ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিম্নবর্ণিতভাবে নামকরণ করা হলো। এর মধ্যে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নামকরণের তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাম। এগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অর্ডিন্যান্স পাশ হলে নভেম্বরে ইকসু নির্বাচনের আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) বাস্তবায়নের সম্ভাব্য রোডম্যাপের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। ইকসু গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য দ্রুত একটি খসড়া কমিটি গঠন হবে। পাশাপাশি অর্ডিন্যান্স পাশের সম্ভাব্য সময়সীমা ১৫ নভেম্বর এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ প্লাটফর্মের আলোচনা হয়। সেখানে ইকসু’র গঠনতন্ত্র ও বাস্তবায়নের রোডম্যাপ নিয়ে দাবি-দাওয়া এবং আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময়কালে উপাচার্য বলেন, বেরোবি একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও তারা ছাত্র সংসদ চালু করেছে। আমাদের যেহেতু ছাত্র সংসদ চালুর ব্যাপারে কোনো স্ট্রাটেজি নাই সেজন্য আমি বেরোবি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের ছাত্র সংসদ চালুর পদ্ধতি শুনেছি। আমি নিজেও তো ইকসুর বাইরে না। অন্যদিকে ঢাকসু, রাকসুতে যে কেন্দ্রীয় বাজেট দেয়া হয় সেখানে প্রত্যেক সম্পাদকের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকে। আমাদের যেহেতু কোনো বাজেট নাই সেজন্য আশা করছি খুব দ্রুত বাজেটের ব্যবস্থা করে ইকসু চালুর ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শুরুতে যে আইনগত বাঁধা আছে সেটা উত্তরণের চেষ্টা করছি। ইকসু চালু করতে হলে পার্লামেন্টে যেতে হবে কিন্তু অর্ন্তবর্তী সরকারে এটা সম্ভব না। ইন্টেরিম সরকার বিভিন্ন অর্ডিন্যান্স এবং আইন তৈরি করছে। সেজন্য ইকসুকে স্থায়ী রুপ দেয়ার চেষ্টা করছি।
ইকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তিনি বলেন, কিভাবে কাজ করা যায় ও ইকসুতে কতজন সদস্য রাখা যায় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল ফর্মালিটি শেষ করতে পারবো ততো দ্রুত ইকসু নির্বাচন দিতে পারবো। আমাদের বর্তমান কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী আশা করছি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সবকিছু শেষ করে পরবর্তীতে নির্বাচন দিতে পারবো।
মতবিনিময় শেষে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’র প্রতিনিধিগণ জানান, মার্চ ফর ইকসু’র মাধ্যমে উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। তিনি আমাদেরকে একটি আউটলাইন দিয়েছেন। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের সাম্ভাব্য ডেইট দিয়েছেন। সেই আলোকে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ইকসু’র যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি গঠন করবেন। প্রয়োজন হলে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে এটি বাস্তবায়ন করবেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচনার মুখে অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। গতকাল রাতে নিয়ম ভেঙে মধ্যরাতে হলে অবস্থান করার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে উমামা ফাতেমা তার ভুলের কথা স্বীকার করে লেখেন, “আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি, তাই হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “গতকাল আমি কোনো নির্বাচনী প্রচার বা মিটিং করতে হলে যাইনি। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে একজন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।” তিনি জানান, রাত ১০টায় গেট বন্ধ হওয়ার আগেই তিনি হলে প্রবেশ করেছিলেন, তাই রাত দেড়টায় হলে প্রবেশের যে খবরটি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উমামা ফাতেমা জোর দিয়ে বলেন, কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে তিনি হলে ভোট চেয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকে ঢাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শপথ নিলেন পিএসসির নতুন তিন সদস্য

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ শপথ হয়।
নতুন সদস্যরা হলেন—মো. মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ও এম আমজাদ হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)।
রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ও পিএসসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) তিনজন সদস্য নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিন কর্মকর্তাকে সদস্য পদে নিয়োগ করেছেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সেই সময় পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৮-তে দাঁড়াল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার নেবে আরএফএল গ্রুপ

শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার’ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কোনো ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করা যাবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আরএফএল গ্রুপ
বিভাগের নাম: ব্র্যান্ড
পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার
পদসংখ্যা: ২০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ অথবা বিবিএ (মার্কেটিং)
অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা (বাড্ডা)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে RFL Group ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ আত্মপ্রকাশ ইবি শিক্ষার্থীদের, ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি-২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো–প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বারবার ভাবিয়েছে সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য নিবেদিত ও নির্ভরযোগ্য কোন প্লাটফর্ম এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠেনি। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও তার বাস্তবায়ন খুবই কম এবং তার অগ্রগতি খুব একটা হয়নি বললেই চলে।
প্রতিটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের। জন্য বা ক্যাম্পাস সংস্কারের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও রাজনৈতিক এজেন্ডা সমূহও এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে যেয়ে নিরেট শিক্ষার্থীদের জন্য যে সবসময় দাবি-দাওয়া উপস্থাপন এবং প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে কার্যকরী সমাধান করতে পারে সেরকম এমন একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ছাত্র সংসদ। কিন্তু অত্যন্ত হতাশা ও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়নি।
অভিযোগ তুলে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কথা বলা, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বাবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, হলে সিট বণ্টনে প্রভোস্টকে সহযোগিতাসহ শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট জাতীয় ইস্যুতে কথা বলার মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সুযোগ করে দেয় ছাত্র সংসদ। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের কোন অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজেদের স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে দেয় না।
অথচ শিক্ষক সমিতির নিয়মিত নির্বাচন হয়, কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ও নির্বাচন হয়; কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াতে যেমন ছাত্ররা অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে, তেমনি দেশ কোনো মেধাবী নেতৃত্ব পাচ্ছে না। অপরদিকে নব্বই দশকের পর থেকে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য, হল দখল, গেস্টরুম কালচার থামছেই না।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন নাবিদাওয়া উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ইকসু গঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি সিতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইকসু গঠনের জন্য কোন পদক্ষেপ তো নেয় ই নি বরং বারবার আইনের দোহাই দেখিয়ে ইকসু গঠনকে থামিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং রাকসু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠন এবং নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী।
স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং কোনমতেই এই অধিকার থেকে কোন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা চলবে না। হুকযু কোন একক বাক্তির বা একক সংগঠনের না, ইকসু আমার, আপনার এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর। ইকসুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাদের উদাত্তকণ্ঠে আমাদের এই ইকসু গঠন আন্দোলন-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব