অর্থনীতি
আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে বাংলাদেশ
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে নতুন ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
এবিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা বলেন, আদানি পাওয়ারকে এই নিয়ে তৃতীয় এলসি ইস্যু করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এই এলসি ইস্যু করেছে; এই এলসির ভারতীয় পক্ষ হচ্ছে আইসিআইসিআই ব্যাংক। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।
বাংলাদেশ আদানি পাওয়ার থেকে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাদের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, আদানি পাওয়ার বিপিডিবির কাছে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে। এই অর্থ না দিলে কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া প্রথম ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি ফের চালু করবে না। যা গত সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে। ২০১৫ সালে বিপিডিবির সঙ্গে আদানির ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) হয়।
একজন শিল্প কর্মকর্তা ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ায় বিপিডিবি ধীরে ধীরে পেমেন্ট করে দিচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে আদানি পাওয়ারের পাওনা ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্তত অর্ধেক বকেয়া পরিশোধ করেছে। প্রতি মাসে বিদ্যুতের জন্য আদানিকে প্রায় ৯৫-৯৭ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়।
সেপ্টেম্বরে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া দ্রুত পরিশোধে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান।
অক্টোবরে বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কোম্পানিটি আবারও বিপিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে কোম্পানিটি বলে, বিল পরিশোধ না করলে পিপিএর আওতায় ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মুরগি-সবজিতে স্বস্তি, চড়া আলু দাম
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় উঠেছিল। শীতকালীন সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি টাকা দরে। আলুর এ দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে আরও পাঁচ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকার মধ্যে।
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল।
আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় দুই দফায় আলুর বীজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে ছিল অস্থিতিশীলতা।
বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে গত সপ্তাহ থেকে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।
ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতারা আবু হানিফ জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকে ফিরেছে মানুষের হাতের ৯ হাজার কোটি টাকা
সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতকে ঘিরে সৃষ্ট নানা অনিয়মের তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছিল সাধারণ মানুষ। এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে হাতে রাখা টাকা আবারও ব্যাংকে জমা করছে মানুষ। চলতি বছরের আগস্ট শেষে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২.৯২ লাখ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বরে তা কমে ২.৮৩ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত সেপ্টেম্বরে মানুষের হাতে থাকা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতে ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোতে আমানত প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.২৬ শতাংশ বা ৯,৭৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে।
এতে ব্যাংকে রাখা আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭.৪১ লাখ কোটি টাকায়। আগস্টে মোট আমানত ১৭.৩১ লাখ কোটি টাকায় নামলেও আগের মাসের তুলনায় নেতিবাচক (ঋণাত্মক) প্রবৃদ্ধি ছিল ০.১৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে সাধারণত প্রতি মাসে আগের মাসের তুলনায় আমানত বাড়ে। তবে জুলাই ও আগস্টে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে।
চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানত ছিল ১৭.৪২ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আমানত কমেছে। ব্যাংকাররা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে মানুষের মধ্যে আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমেছে।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন ভালো ব্যাংকগুলোতে ডিপোজিট অনেক বেড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গ্রাহকদের আস্থা কিছুটা ফিরেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পণ্যের দাম সহনশীল করতে দু-তিন বছর লাগবে: গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রাইজ লেবেল বা পণ্যের দাম সহনশীল করতে দু-তিন বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মুনসুর। একইসঙ্গে বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সংকট নেই। যে কেউ এলসি খুলতে পারবে। বাজারে টাকা পাবেন না কিন্তু ডলার পাবেন। এখানে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, আজকে আমাদের যে সভা ছিল সেটার মূল উদ্দেশ্য ছিল রোজার আগে কিছু নিত্যপণ্যের মূল্য ধরে রাখতে হবে। আর কিছু নির্বাচিত পণ্যের ক্ষেত্রে দাম মনিটরিং করা; এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। স্পর্শকাতর জিনিস বলতে চালের মূল্য, সেখানে আমরা দেখছি বর্তমানে চালের দাম গত বছরের তুলনায় ৫ থেকে ৬ টাকা কম আছে। আরেকটা বিষয় হলো, বর্তমানে যে দাম সেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। আবার চালের ওপর ডিউটি শূন্য করে দেওয়া হয়েছে, কেউ আমদানি করছে না। কারণ ভারত থেকে চাল আমদানি করলে দেশে খরচ বেশি পড়ে, এজন্য আমদানি হচ্ছে না। তার মানে আমাদের দেশের বাজারে চালের সরবরাহ খারাপ নয়, সেটাই বোঝায়। ফলে আমাদের ধারণা এ বছর চাল আমদানি করতে হবে না।
তিনি বলেন, আমরা চাই চালের দাম কমুক কিন্তু কৃষকের কথা ভাবতে হবে। কারণ তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই বলা যায়, চালের দাম ভবিষ্যতে যে খুব বেশি কমবে সেটা কিন্তু আশা করা ঠিক নয়।
আহসান এইচ মুনসুর বলেন, গত মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। প্রায় ১০.৮৭ শতাংশ হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর সব দেশেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করার পর ২ শতাংশ নেমে আসছে। কিন্তু সেটা ডাবল ডিজিট। শুধু যে কমেছে সেটা নয় কোনো কোনো মাসে বেড়েছেও। আমাদের যেটা হয়েছে সেটা দুইটা জিনিসের প্রতিফলন দেখা যায়— একটা হলো, গত মাসে দেশে যে বন্যার হয়েছে সে কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। আর দ্বিতীয় হয়েছে দেশে যে আন্দোলন হলো তার একটা প্রভাব পড়েছে। তবে এটা খারাপ কিছু না। এই বৃদ্ধিটা হয়ত সাময়িক। তবে জুলাই মাসের পর থেকে মূল্যস্ফীতি কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে রাখা হয় না। আগে যেটা করা হতো। এজন্য মূল্যস্ফীতি কয়েক মাস হাইয়েস্ট থাকবে। এখানে কিছু করার নেই। তবে বর্তমান ইনডেক্স সঠিক।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে নাই। খুবই কম আছে দুই তিন শতাংশের মধ্যেই আছে। এনার্জির দাম নেগেটিভ ১৭ শতাংশে আছে। জ্বালানি তেল, এলএনজির দাম কম আছে। এগুলো আমাদের সহায়তা করবে। এরসঙ্গে আমাদের এক্সচেঞ্জ রেটের ওপরে যদি কোনো প্রভাবে না পড়ে তাহলে আমদানি পণ্যের দাম কমতে বাধ্য। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের করণীয় হলো অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেজন্য আমরা বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিয়েছি। আমাদের মূল্য বাজারভিত্তিক। তবে আমরা পলিসি রেট বাড়িয়েছি। এজন্য কিন্তু মূল্যস্ফীতি বাড়ে নাই। একই সঙ্গে ট্রেজারি রেটও বাড়েনি।
তিনি বলেন, পলিসি রেট বাড়ানোর ফলে যেটা হয়েছে, সেটা হলো, ব্যাংকের জন্য ট্রেজারিতে যে লাভটা করতো, যেমন ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে সাড়ে ১২ টাকায় ট্রেজারি বিল কিনতো তারা। এখন সেটা ৮ থেকে ১০ টাকা কম খরচ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। ফলে আমাদের যে লাভ হতো সেটা কমিয়ে দিয়েছি। এরমাধ্যে ব্যাংকের লিকুইটি টাইট করে ফেলছি। এর একটা প্রভাব আগামীতে বাজারে পড়বে।
