রাজনীতি
বিএনপিই প্রথম সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজ অনেক ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন, তবে সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছিল। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র নেতা তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেত্মাতারা রয়ে গেছে, তাই দেশে রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। এ সময় শুধু বইয়ের কতগুলো লাইন পরিবর্তন করলেই সংস্কার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভাগ্যের ভালো পরিবর্তন হলেই তবে তা সংস্কার হবে।
বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, আজ অনেক ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন, তবে সবার আগে সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছিল। ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়নে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
এ সময় রাজনীতিতে তরিকুল ইসলামের অবদানের কথা তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এমন একজন মানুষ হারিয়েছি বলেই হয়তো আজ আরও ভালো পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। দেশ ও রাজনীতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনের দরজা পার হয়ে গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এ আশায় তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন একটি দরজা, সে গেট পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় মহিলা দলের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দানব চেপে বসেছিলো তা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। ছাত্র, আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছি। তবে বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে এবং গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে আবার। তাই সামনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। ১৭ বছর ধরে বিএনপি লড়াই-সংগ্রাম করেছে। অসংখ্য মামলা, জেল, গুমের ঘটনা ঘটেছে।
৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতির কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান অন্ধকার থেকে দেশকে আলোতে নিয়ে আসেন। ১৯৭৫ সালের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিলে এ দেশের ভাগ্যে কি হতো বলা যায় না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব বিভক্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেদিন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আর সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখেছে, তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল?
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই। জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এ সময় গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিচারের নামে কারও ওপর জুলুম চাই না: জামায়াত আমির
গত ১৬ বছর ধরে চালানো অত্যাচারের রেশ এখনও রয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে নতুন নতুন সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আমাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। কিন্তু বিচারের নামে অন্য কাউকে জুলুম করা হোক আমরা তা চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নবনির্বাচিত আমিরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি উদার আহ্বান জাতীয় স্বার্থটাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। দলমত মতাদর্শ ভিন্ন ভিন্ন হলেও জাতীয় স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করি। এখন সবার ঐক্য খুব জরুরি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতেই হবে। সরকার উদ্যোগ নিলে জনগণ পাশে থেকে সাহায্য করবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারও ওপর কোনো ধরনের জুলুম করবে না। সব রকম প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকবে। তবে যারা হত্যার মতো অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে।
আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমরা মরতে এসেছি, আমরা মরতে চাই, কত মারবে তোমরা আমরা দেখতে চাই।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, আল্লাহ আমাদের প্রটেকশন দিচ্ছেন বলে এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের ডেমোক্রেসি চাই না। সব সময়ের ডেমোক্রেসি চাই। আমরা চাই সরকার হবে- ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।
তিনি বলেন, আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকবো। আমার পরবর্তী প্রজন্ম এলেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং একইভাবে এগিয়ে যাবে। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যেও গিয়ে বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন, এটা কেমন হবে।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
‘আমি এখন বলছি, জাতীয় পার্টি একটি জনগণের রাজনৈতিক দল। হয়তো সারাদেশে আমাদের অবস্থান কিছুটা কম আছে, তবুও আমরা টিকে আছি। চাপে গর্তে ঢুকে গেলেও বারবার জাতীয় পার্টি উঠে দাঁড়ায়, এটাই অনেকের সহ্য হয় না। যে কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। জাতীয় পার্টি সবসময় জনবান্ধব দল ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবকে যতই অপবাদ দেওয়া হোক না কেন জনগণ তার পাশে ছিল। অনেকে বলে এরশাদ সাহেবকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নামানো হয়েছে, এটা একদমই ভুল কথা। উনি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছেন। তবে একানব্বই থেকে উনার (এরশাদ) এবং জাতীয় পার্টির ওপর নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো সময় দলীয়করণ করেনি। জাতীয় পার্টি সবসময় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সবাই বলে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দোসর। কিন্তু কীভাবে দোসর হলাম। আমরা শেখ হাসিনার কোনো ধরনের জনবিরোধী কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জনবিরোধী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের দলীয়করণের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলেন ১৫ বছর অবৈধ শাসনামল ছিল। তবে আমরা বলি সেটি ছিল ১০ বছর, ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত সরকারকে আমরা অবৈধ শাসনামল হিসেবে দেখছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত শাসন আমলকে অবৈধ বলা ঠিক নয়, তবে খারাপ শাসনামল বলতে পারেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সব দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তখন কি সব দল শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এটা কি একা জাতীয় পার্টি দিয়েছিল।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন নির্বাচনে যেতে চাই না, তখন জোর করা হয়। কিন্তু যখন যেতে চাই, তখন বাধা আসে। জাতীয় পার্টি একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার, যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাজধানীতে ৮ নভেম্বর বিএনপির শোভাযাত্রা
রাজধানীতে আগামী ৮ নভেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ওই দিন বিকেল ৩টায় তারা এ শোভাযাত্রা করবে। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও জেলা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে তুলে নিয়ে আসতে আমরা এবার দিবসটি ব্যাপকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬ নভেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা করা হবে। পরদিন ৭ নভেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া ওইদিন স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত করা হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ৭ তারিখ বৃহস্পতিবার ও সপ্তাহের শেষ দিনে শোভাযাত্রা করলে সড়কে যানজট তৈরি হতে পারে এই আশংকায় একদিন পিছিয়ে ৮ নভেম্বরে শোভাযাত্রার আয়োজন রাখা হয়েছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে। এ ছাড়া সব বিভাগীয় শহরগুলোতে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই যৌথ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, মাহবুবুল হক নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি