ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়লো যেভাবে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুরুতেই ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ ছিল। তবে পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এসব অনেক আগের ঘটনা হলেও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ দিন বিকেলে জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা পোস্ট করছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ডিন্যান্সের সময় তৎকালীন প্রশাসন মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে চারবার
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবেন বলে গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা-৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবে- এরূপ বিধি সংযোজনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিম্নবর্ণিতভাবে নামকরণ করা হলো। এর মধ্যে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নামকরণের তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাম। এগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সায়েন্সল্যাব অবরোধ করলেন ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন এসব কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সড়ক অবরোধের ফলে আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা এই কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা চাই অতি দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
এরপর গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বুটেক্সের নতুন ভিসি অধ্যাপক জুলহাস উদ্দিন
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) আইন, ২০১০ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে চার বছরের জন্য নিয়ে নিয়োগ দিয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অন্যদিকে, একই দিনে বুটেক্সের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব চালিয়ে আসা অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য- আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে সহজ করতে অ্যালামনাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ভিসি বলেন, মক্কা সম্মেলনে ঘোষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার নতুন ধারা সৃষ্টির অন্যতম একটি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠিত হলেও সৃষ্টিগতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করে আছে।
নানা চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে বিভিন্ন শাসন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে শাসকগোষ্ঠী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ এসেছে, পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগানোর। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং অগ্রসর করার জন্য আমি কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইবি ভিসি আরও বলেন, দেশের সনামধন্য নাগরিক তৈরীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অন্যন্য। বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু একটি সাধারণ সভা নয়, এটি আনন্দ মেলা, মিলন মেলা। আপনারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মূল্যবোধ। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অ্যালামনাইদের অনেক দায়িত্ব আছে।
‘ইউনাইটেড ইন ব্রাদারহুড’ শ্লোগানে আয়োজিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব ও বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাইয়ের আহবায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাই।
ড. মো. জিল্লুর রহমান ও ড. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এতে অ্যালাইমনাইদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন-ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান, আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান (রাবি), অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. শহীদ মো. রেজওয়ান, অধ্যাপক ড. মো. আবু সিনা, মাওলানা তারেক মনোয়ার, অধ্যঅপক ড. মো. ইকবাল হোসাইন, অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল হক সাঈদী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও নানা বাধা ও ষড়যন্ত্রের কারণে হয়নি। বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছরে ইবিকে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল রূপ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদালয় এবার নতুন রূপে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যালামনাইয়ের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা এবং গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক হিসেবে নাজমুল হক সাঈদী এবং সদস্য সচিব হিসেবে মুহাম্মদ আবদুল হাই নির্বাচিত হন। তারা একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার নিবন্ধিত অ্যালামনাই ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
এমআই