বাজার মনিটরিং নিয়ে কী করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। কিন্তু অযৌক্তিক মনিটরিং করলে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি হবে। ওভার মনিটরিং করে লাভ নেই। অভিযান পরিচালনা করে লাভ নেই। আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে বাজার স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছি। ওভার নাইট দাম কমিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে সামনে শীতকাল, সবজির দাম কমে যাবে। মূল্যস্ফীতিও কমবে, কিন্তু দাম কি আমি একেবারে নামিয়ে আনতে পারবো? আমাদের কাছে মূল্যস্ফীতির থেকে প্রাইস লেভেল গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর কোনো দেশ প্রাইস লেভেল কমাতে পারে না। এটা কমানো উচিতও না। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রাইস লেভেলটাকে সহনশীল করতে হবে। মানুষের যখন আয় বেড়ে যাবে তখন সব কিছু সহজ হয়ে যাবে। সেটা হতে হতে দুই তিন বছর লাগবে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বাজারে সরবরাহ বাড়ানো। যাতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করা যায়।
এছাড়া সরকার রেশনিং বাড়াচ্ছে, ৫ কেজি চালের স্থানে ১০ কেজি করা হচ্ছে। ওএমএস বাড়ানো হচ্ছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হঠকারিতার কোনো সুযোগ নেই, স্থিতিশীল হতে বাধ্য এবং হবে তবে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সংকট নাই। যে কেউ এলসি খুলতে পারবে। এখন যে কোনো ব্যাংকে যে কোনো দিন এলসি মার্জিন ছাড়াই এলসি খুলতে পারবেন। বাজারে টাকা পাবেন না কিন্তু ডলার পাবেন। এখানে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা আছে। আমদানি করে চাহিদা মেটান। আমাদের দিক থেকে যেটুকু করার আমরা সেটুকু করবো। কিন্তু সময় লাগবে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে। যেটা গত ৫ থেকে ৭ বছর ধরে আস্তে আস্তে বাড়িয়েছে সেটা ওভার নাইট ঠিক করা কঠিন। সময়তো একটু লাগবেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০০ কোটি ডলার সংগ্রহে ‘অরেঞ্জ বন্ড’ চালু করছে সরকার
অরেঞ্জ বন্ড বিক্রি করে ১০০ কোটি ডলার সংগ্রহ করে পোশাকশিল্প, সবুজ অবকাঠামো ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করতে চায় সরকার। বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ‘অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীমূলক পুনর্গঠন’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে আইআইএক্স, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকার।
সভায় জানানো হয়, ‘অরেঞ্জ বন্ড’ হলো এক ধরনের বন্ড, যার মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, লিঙ্গ সমতা ও পরিবেশগত ইস্যুতে বিনিয়োগ করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশে আগে থেকে এমন বন্ড থাকলেও বাংলাদেশে প্রথম।
অর্থ উপদেষ্টা সভায় বলেন, ‘অর্থের প্রয়োজনে সবাই ব্যাংকে যায়। পুঁজিবাজারও আছে। তবে বিগত সময়ে অনেক অনিয়মের কারণে এখানে সমস্যা তৈরি হয়ে আছে। এ ধরনের বন্ডে ঝুঁকি কম।’
অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা মূলত প্রশমনে নজর দিই। কিন্তু অভিযোজনের দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী নীতিমালা পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘অরেঞ্জ বন্ড দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এই উদ্যোগ সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার করতে হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসিআই ফুডসের সিবিও হলেন ফারিয়া ইয়াসমিন
এসিআই ফুডস অ্যান্ড কমোডিটি ব্র্যান্ডসের নতুন চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) হিসেবে সম্প্রতি নিযুক্ত হয়েছেন ফারিয়া ইয়াসমিন। এসিআই ফুডস লিমিটেড, এসিআই পিওর ফ্লাওর লিমিটেড এবং এসিআই এডিবল অয়েলস লিমিটেড- তিনটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে আটা, মসুর ডাল, চাল, ফুড, ভোজ্য তেল এবং খাদ্য রপ্তানি- এই ছয়টি ব্যবসায়িক বিভাগ নিয়ে কাজ করবেন তিনি।
ফারিয়া ইয়াসমিন এর আগে নেসলে, ম্যারিকো, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং রেকিট বেনকিজারের মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে এসিআইয়ের খাদ্য ও কমোডিটি বিভাগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন ফারিয়া ইয়াসমিন।
এমআই