জাতীয়
বঙ্গভবন থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি

রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম উপদেষ্টা হিসেবে রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছেন। তবে এখনও কোনো দফতরের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন, তবে মানুষের ভেতরে জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।
মাহফুজ আলম আরও লেখেন, শেখ মুজিব এবং তার কন্যা অগণতান্ত্রিক ‘৭২ এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছে তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা ‘৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না।
এমআই

জাতীয়
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এসময় মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।
এর আগে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।
কাফি
জাতীয়
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ৪২৭ জন নিহত

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে। ঈদের আগে ও পরে ১৫ দিনে সারাদেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯০ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১,১৮২ জন। পাশাপাশি রেল ও নৌপথ মিলে সর্বমোট ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে। প্রায় প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনার সাথেই এই যানবাহনের সম্পৃক্ততা ছিল। দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক, আঞ্চলিক ও গ্রামীণ রুটে বাড়তি মোটরসাইকেল চলাচল, চালকদের অদক্ষতা এবং হেলমেটবিহীন যাত্রা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়েছে বহুগুণ।
সংগঠনটি জানায়, ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার তুলনায় এবছর সড়ক দুর্ঘটনার হার ২২.৬৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.০৭ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ৫৫.১১ শতাংশ বেড়েছে।
এই পরিসংখ্যান ঈদযাত্রাকে শুধু মানবিক ট্র্যাজেডিতেই রূপ দেয়নি, বরং সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার করুণ চিত্রও স্পষ্ট করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য ৯টি কারণ তুলে ধরেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে: ছুটি কম হওয়ায় ঈদের আগের ২-৩ দিনে অতিরিক্ত চাপ, অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত চালক, অটোরিকশা ও নছিমন-করিমনের অবাধ চলাচল, মহাসড়কে ছোট যানবাহনের আধিক্য, পর্যাপ্ত হাইওয়ে পুলিশ ও নজরদারির অভাব, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, চালকদের ক্লান্তি ও অতিরিক্ত কাজের চাপ, জরুরি চিকিৎসা সেবার সংকট।
সংগঠনটি দাবি করেছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। তাদের উত্থাপিত ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: ঈদের আগে কমপক্ষে ৪ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা, মহাসড়ক থেকে ছোট যানবাহন উচ্ছেদ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, সারাদেশে সিসিটিভি ও জিপিএস-নির্ভর পরিবহন মনিটরিং, হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রমা সেন্টারের বিস্তার, দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদযাত্রা মানেই যেন সড়কে মৃত্যুর মিছিল। সরকার প্রতিবারই কিছু অস্থায়ী উদ্যোগ নেয়—পুলিশ মোতায়েন, ভ্রাম্যমাণ আদালত, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ—তবে এসব কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে পরিণত হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক নিরাপত্তা শুধু অবকাঠামো বা আইন প্রয়োগের বিষয় নয়, বরং তা একটি ব্যবস্থাগত সংস্কার প্রয়োজন করে।
বাংলাদেশে ঈদ শুধু উৎসব নয়, বরং বহু মানুষের জন্য জীবনের শেষ ভ্রমণও হয়ে উঠছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে, কিন্তু ঈদযাত্রায় এই সংকট ভয়াবহ আকার নেয়। সময় এসেছে ‘নিরাপদ সড়ক’ নিয়ে কেবল শ্লোগান নয়, বাস্তবমুখী, দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের।
জাতীয়
সচিবালয়ে আবারও কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। ঈদের ছুটির পর সোমবার (১৬ জুন) তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
বেলা ১১টার পর ৬ নম্বর ভবনের সামনে কর্মচারীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সচিবালয় সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠন করা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতৃত্বে এই আন্দোলন হচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে- ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
কাফি
জাতীয়
গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুমবিষয়ক আইনের অধীনে একটি শক্তশালী গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে।
সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান।
গুমবিষয়ক আইনটি আগামী এক মাসের মধ্যে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা।
আইন করলে পরবর্তী সরকার আইনটি বাতিল করবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা যে সরকারই আসুক তারা সবাই গুমের শিকার। তারা সবাই সোচ্চার ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দল

চার দিনের সফরে রোববার (১৫ জুন) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য। এটি সংস্থাটির কোনো সদস্যের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্যের ঢাকা পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ রোববার ঢাকায় এসেছেন। ঢাকা সফরকালে তাদের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব, গুম কমিশনের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গুমের শিকার হওয়া পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্যের আগামী ১৮ জুন ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।