আন্তর্জাতিক
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিলটি পাস হলে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন কোনো আইন পাস হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উত্থাপন করা হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতি কমানো।’
আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি মা এবং বাবাদের জন্য তারা, আমার মতো, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমি চাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবারগুলো জানুক যে সরকার আপনার পেছনে রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো জরিমানার বিধান রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে শিশু-কিশোরদের প্রবেশ রোধ করার জন্য যুক্তিসংগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আইন উত্থাপিত হয়েছিল। এটি ব্যাপক দ্বিদলীয় সমর্থনও পেয়েছিল। ফলে আইনটি পাস হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ এই আইনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মনোবিকাশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এমনকি ইউটিউবও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংসদে আইনটি পাস হওয়ার ১২ মাস পরে কার্যকর হবে। কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন সময় পর্যালোচনা করে হবে।
তবে বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগের বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করে বলেন, অনলাইনে বয়সসীমা মেনে চলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ায় শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বৃহত্তম সংস্থা ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান চাইল রাইটস টাস্কফোর্স’। প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘খুব ভোঁতা একটি যন্ত্র’ বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের, নতুন শুল্ক ১৯ শতাংশ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তির ফলে ইন্দোনেশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
এর আগে এক চিঠিতে এই শুল্কের পরিমাণ ৩২ শতাংশ করার কথা জানানো হয়েছিল। ট্রাম্প সরাসরি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোর সঙ্গে আলোচনা করে এ চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তবে ইন্দোনেশিয়া এখনও এই চুক্তির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে নতুন একটি শুল্ক চুক্তি করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই চুক্তির ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছিল, তা কমিয়ে ১৯ শতাংশে আনা হয়েছে।
এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ‘সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার’ পাবে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এই চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও তা দ্রুত বাড়ছে।
এর আগে গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউস থেকে একের পর এক উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে নানা দেশের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য আলোচনার ঢল নামে। ট্রাম্প প্রথমদিকে কিছু পরিকল্পনা স্থগিত করলেও জুলাইয়ে আবার নতুন করে হুমকি দেন— যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, আগামী ১ আগস্ট থেকে তাদের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই তালিকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মেক্সিকো, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সব বাণিজ্য অংশীদারও রয়েছে। ইন্দোনেশিয়াও ট্রাম্পের কাছ থেকে ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিসহ একটি চিঠি পায়, যা দেশটির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। কারণ তারা মনে করছিলেন, একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
ট্রাম্প বলেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর তিনি সেই শুল্ক হার কমিয়ে ১৯ শতাংশে এনেছেন। তিনি জানান, চুক্তির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ও কিছু প্রস্তুত পণ্যের ওপর তাদের শুল্কহার কমাবে, যা নিয়ে আমেরিকার দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল।
ট্রাম্প বলেন, “তারা ১৯ শতাংশ শুল্ক দেবে, আর আমরা কিছুই দেব না। আমরা ইন্দোনেশিয়ায় পূর্ণ প্রবেশাধিকার পাচ্ছি।”
তিনি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও জানান, চুক্তি অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি, ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য এবং বোয়িং কোম্পানির ৫০টি বিমান কিনবে।
তবে ট্রাম্প যে পরিমাণ বাণিজ্যের কথা বলেছেন, তা এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে যে চুক্তির আকার অনুমান করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ইন্দোনেশিয়া, যার মধ্যে ছিল পোশাক, জুতা ও পাম তেল। বর্তমানে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২৫ বাণিজ্য অংশীদারের একটি।
ক্যালিফোর্নিয়ার পোমোনা কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক স্টিফেন মার্কস বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক চেয়ে রাজনৈতিক লাভই বেশি”। তিনি বলেন, “মোট বাণিজ্যের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে অন্যান্য এশীয় অংশীদারের মতো নয়।”
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি করেছে। তবে এই সব চুক্তিতেই উচ্চ শুল্ক বহাল থাকছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অনিশ্চিত।
কাফি
আন্তর্জাতিক
পুতিন সবাইকে ধোঁকা দিয়েছেন, কিন্তু আমাকে পারেননি: ট্রাম্প

এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পুতিন বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, ওবামা, বাইডেনসহ চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধোঁকা দিয়েছেন, কিন্তু “আমাকে পারেননি”।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা, পুতিনের ভূমিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিস্তারিত বলেন।
ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধটা আমার নয়, বাইডেনের যুদ্ধ। আমি চেষ্টা করছি আমেরিকাকে এই যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে। এটা কোনো রিপাবলিকান বা ট্রাম্পের যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ হতোই না, হওয়া উচিতও হয়নি।”
এদিন রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়া যদি আগামী ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে আমরা বড় আকারের নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমি পুতিনের প্রতি হতাশ। আমি ভেবেছিলাম দুই মাস আগেই একটা চুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি।”
বৈঠকে ট্রাম্প ও ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে ঘোষণা দেন, ন্যাটো এখন আমেরিকা থেকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে। এসব অস্ত্রের মধ্যে ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও থাকবে। এরপর এই অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
রুটে বলেন, “এই চুক্তি অনেক বড়। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে আর বেশি ব্যয় করতে হবে না, ইউরোপীয় দেশগুলোও সাহায্য করছে।”
অস্ত্র কেনা ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে জার্মানি, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য সম্মত হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন, কারণ তিনি নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
কারণ পুতিন যুদ্ধ থামানোর বদলে ইউক্রেনে রেকর্ডসংখ্যক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাতে থাকেন। ইউক্রেনও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে পাল্টা আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। ট্রাম্প বলেন, “আমি বাড়ি যাই, মেলানিয়াকে বলি— ‘আজ পুতিনের সঙ্গে সুন্দর কথা হয়েছে’। ও বলে— ‘সত্যি? এখনই তো একটা শহরে বোমা পড়ল।’”
তিনি আরও বলেন, “আমি বলছি না পুতিন খুনী, তবে ও এক কঠোর ব্যক্তি।”
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে রুখতে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশসহ ২০ দেশ

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আগামী সপ্তাহে কলম্ববিয়ার রাজধানী বোগোটাতে প্রায় ২০টির বেশি দেশ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। কূটনৈতিকরা মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী ১৫-১৬ জুলাই এই ‘জরুরি বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হবে। কলম্বিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক এবং আইনিভাবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় তার পথ খুঁজে বেরা করা হবে। কারণ ইসরায়েল তার মিত্রদের সহযোগিতায় দায়হীনভাবে গাজায় সকল ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে।
হেগ জোট আটটি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গত ৩১ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডে গঠিত হয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এই গ্রুপটির প্রধান দায়িত্ব।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সমন্বয়ক বিষয়ক মন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত জানুয়ারিতে ‘হেগ গ্রুপটি’ গঠিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগাতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, বোগোটা সম্মেলনে একই ধরনের সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হবে- ‘কোনো জাতি আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধই উত্তরহীন থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, এজন্য আমরা এক সঙ্গে আইনি, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে এমন কিছু করার চেষ্টা করছি যাতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিকে ধ্বংস করতে না পারে।
২০২৩ সালে অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে ৫৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিশেষজ্ঞরা একে গণহত্যার হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া হামলায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অনাহারে রয়েছে অন্তত ২০ লাখ মানুষ।
কলম্বিয়ার বহুপাক্ষিক সম্পর্কিত বিষয়ক উপ-মন্ত্রী মাউরিসিও জারামিলো জাসির বলেন, ফিলিস্তিনি গণহত্যা বহুত্ববাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ অবস্থায় বর্ণবাদ এবং জাতিগত নিধনে কলম্বিয়া কখনও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বোগোটা সম্মেলতে যোগদান করা দেশগুলো শুধু গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করবে না। বরং সুনির্দিষ্টভাবে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তার জন্যও কাজ করবে।
হেগ জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হুন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কলম্বিয়ার রাজধানীতে আয়োজিত ওই সম্মেলনে আরও যেসব দেশ যোগ দিবে তার মধ্যে রয়েছে- আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, কিউবা, জিবুতি, হুন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেইন্ট ভিসেন্ট এবং দ্য গ্রিনাডিনেস, উরুগুয়ে ও ফিলিস্তিনি।
আন্তর্জাতিক
পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অফিসের ‘বিতর্কিত’ আঞ্চলিক পরিচালক ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
চার মাস আগে দুর্নীতি দমন সংস্থা দুদক তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে। এরপরই তাকে ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এটি কার্যকর হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ডাক্তার টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস স্টাফদের একটি ছোট ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে পাঠানো হবে। তার জায়গায় আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডাক্তার ক্যাথরিনা বোহমি। তিনি ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন পুতুল। তবে তার এ নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অভিযোগ আছে, তার মা শেখ হাসিনা তাকে এই পদে নির্বাচিত করতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় হেলথ পলিসি ওয়াচ।
এদিকে দুদক পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সংস্থাটি অভিযোগ করে, আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার সময় পুতুল তার শিক্ষাগত রেকর্ড নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সম্মানসূচক পদ থাকার দাবি করেন।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেছে দুদক।
বাংলাদেশে মামলা হওয়ার পর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তার কার্যক্রম চালানোর ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া নিয়ে বড় ঘোষণা দেবেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে ন্যাটোর মাধ্যমে এবং তিনি সোমবার রাশিয়া নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন।
ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির ঘাটতির কারণে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকেই এই যুদ্ধ চলছে।
এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প বলেন, আমি সোমবার রাশিয়া নিয়ে একটি বড় ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অস্ত্র ন্যাটোতে পাঠাচ্ছি এবং ন্যাটো সেই অস্ত্রের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করবে। তারপর ন্যাটো সেগুলো ইউক্রেনকে দেবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ করবে, কিন্তু সেই খরচ ন্যাটো বহন করবে।
তিনি ইউক্রেনকে সরাসরি মার্কিন অস্ত্র পাঠাবেন প্রেসিডেনশিয়াল ড্রডাউন অথরিটি ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টদের নিজস্ব অস্ত্র মজুত থেকে জরুরি ভিত্তিতে মিত্র দেশকে সহায়তা দেওয়ার সুযোগ দেয়।
দুই সূত্র জানায়, এই প্যাকেজের মূল্য হতে পারে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং এতে থাকতে পারে প্রতিরক্ষামূলক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও আক্রমণাত্মক মাঝারি পাল্লার রকেট।
এই পদক্ষেপের আগে ট্রাম্প প্রশাসন শুধু সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত অস্ত্রই পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। তবে এখন নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী সরাসরি অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প এর আগে ইউক্রেনে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিন্তু সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি কিয়েভের প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন এবং রাশিয়ার নেতৃত্বের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।