দাম গ্রামপ্রতি ৩৭০ দিরহামের ওপরে থাকলে বিক্রি কম থাকবে।
গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও স্বর্ণের দোকানগুলো ব্যস্ত থাকবে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ও অলঙ্কার বিক্রেতারা। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিক্রি বাড়তে শুরু করে। ব্যস্ত শপিং মল ও হাইপারমার্কেটের দোকানগুলোতেও সপ্তাহান্তে ক্রেতার ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক
অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশ ছাড় দেবে জাজিরা এয়ারওয়েজ

আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তাদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট বুক করলে যাত্রীরা সব ফ্লাইটে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
এই অফারটি শুধুমাত্র অ্যাপে বুকিংয়ের জন্য প্রযোজ্য এবং ব্যবহার করতে হবে নির্ধারিত প্রোমো কোড J9APP10। অফারটি চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে টিকিট কাটলে যাত্রার সময়সীমা থাকবে ১৫ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে জাজিরা এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারী যাত্রীরা যেন আরও সহজে ও কম খরচে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই মূল্যছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অফারটি পেতে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে বুকিং সম্পন্ন করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।
এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, শর্তাবলী প্রযোজ্য এবং বিস্তারিত তথ্য জাজিরা এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল অ্যাপে পাওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক
দ্রুত ডুবে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম শহরগুলো

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া ও প্রকৃতি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে কম-বেশি কম দেশকে। বাদ পড়ছে না উন্নত বিশ্বও। এই সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাবার কারণে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে পৃথিবীর বড় শহরগুলো।
জাকার্তার বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী আর্না আজ যে ঘরে থাকেন, সেই বাড়ির জানালা এক সময় তার বুকের সমান উচ্চতায় ছিল। এখন তা হাঁটুর নিচে। বারবার বন্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে পরিবারটিকে মেঝেতে এক মিটার পর্যন্ত কংক্রিট জমা করতে হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ি যেমন নিচে নামছে, তেমনি বাড়ছে পানিবন্দি জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে—নৌকায় ঘরের ভেতরে চলাফেরা করতে হয়েছে।
আর্নার শহর জাকার্তা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত ডুবে যাওয়া শহরগুলোর একটি। উত্তর জাকার্তায় তার বাড়ি এখন রাস্তার চেয়েও অনেকটা নিচু। মসজিদ, খেলার মাঠ, এমনকি পুরনো বন্দর—সবই এখন জলের নিচে।
এ একক ঘটনা নয়। নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৪৮টি উপকূলবর্তী শহর আশঙ্কাজনক গতিতে ভূমি ধসে পড়ছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উপাত্ত ব্যবহার করে বিবিসি হিসাব করেছে, এসব শহরের অন্তত ৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে প্রতি বছর গড়ে এক সেন্টিমিটার বা তার চেয়েও বেশি ভূমি ধস হয়।
চীনের তিয়ানজিন শহরে ২০২৩ সালে ভূমিধসের কারণে তিন হাজার মানুষকে বহুতল ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ শহরের কিছু অংশ ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৮ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ডেবে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এ প্রবণতা আরো তীব্র করে তুলছে। ফলে ঘন ঘন বন্যা, লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশ, পানির মানের অবনতি এবং কৃষিজমির ক্ষয় দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে নদীবাহিত বদ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠা শহরগুলো যেমন জাকার্তা, ব্যাংকক, হো চি মিন সিটি ও সাংহাই—সবচেয়ে ঝুঁকিতে। প্রায় অর্ধেক জাকার্তা এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান এমন এক স্থানে, যেখানে ১৩টি নদী এসে সমুদ্রে মিশেছে।
এ সংকটের মুখে ইন্দোনেশিয়া সরকার নতুন রাজধানী ‘নুসান্তারা’ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্নিও দ্বীপে অবস্থিত। এখানে বিশাল জলাধার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ব্যবস্থা তৈরি করে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ প্রকল্পটি সমালোচিত এর বিশাল ব্যয় (৩৪ বিলিয়ন ডলার) ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে।
আফ্রিকার লাগোস শহরেও একই সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শহরে দেয়ালগুলো উঁচু হতে থাকে, তখন ‘বোল ইফেক্ট’ তৈরি হয়, যা বৃষ্টির পানি আটকে ফেলে এবং তা সাগরে ফেরত যেতে পারে না। ফলে বন্যা বাড়ে। জাকার্তা ও হো চি মিন সিটি এরই মধ্যে পাম্পিং স্টেশন তৈরি করেছে, কিন্তু এটি মূল কারণকে সমাধান করে না।
অন্যদিকে, জাপানের টোকিও এ সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে পেয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে তারা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। পানির ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে। এর ফলে শহরের ভূমি ধস প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
জাপানের অভিজ্ঞতা দেখায়, যথাযথ পরিকল্পনা, শক্তিশালী নীতিমালা এবং সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংকট মোকাবেলা সম্ভব। কিন্তু সেটি করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা। নাহলে পৃথিবীর আরো অনেক শহর ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে জলমগ্ন ইতিহাসে।
আন্তর্জাতিক
ঈদ উপলক্ষে ৬৪৫ কয়েদিকে ক্ষমা করে দিলেন ওমানের সুলতান

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬৪৫ জন কারাবন্দিকে ক্ষমা করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক। ক্ষমাপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের মধ্যে ওমানি নাগরিকদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও আছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সুলতানের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে এ তথ্য। খবর গালফ নিউজের।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের মধ্যে কতজন বিদেশি নাগরিক আছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে। তবে, বলা হয়েছে যে এই বিদেশিদের শিগগিরই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া হাইথাম বিন তারিক ওমানের সিংহাসনে আরোহন করেন ২০২০ সালে। তিনি একইসঙ্গে ওমানের সুলতান এবং প্রধানমন্ত্রী। সিংহাসনে আরোহনের আগে তিনি ওমানের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবারের রাজকীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাননীয় সুলতান মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই প্রতিফলন হলো ঈদুল আজহার আগে ৬ শতাধিক কারাবন্দির মুক্তি। এদের মধ্যে যারা বিদেশি নাগরিক, তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওমান সবসময়েই দয়া, ঐক্য এবং সামাজিক সংহতিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। মাননীয় সুলতান মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদি এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে ঈদ উল আযহা

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে আজ (শুক্রবার, ৬ জুন) পালিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা। সকালেই ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করছেন কুরবানির আনুষ্ঠানিকতা।
চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়াতেও।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মিনায় ফিরছেন হাজিরা
ভৌগোলিক কারণে ঈদের প্রথম আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। আজ ঈদ পালন করছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ও।
এছাড়া ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী কয়েক ঘণ্টা আগে-পরে ঈদ উদযাপন হচ্ছে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, ব্রুনেই এবং মালয়েশিয়ায় ঈদ উল আযহা উদযাপিত হবে আগামীকাল শনিবার।