অর্থনীতি
তরল দুধের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াল আড়ং
দামবৃদ্ধির তালিকায় এবার যুক্ত হলো তরল দুধ। প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়েছে প্রক্রিয়াজাতকারী বেসরকারি খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ডেইরি।
এক লিটার তরল দুধের দাম বাড়িয়ে ৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। আধা লিটারের দুধের দাম ৫০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া আড়ংয়ের স্ট্যান্ডার্ডাইজড দুধ আধা লিটার ৫৫ টাকা, এক লিটার ১০০ টাকা, পাস্তুরিত দুধ আধা লিটার প্যাকেট ৬০ টাকা এবং এক লিটার প্যাকেট ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নানা ক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধির কারণে ব্র্যাক ডেইরি চলতি সপ্তাহ থেকে আড়ং দুধের মূল্য লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এদিকে গবাদি পশুর খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কৃষক পর্যায়ে দুধের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেজন্য কৃষক পর্যায়ে কাঁচা দুধের মূল্য লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
ব্র্যাক ডেইরি জানিয়েছে, পণ্যের সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজারে সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল যেমন: প্যাকেজিং, কার্টন ও খুচরা জিনিসের মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ খাতে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় দুধ শীতলকরণসহ প্রক্রিয়াজাত কারখানায় অনেক বেশি সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। এছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় আনুষঙ্গিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আদানির পাওনা দ্রুত পরিশোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ
ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনার পর বাংলাদেশ তাদের পাওনা পরিশোধ বাড়াচ্ছে। আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের মোট ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির বকেয়া তা দ্রুত পরিশোধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিষয়টির সুরাহা করতে আদানি ৭ নভেম্বরের যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই বাংলাদেশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা।
দুইজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ইতিমধ্যেই আদানি পাওয়ারকে আংশিক পেমেন্ট করা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ সরবরাহ করে আদানি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আমরা পেমেন্ট সমস্যার সমাধান করেছি। ইতিমধ্যে আদানি গ্রুপের অনুকূলে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের লেটার অভ ক্রেডিট (এলসি বা ঋণপত্র) ইস্যু করেছি।
ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আদানির ১,৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগতে থাকা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি আদানি পাওয়ার।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত, এমন তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি করতে সমস্যায় পড়েছে আদানি পাওয়ার। তাই বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য ৭ নভেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিবিসিকেও জানান, ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে আদানি। তবে বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আসবে বলে আমরা মনে করি না।’
কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেন, তারা ধীরে ধীরে এবং নিয়মিত পাওনা পরিশোধ করবেন। বকেয়া পাওনা পরিশোধের এই সমস্যার সমাধানে তারা আত্মবিশ্বাসী।
বিপিডিবির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, আদানি আগে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও চলতি মাসে তা ৭০০-৮০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, পেমেন্ট বাড়ানোর পরও সরবরাহ কমানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। আমরা পাওনা পরিশোধ করতে প্রস্তুত এবং বিকল্প ব্যবস্থা নেব, কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করে ব্ল্যাকমেইল করার সুযোগ দেব না।
তিনি জানান, আদানিকে বাংলাদেশ জুলাই মাসে ৩৫ মিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ৬৮ মিলিয়ন ডলার ও অক্টোবরে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ ইতিমধ্যে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, কয়লা ও তেল আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান করতে সমস্যায় পড়ছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আগস্টে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আগের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের বাইরে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে।
আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি শেখ হাসিনার আমলে স্বাক্ষরিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তিটিকে অস্বচ্ছ বলে উল্লেখ করেছে। একটি জাতীয় কমিটি আদানিসহ মোট ১১টি চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন করছে। উল্লেখ্য, আদানি বাংলাদেশের কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম ভারতের অন্য বেসরকারি উৎপাদনকারীদের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি রাখছে।
আদানি পাওয়ারের পাশাপাশি এনটিপিসি লিমিটেড ও পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বিপিডিবির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের পাওনাও আংশিকভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে।
বিদ্যুতের সরবরাহ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ কয়েকটি গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বিদ্যুতের খরচ আরও বাড়বে। শীতের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৫০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে। ডলার সংকটে পর্যাপ্ত কয়লা কেনা যাচ্ছে না। তাই আদানির রেডিমেড বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় উৎপাদনকারীদের চেয়ে তাদের বিদ্যুৎ বেশি ব্যয়বহুল হলেও এই সরবরাহটা জরুরি।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। দীর্ঘমেয়াদি রুশ ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রকল্পটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিলো সরকার
ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার নিট ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।
বাংলা দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে বিক্রির তুলনায় ভাঙানো বেশি ছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছর সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা কমেছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিচালন ব্যয় অনেক কমেছে। এর অন্যতম কারণ মন্ত্রী, এমপিসহ অনেকের পেছনে আগের মতো আর নিয়মিত ব্যয় হচ্ছে না। আবার এখন যে কোনো খরচ করার ক্ষেত্রে জবাবদিহি বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আগের সরকারের যে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা কমছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আর ১ টাকাও নিচ্ছে না সরকার। উল্টো গত আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে আগের ঋণের ১৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ২৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। যে কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত জুন শেষে যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকায় নেমেছিল। এর মধ্যে জুলাইতে ২ হাজার ১৮৮ কোটি, আগস্টে ২ হাজার ৩৬ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়ে রেপো রেট করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এখন আর নতুন করে টাকা ছাপানো হচ্ছে না। আগের সরকার একই রকম ঘোষণা দিলেও তথ্য গোপন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শেষ তিন মাসে অতিরিক্ত প্রায় ৪১ হাজার কােটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এক ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘ওভারড্রাফট’ খাতের নামে এ অর্থ দেওয়া হয়। ওডি হিসেবে সরকার যেখানে সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা নিতে পারত, সেখানে এই খাতের নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় ৪৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই উপায়ে দেওয়া টাকা সরকারি ঋণের মূল প্রতিবেদনে দেখানো হয়নি। যে কারণে গত অর্থবছর আসলে ঋণ বাড়লেও প্রতিবেদনে দেখানো হয় ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রযুক্তির মাধ্যমে চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশে আমাদের চিংড়ির চাহিদা রয়েছে। সনাতন পদ্ধতির কারণে দেশে উৎপাদন কম হচ্ছে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন না বাড়ালে রপ্তানি বাড়বে না।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহবান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটিকে (বেজা) ঢেলে সাজিয়েছে। দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ এখন চমৎকার। এ সময় তিনি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ ও সদস্য শ্যামল দাস উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাটের ব্যাগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের পরিবেশ উপদেষ্টা অত্যন্ত সচেতন একজন ব্যক্তি। তাকে মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায় কম। বাহিরেই বেশি থাকেন। তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা পলিথিন নিষিদ্ধ নিয়ে কাজ করছি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকায় নেভি ডকইয়ার্ড ওয়ার্কশপ সাইট এবং ডিইপিটিসি ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা উপকৃত হবেন। আগামীতে পাটের নাম হবে গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ। সবকিছুই হচ্ছে। এখন যদি আপনারা বলেন দুই মাসের মধ্যে আলাদিনের চেরাগের মতো সব কিছু চকচকে হয়ে যাবে, বিষয়টা তা না। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গাতে অনেক জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। এই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে করতেই এতদিন চলে গেল। এখন মনে করি পুরোপুরি জঞ্জাল ছুটানো যায়নি। তবে আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছি, আমি চাচ্ছি ভালো করে কাজ করে ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু রেখে যাওয়ার।
তিনি আরও বলেন, বন্দর, সিপোর্ট, বড় বড় নদী পোর্ট, বেশ কিছু স্থলবন্দর এখানে বেশ অনিয়ম আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এগুলো আমরা আস্তে আস্তে দূর করার চেষ্টা করছি। অনেকে বলে কয়েকজন মিলে দখল করে রেখেছে। গণমাধ্যমেও এটি এসেছে। এগুলো দখলমুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি যেন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। পার্টিকুলার কারও হাতে যেন না থাকে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সরকারি কোনো কিছু চালাতে দেননি। এতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা সব কিছু নিয়েই কাজ করছি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ড নেভি কর্তৃক পরিচালিত। এখানকার কাজ অত্যন্ত শৃঙ্খল ও উন্নতমানের। এখানে বুয়েট ও এমআইএসটি থেকে স্টুডেন্টরা আসে। এটি আরও কীভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে কাজ করব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে টানা কয়েক দফা বাড়িয়ে অবশেষে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৬৫ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ১৬১ টাকা। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমানোর কথা জানায় বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৪২ হাজার ১৬১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এদিকে স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬২৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২২৩৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৬৮০ টাকা।
এর আগে, সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর দেশের বাজারে ভরিতে এক হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এমআই