ব্যাংক
সাইবার হামলা, সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য সাইবার আক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতামূলক ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম তোফায়েল আহমাদ এক চিঠিতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনায় বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন তথ্যও জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এসব সাইবার অপরাধী প্রতিনিয়ত দেশের সাধারণ মানুষ তথা ব্যাংকের গ্রাহকদের হয়রানি করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকারও হচ্ছে। এ ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকগুলোকে ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এসআইবিএল থেকে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে (এসআইবিএল) বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত পর্ষদের নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তাকে এসআইবিএল থেকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্যাংকটির বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এসআইবিএলের মানব সম্পদ বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে এসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পরীক্ষা ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআইবিএলের ওই ঊধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসআইবিএলে বর্তমানে ৪ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে ৫৭৯ কর্মকর্তাকে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়োগে কোনো ধরনের সার্কুলার, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই ছিলনা। সম্প্রতি এক বোর্ডে তাদের নিয়োগ বাতিল করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ তাদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে চাকরিচ্যুত করার কথা জানানো হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
জাল স্লিপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজশাহী মহানগর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা।
দুদকের আইনজীবী জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত, জেলা কার্যালয় রাজশাহী ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ এফএম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সালের (৪২) নামে মামলা দায়ের করে। এরপর মামলাটি তদন্তকালে ডেপুটি ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মাজেদুল ইসলাম, সাবেক অফিসার (ক্যাশ), মাহবুবুল আলম ও আতাউর রহমান, সাবেক এসএভিপি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) শাহ মাসুদ জামাল, ট্রেইনি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রাকেশ কুমার দত্ত, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহমিদা উম্মে নাজনীন এবং সাবেক ম্যানেজার ও জোনাল ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) সেলিম রেজা খানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
তারা পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা প্রকৃতপক্ষে তাদের হিসাব নম্বরে জমা না করেই ভুয়া জমা স্লিপ দেন। তারা গ্রাহকের টাকা জমা দেখিয়ে চেকে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ জুল বাদাইন নামে এক গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৬টি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ফজিলা খাতুনের হিসাব থেকে ১৫টি চেক মূলে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ২ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া আরও ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ভল্ট থেকে সরাসরি নিয়ে নেন।
এভাবে নানান কায়দা-কৌশলে তারা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি দুদক তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অ্যাডভোকেট বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা আরও জানান, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির ক্যাশ উজাড় করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সালকে আটক করে পুলিশে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তখন তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোকাম্মেল তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসআলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে বেআইনিভাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সোনালী ব্যাংকের নতুন এমডি শওকত আলী খান
সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন মো. শওকত আলী খান। বুধবার (৩০ অক্টোবর) তিনি যোগদান করেন।
এর আগে, ২১ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সোনালী ব্যাংকে সিইও অ্যান্ড এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কৃষি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদানের আগে মো. শওকত আলী খান রূপালী ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে রূপালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করেন।
দীর্ঘ ২৬ বছরের কর্মজীবনে অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, স্থানীয় কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের এইচআর, শিল্প ঋণ, এসএমই, আইটি, ট্রেজারি, সংস্থাপন, আইন, কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা প্রণয়ণের জন্য তাকে ‘ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করেছে। মো. শওকত আলী খান ব্যাংকিং বিষয়ে দেশ- বিদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি জুলহাস গ্রেপ্তার
পদ্মা ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখার ঋণ খেলাপি এ কে এম শফিকুল ইসলাম জুলহাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) জামালপুর জেলার সদর থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত ঋণ খেলাপিকে গ্রেপ্তার করে।
ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখা এবং স্পেশাল ফোর্স আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সহযোগিতা করে। পদ্মা ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্যাংকটি জানায়, পদ্মা ব্যাংকের করা মামলায় জামালপুরের যুগ্ম দায়রা জজ ও জজ অর্থঋণ আদালত ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর জুলহাসকে গ্রেপ্তারের আদেশ জারি করেন। দীর্ঘ একবছর পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
স্কার্ফ অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামের কাছে সুদে আসলে পদ্মা ব্যাংকের পাওনা ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এমআই