ব্যাংক
৪০ কর্মকর্তাকে পদত্যাগের নির্দেশ, ইউসিবিতে ছাঁটাই আতঙ্ক
শীর্ষ পর্যায়ের ৪০ কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছে বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ব্যাংকটির শীর্ষ এই কর্মকর্তাদের প্রায় অর্ধেকেই বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক এবং বাকিরা প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্তে অন্য সব কর্মকর্তার মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পদত্যাগের নির্দেশ পাওয়া দুজন কর্মকর্তা বলেন, শুধু চট্টগ্রামে বাড়ি হওয়ার কারণে তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, যদিও কোনো ধরনের অনিয়মে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। যেসব বিভাগে অনিয়ম হয়েছে, সেসব বিভাগে তাঁরা কখনো কাজ করেননি। তবে তালিকার অনেকেই অনিয়ম হওয়া বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
একটি সূত্র জানায়, ৪০ কর্মকর্তার মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। অনেকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলেও জানা গেছে। ব্যাংকটি সব মিলিয়ে ১০০ কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে।
জানা যায়, ইউসিবির নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের হাতে। শুরু থেকে ব্যাংকটির সঙ্গে যুক্ত ছিল ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পারটেক্স গ্রুপ। কিন্তু ২০১৭ সালে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিনিধিদের ইউসিবি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন রুকমিলা জামান। কিন্তু তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় মূলত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীই ব্যাংকটি পরিচালনা করতেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো এক চিঠিতে ইউসিবির কিছু শেয়ারধারী অভিযোগ করেন, রুকমিলা জামান ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেও সাইফুজ্জামান চৌধুরী কার্যত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন এবং তাঁর ‘স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের কারণে’ ব্যাংকটি দেউলিয়া হওয়ার পথে।
ওই চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে, যে সম্পদ মূলত ‘ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা লুট করে’ গড়ে তোলা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিলে নতুন চেয়ারম্যান হন অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির। এরপর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরীও পদত্যাগ করেন। নতুন এমডি হিসেবে যোগ দেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ। ইউসিবির প্রকৃত আর্থিক পরিস্থিতি যাচাই করে দেখতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ।
জানা গেছে, এসব নিরীক্ষার কয়েকটি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এতে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদের অনেককে ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে; পাশাপাশি আরও অনেককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে চাকরিচ্যুত করা হবে। তখন সুযোগ-সুবিধা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলাামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে তারা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো ও ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং পরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, ভুটান, জর্ডান ও ভারত সফর করেন।
কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তান সফর করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো ও অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভারত সফর করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাইবার হামলা, সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য সাইবার আক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতামূলক ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম তোফায়েল আহমাদ এক চিঠিতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনায় বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন তথ্যও জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এসব সাইবার অপরাধী প্রতিনিয়ত দেশের সাধারণ মানুষ তথা ব্যাংকের গ্রাহকদের হয়রানি করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকারও হচ্ছে। এ ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকগুলোকে ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এসআইবিএল থেকে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে (এসআইবিএল) বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত পর্ষদের নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তাকে এসআইবিএল থেকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্যাংকটির বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এসআইবিএলের মানব সম্পদ বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে এসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পরীক্ষা ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআইবিএলের ওই ঊধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসআইবিএলে বর্তমানে ৪ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে ৫৭৯ কর্মকর্তাকে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়োগে কোনো ধরনের সার্কুলার, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই ছিলনা। সম্প্রতি এক বোর্ডে তাদের নিয়োগ বাতিল করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ তাদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে চাকরিচ্যুত করার কথা জানানো হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
জাল স্লিপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজশাহী মহানগর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা।
দুদকের আইনজীবী জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত, জেলা কার্যালয় রাজশাহী ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ এফএম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সালের (৪২) নামে মামলা দায়ের করে। এরপর মামলাটি তদন্তকালে ডেপুটি ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মাজেদুল ইসলাম, সাবেক অফিসার (ক্যাশ), মাহবুবুল আলম ও আতাউর রহমান, সাবেক এসএভিপি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) শাহ মাসুদ জামাল, ট্রেইনি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রাকেশ কুমার দত্ত, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহমিদা উম্মে নাজনীন এবং সাবেক ম্যানেজার ও জোনাল ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) সেলিম রেজা খানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
তারা পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা প্রকৃতপক্ষে তাদের হিসাব নম্বরে জমা না করেই ভুয়া জমা স্লিপ দেন। তারা গ্রাহকের টাকা জমা দেখিয়ে চেকে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ জুল বাদাইন নামে এক গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৬টি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ফজিলা খাতুনের হিসাব থেকে ১৫টি চেক মূলে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ২ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া আরও ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ভল্ট থেকে সরাসরি নিয়ে নেন।
এভাবে নানান কায়দা-কৌশলে তারা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি দুদক তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অ্যাডভোকেট বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা আরও জানান, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির ক্যাশ উজাড় করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সালকে আটক করে পুলিশে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তখন তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোকাম্মেল তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসআলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে বেআইনিভাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
এমআই