অর্থনীতি
আইসিবিকে তিন হাজার কোটি টাকা সভরেন গ্যারান্টি প্রদানের নির্দেশ
রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকার সভরেন গ্যারান্টি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজার উন্নয়নের স্বার্থে ‘সভরেন গ্যারান্টি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজার উন্নয়নের স্বার্থে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও আইসিবির সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইসিবিকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদানের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতি অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হলে তিনি উক্ত বিষয়টি সদয় অনুমোদন করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে আইসিবির অনুকূলে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পত্র প্রেরণ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের গ্যারান্টি সাপেক্ষে পুনরায় আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ এর ধারা ১৬(২) (ডি) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি পরবর্তীতে বিবেচনা করবে মর্মে জানায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আইসিবিকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদানের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্রাদি নির্দেশক্রমে এতসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভাঙাচোরা অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়েছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক, পরিকল্পনা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালে উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন যে সরকার দায়িত্ব পেয়েছে সেটা কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে আসা সরকার নয়। আমরা বেশিদিন থাকবো না। কিছু সংস্কার করে দিয়ে যেতে চাই। যেই পদচিহ্ন ধরে পরবর্তী সরকার ঠিকভাবে অর্থনীতি পরিচালনা করতে পারবে। পরবর্তী সরকার এসে যদি আবার সব আইন বাতিল করে দেয় তাহলে আবার হবে না। তিনি বলেন, আমরা একটি ভাঙাচোরা অর্থনীতির দায়িত্ব পেয়েছি। এটা কি সংস্কার করা এতো সোজা নয়। অনেক কঠিন কাজ। তারপরেও অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব আমরা করে যেতে চাই।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন অর্থনৈতিক সেক্টরে অনেক ভালো ভালো নিউজ হচ্ছে। যার উদাহরণ আগে ছিল খুবই কম। তবে সাংবাদিকদের প্রতি মনে রাখার মত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সবাই উপকৃত হবে।
মোবাইল সার্ভিস নগদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে বিকাশের মতো নগদেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে চায়।
অনুষ্ঠানে ১৭টি ক্যাটাগরিতে ১৯ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। শেয়ার মার্কেট ক্যাটাগরিতে টিবিএসের সালাহউদ্দিন মাহমুদ। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে প্রথম আলোর আরিফুর রহমান। ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স খাতে যৌথভাবে ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার শফিক ইসলাম ও টিবিসের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান। ডিজিটাল ইকোনোমিক ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা ও যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদ হোসেন পাপান। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি ও ইউনবির বিশেষ প্রতিনিধি ছদরুল হাসান।
এছাড়া, বেসরকারি খাতে ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার আহসান হাবিব রাসেল ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি বাবু কামরুজ্জামান। অবজেক্টিভ ইকনোমিক ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজীব আহমেদ, চ্যানলে ২৪-এর বিশেষ প্রতিনিধি ইকবাল আহসান এবং শেয়ার বিজের ইসমাইল আলী। ম্যাক্রো ইকোনমিক ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম হারুন ও টিবিএসের বিশেষ প্রতিনিধি জেবুন্নেসা আলো। রাজস্ব ক্যাটাগরিতে দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শাহ কাজল ও আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম। বিশেষ মেনশন ক্যাটাগড়িতে কালবেলার নিউজ এডিটর রাজু আহমেদ ও ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত কুমার সিনহাকে পুরস্কৃত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের একাধিক শাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীসহ ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ অন্যান্য তথ্যাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ এর ডিসেম্বরে নিয়ম না মেনে ইসলামী ব্যাংকের চাকতাই শাখার গ্রাহক মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাডেট সুপার ট্রেডার্স ও খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসকে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাবনা, সুপারিশ, অনুমোদন, বিতরণ, পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক।
এই ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী, ওমর ফারুক খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরী, এ এ এম হাবিবুর রহমান, হাসনে আলম, আব্দুল জাব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, কাজী মো. রেজাউল করীম, মিফতাহ উদ্দিন, এএফএম কামালুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেকিউএম হাবিবুল্লাহ।
আরও আছেন মনিটরিং বিভাগের প্রধান এসভিপি খালেকুজ্জামান, একই বিভাগের এসএভিপি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম, বিনিয়োগ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাব্বির, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ উদ্দিন, সাইদ উল্লাহ, আবু সৈয়দ মোহম্মদ ইদ্রিস, আলতাফ হোসাইন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের।
চিঠিতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে বিতরণকৃত ঋণের তথ্যসহ ব্যক্তিগত তথ্য এবং লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদের সুশাসনের ঘাটতি কাটাতে কাজ করছি: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নগদে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, যা দরকার ছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসনের যে ঘাটতি ছিল, সেটি কাটাতে আমরা কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির কাজের স্বচ্ছতা ও মালিকানা নিয়ে যেন প্রশ্ন না থাকে এবং মানুষ যেন ভবিষ্যতে সেখানে স্বচ্ছন্দে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য সময়ের সরকার বদলের মতো বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসেনি। যেসব চ্যালেঞ্জ আমরা এখন মোকাবিলা করছি, সেগুলোর সমাধান করা যাবে না এমন নয়। আমরা মানুষের ভালোর জন্য একটা পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে পরবর্তী সরকার এ সংস্কার কাজকে আরও এগিয়ে নিতে পারে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের সরকারের ভুল-ত্রুটি ইতিবাচকভাবে ধরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আপনারা ভুল-ত্রুটি ধরবেন; তবে সেই সঙ্গে ভুল সংশোধনের দিকনির্দেশনা ও ইতিবাচক জিনিসগুলো যেন থাকে।
জানা যায়, এ বছর মোট ১৭টি ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার ১৫ জন এবং টেলিভিশনের ৪ জন প্রতিবেদক পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন- প্রথম আলোর সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম; জাহাঙ্গীর শাহ; রাজীব আহমেদ এবং আরিফুর রহমান; দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি; দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহসান হাবীব; ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি জেবুন নেসা ও নিজস্ব প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ; ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি সদরুল হাসান; শেয়ারবিজের নির্বাহী সম্পাদক ইসমাইল আলী; ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. শফিকুল ইসলাম; আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম ও দৈনিক কালবেলার বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ।
টেলিভিশন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি বাবু কামরুজ্জামান, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইকবাল আহসান ও যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তৌহিদ হোসেন পাপন।
ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নগদের চেয়ারম্যান খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ ও প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে সরকার
বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর বকেয়া পরিশোধে নতুন করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বন্ড ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অর্থ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়ার পরিমাণ বর্তমানে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এ বকেয়া মাসে মাসে বাড়ছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বিদ্যমান বরাদ্দ দিয়ে বকেয়া পরিশোধ করা কঠিন হতে পারে।
বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধের জটিলতা বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই শুরু হয়। চলতি পঞ্জিকা বছরের শুরু থেকে ৫ আগস্ট বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছেড়েছে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নতুন করে বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া জমে গেছে। এ জন্য বিশেষ বন্ড আগেও ছাড়া হয়েছে। তুলনামূলক ভালো বিকল্প হিসেবে নতুন করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। অর্থ বিভাগ এ প্রক্রিয়া শিগগির বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বন্ড ছাড়ার ইতিবাচক দিক হচ্ছে- এর ফলে ব্যাংকের কাছে কোম্পানিগুলোর দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা করতে তাদের আর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, অন্য ব্যাংকের কাছে এগুলো বিক্রিও করতে পারবে।
এ বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারবে। সরকারের জন্য সুবিধা হলো, নগদ টাকা আপাতত পরিশোধ করতে হবে না। অর্থাৎ দায় পরিশোধে সরকারও একটু সময় পেল।
জানা গেছে, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা বিক্রি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে। এ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। এলসি খোলা ও ঋণের কারণে তারা ব্যাংকের কাছে দেনাদার থাকে। এদিকে বিপিডিবি যে দামে কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনে, তার চেয়ে অনেক কম দামে বেচে বাজারে। তবে কেনা দাম ও বাজার দামের পার্থক্য ভর্তুকি আকারে দেয় অর্থ বিভাগ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২০ মিলিয়ন ডলারে পিওর ইট বিক্রি করে দিল ইউনিলিভার
খাবার পানি শোধনকারী (ফিল্টার) পিওর ইট ১২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিলিভার। গ্লোবাল ওয়াটার টেকনোলজি কোম্পানি এও স্মিথ কর্পোরেশন নিজেদের ওয়েবসাইটে পিওর ইট কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি করেছিলো গ্লোবাল ওয়াটার।
জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারতের চেন্নাইতে পিওর ইট প্রথম চালু করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছিল ইউনিলিভার। ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০১০ সালে পিওর ইট চালু করে।
পিওর ইট কিনে নেওয়া এও স্মিথ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন জে হুইলার বলেন, পিওর ইট বাজারে আমাদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোর পরিপূরক। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পিওর ইট বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোয় বিক্রি হচ্ছে। পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভার পিওর ইট বিক্রি থেকে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
এমআই