আন্তর্জাতিক
প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমেই যে ৭টি কাজ করবেন ট্রাম্প
নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে আবারও ওভাল অফিসে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটের প্রচারণায় তিনি অভিবাসন, অর্থনীতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসে তার রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি তার দল রিপাবলিকান পার্টি ফের সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিজয়ী বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, আমরা একটি সহজ মন্ত্রে শাসন করবো: প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিশ্রুতি রাখবো। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে এসব লক্ষ্য অর্জন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই যে সাতটি কাজ করতে চান-
১) অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন
ট্রাম্প প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড়’ অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেক্সিকো সীমান্তের দেওয়াল সম্পূর্ণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার নির্মাণকাজ তার প্রথম শাসনামলে শুরু হয়েছিল।
২০২৪ সালে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত এই বিশাল আকারের বিতাড়ন কার্যকর করা আইনগত এবং পরিচালনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে।
২) অর্থনীতি, কর ও শুল্ক নিয়ে পদক্ষেপ
বাইডেন প্রশাসনের সময় বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রভাব খুবই সীমিত। তিনি নতুন কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমন- বকশিস কর, সামাজিক সুরক্ষা কর ও করপোরেশন কর।
ট্রাম্প বেশিরভাগ বিদেশি পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং চীন থেকে আমদানিতে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে।
৩) জলবায়ু সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল
প্রথম প্রেসিডেন্সিতে ট্রাম্প কয়েকশ পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি শিল্পকে সাহায্য করার জন্য।
তিনি আর্কটিক প্রান্তে তেল খননের পরিকল্পনা করেছেন। এতে জ্বালানি খরচ কমবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
৪) ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়সম ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করবেন তিনি।
তবে কোন পক্ষকে কী ছাড় দিতে হবে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই পদক্ষেপ পুতিনকে উৎসাহিত করতে পারে।
৫) গর্ভপাত নিষিদ্ধ নয়
কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে ট্রাম্প জাতীয়ভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার আইনে স্বাক্ষর করবেন না বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, গর্ভপাত নিয়ে আইন তৈরির ব্যাপারে রাজ্যগুলোর স্বাধীনতা থাকা উচিত।
৬) ৬ জানুয়ারি দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
৭) স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছেন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই তাকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পাঁচজন বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটির জর্জিয়া, কানেকটিকাট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার দেশটির বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল এবং স্থানীয় কমিউনিটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরেরদিন ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন, নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান ও একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম।
এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউজার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্টি ও অন্যঅন্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
নির্বাচিত মধ্যে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তিনি নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে প্রথম নির্বাচিত ২০০৭ সালে। এরপর টানা ১৪ বছর ধরে এ পদে আছেন। এ ছাড়া ৬ বারের মতো দেশটির নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সদস্য সারা ম্যাকব্রাইড
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সারা ম্যাকব্রাইড। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্য থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সারা রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি পরিষদ প্রার্থী তৃতীয় জন ওয়েলেনকে হারিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মোট পড়া ভোটের মধ্যে সারা পেয়েছেন ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিনেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ও প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সব কটিতে নির্বাচন হয়েছে। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদেও ভোট হয়েছে।
৩৪ বয়সী সারা ২০২০ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটর নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বক্তৃতা দেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ২০১২ সালে তিনি হোয়াইট হাউসে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন।
গতকাল নির্বাচনের আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সারা বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে আপনি যখন প্রথম ব্যক্তি হন, তখন আপনাকে আপনার সেরাটা দিতে চেষ্টা করতে হয়। তাই আমার ওপর অনেক দায়িত্ব আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গত কয়েক বছরে ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী আইন বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশটির ৩৭টি অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালে লিঙ্গ পরিবর্তন সেবার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে অন্তত ১৪২টি আইন করা হয়েছে। ওই বছর আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী আইন করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ট্রাম্পের জয়ে নিম্নমুখী বৈশ্বিক পণ্যবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জয়ে চাপের মুখে রয়েছে বৈশ্বিক পণ্যবাজার। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, ধাতু ও খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দাম আজ কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, আজ বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও সয়াবিনের দাম প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় চাপে রয়েছে এশিয়ার বাজার। এ সময় তামার দাম কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম গত কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছিল। তবে আজ স্থিতিশীল ছিল মূল্যবান ধাতুটির দাম।
এ বিষয়ে স্যাক্সে ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটেজির প্রধান ওলে হ্যানসেন রয়টার্সকে বলেন, ‘আজকের বৈশ্বিক পণ্যবাজারের পরিস্থিতি মার্কিন ভোট গণনা ও ট্রাম্পের বিজয়ের পক্ষে প্রাথমিক ফলাফলের প্রথম প্রতিক্রিয়া। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে পারে। দেশটি তামা, লোহা ও ইস্পাতের শীর্ষ ব্যবহারকারী হওয়ায় তা নেতিবাচক। শুল্ক বাড়লে তা চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলে। এ আশঙ্কায় এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই তিনি জয়ী হলে বিপদে পড়তে পারে চীনের শিল্প ধাতু ও ইস্পাত খাত।
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য হিস্যা রয়েছে ইরানের। খাতসংশ্লিষ্টদের ধারণা, ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির জ্বালানি তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির সরবরাহ বিঘ্ন ঘটতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সয়াবিন রফতানি করে থাকে চীনে। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে কৃষি খাতও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের ওপরও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে চীন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধের অবসান চায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউসের মসনদে ফিরতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধান যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো নেবেন তার মধ্যে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের অবসান অন্যতম বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচনে জয় দাবি করে ট্রাম্প এই ইঙ্গিত দেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে দিয়েছেন বিজয় ভাষণ। যেখানে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেছেন, আমি যুদ্ধ শুরু নয়, সব যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।
ভাষণে বিশ্বের কোথায় কোথায় যুদ্ধ থামাতে সচেষ্টা হবেন, তা স্পষ্ট করে না বললেও –ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে হয়তো তিনি একথা বলেছেন। তবে আশঙ্কার কারণ রয়েছে ইউক্রেনের জন্য।
বিজয় ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধ থামাব। এসময় তার প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না, চার বছর আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।
২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাসনামলে বিলিয়নেয়ার এই ব্যবসায়ী উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে দেখা করা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ক্ষমতায় থাকা) ছিলেন। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক এক সম্মেলনে কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন তিনি।
এদিকে এবারের নির্বাচনের ফল আসার পর অনেকেই বলছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহয়তা বন্ধ করে দিতে পারেন ট্রাম্প। এ ছাড়া পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করা হয়। ফলে, ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে এক বড় মোড় দেখা যেতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যরাতে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে উত্তেজনায় পূর্ণ জনতার সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।
ট্রাম্পের জয় এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। তিনি ইতোমধ্যেই ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন ২১৪টিতে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভেনিয়াতেও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যের ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে মোট ২৬৭টি ভোট নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তার জয়কে বেশ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ফের হোয়াইট হাউজের দখল নিতে ট্রাম্পের দরকার আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যেন আর অপেক্ষা করতে পারছেন রিপাবলিকান সমর্থকরা। এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করেছেন তারা।
এদিকে আলাস্কা ও হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাধ্যমে চলতি বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ দোদুল্যমান রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি, এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও পেনসিলভানিয়ায় বেশিরভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
বুথফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভোটাররা। এর আগে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
জয়ের আভাস পাওয়ার পর পরই ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স। এই জয়কে ‘রাজনৈতিক বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।