অর্থনীতি
জেনেক্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে এনবিআর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) সংক্রান্ত চুক্তির পর থেকে সরবরাহের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। এসিনো করপোরেশন থেকে ইএফডি মেশিন আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও জেনেক্স নিয়ে এসেছে অন্য কোম্পানি থেকে। দুই বছর তথ্য সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটি করেনি জেনেক্স। নির্ধারিত সময়ে ২০ হাজার ইএফডি বসানোর কাজও করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যার কারণে কোম্পানির কাছে চুক্তির শর্তভঙ্গের ব্যাখ্যা চেয়েছে এনবিআর। সন্তোষজনক জবাব না পেলে জেনেক্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে রাজস্ব আদায়ের এ সংস্থাটি।
তবে জেনেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, এসিনো করপোরেশনের সরবরাহ বন্ধ থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ইএফডি আমদানি করেছে তারা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ইএফডি সরবরাহের ক্ষেত্রে জেনেক্স ইনফোসিসের মিথ্যা তথ্যের কারণে দুটি কমিটি গঠন করে এনবিআর। দুই কমিটির প্রতিবেদনে জেনেক্সের নানা ধরনের ভুল তথ্য ও অসংগতি ধরা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে চুক্তিতে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান এসিনো করপোরেশন থেকে ইএফডি নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা থাকলেও জেনেক্স ইনফোসিস আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে এনে সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০ হাজার ইএফডি মেশিন সরবরাহের কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সর্বসাকুল্যে ১২ হাজার মেশিন স্থাপন করেছে। এ ছাড়া চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল দুই বছর কাস্টমারের ডাটা সংরক্ষণ করা; কিন্তু এনবিআরের দুটি কমিটির প্রতিবেদনে ডাটা সংরক্ষণের কোনো তথ্যই পায়নি।
চুক্তির এসব শর্তের ব্যত্যয় কেন করেছে, তার কারণ জানতে চেয়ে জেনেক্স ইনফোসিসকে চিঠি দিয়েছে এনবিআর।
জানতে চাইলে এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ড. আব্দুর রউফ বলেন, জেনেক্স ইসফোসিস চুক্তিতে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের ইএফডি মেশিন সরবরাহ করেনি। যার কারণে কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাবের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, ইএফডি সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে এনবিআরের গঠিত তদন্ত কমিটি। চুক্তির শর্তাবলিতে নানা অসংগতির প্রমাণও মিলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এসিনো করপোরেশনের ইএফডি। যাতে ফাইভ-জি সাপোর্ট মিলবে। কিন্তু কোম্পানি দাবি করছে, এসিনো করপোরেশন এ ধরনের ইএফডি সরবরাহ করা বন্ধ করেছে। তাই তারা এসিনো করপোরেশন থেকে ইএফডি আনতে পারেনি। চুক্তিতে ইএফডি পরিচালনার জন্য কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও কোনো ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেনি জেনেক্স। এ ছাড়া মানবসম্পদ পদায়নসহ নানা চুক্তি থাকলেও তা সঠিকভাবে পরিপালন করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এসব কারণে জেনেক্স ইনফোসিসকে আগামী ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ নোটিশের জবাব দিতে বলেছে এনবিআর। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এসব বলা হয়েছে। এ ছাড়া নোটিশে চুক্তির সঠিক জবাব না পেলে চুক্তিভঙ্গের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।
জানতে চাইলে জেনেক্স ইনফোসিসের করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান আশিকুর রহমান বলেন, এসিনো করপোরেশন থেকে ইএফডি নিয়ে আসার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রযুক্তিগত জটিলতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা অন্য কোম্পানি থেকে ইএফডি আমদানি করেছি। এসিনো ডিভাইসের যে মেশিন ফোর-জি সাপোর্ট করলেও আমাদের মেশিন ফাইভ-জি সাপোর্ট করতে সক্ষম। আর সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিনি। এ ছাড়া মেশিন বসানোর ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা অসহযোগিতা করেছেন। যার কারণের নির্ধারিত সময়ে ২০ হাজার ইএফডি সরবরাহ করতে পারিনি।
এমআই

অর্থনীতি
আদানির বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বকেয়া টাকার ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে বাংলাদেশ। ফলে বহন খরচ এবং বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সম্পর্কিত সমস্যাসহ সব বকেয়া পরিশোধ হয়ে গেল।
পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত জুনে ভারতের এ কোম্পানিকে ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ, যা এককালীন সর্বোচ্চ পরিশোধ।
নয়াদিল্লির সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই লিখেছে, এর মধ্য দিয়ে আগের বকেয়া, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যয় এবং বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের আর কোনো বকেয়া নেই, বরং দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) এবং সব বকেয়ার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টিও বাংলাদেশ দিয়ে রেখেছে।
পাওনা সংক্রান্ত ঝামেলা না থাকায় আদানি পাওয়ারকে তাদের ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত তিন-চার মাস ধরে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।
কাফি
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের দাম কমবে নাকি বাড়বে, জানা যাবে আজ

জুলাই মাসে এলপিজির দাম বাড়বে নাকি কমবে, তা জানা যাবে আজ বুধবার (২ জুলাই)। আজ এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জুলাই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বুধবার বিকাল ৩টায় ঘোষণা করা হবে। এ নির্দেশনা জারি করা হবে সৌদি আরামকো ঘোষিত জুলাই (২০২৫) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী।
এর আগে, গত ২ জুন সবশেষ সমন্বয় করা হয় এলপি গ্যাসের দাম। সে সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৪০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বুধবার এলপিজির পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে অটোগ্যাসের দামও। সবশেষ (২ জুন) সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম সাতবার বেড়েছে এবং চারবার কমেছে, আর এক দফায় ছিল স্থির। বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দাম বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বর মাসে দাম কমানো হয়। ডিসেম্বরে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
অর্থনীতি
ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী— সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা। আজ প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল ২ জুলাই থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ১৭ লাখের বেশি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমেই সহজ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। একইসঙ্গে ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এনবিআর বলছে, সকল প্রকার আয়কর সেবা করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর এতে কোনো ত্রুটি দেখা গেলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ প্রাপ্তিতে বছরব্যাপী অনলাইন সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করছে।
অর্থনীতি
২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে ভূমি উন্নয়নসহ ১০টি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।
তার মধ্যে পাঁচটি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ টাকা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকা।