স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে বছরের সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যু ৬

বাংলাদেশে গত একদিনে ১৩১২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০ অক্টোবর ১২৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন, সেটাই এতদিন ছিল এ বছর একদিনে ভর্তি রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গত একদিনে আরও ৬ জনের প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত এ রোগে এ বছর মোট ২৮৬ জনের মৃত্যু হল।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৮৬ জন। তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ ও ১৫৩ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৬০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এসএম

স্বাস্থ্য
৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমালো সরকার

অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। এর ফলে সরকারের ওষুধ কেনায় প্রায় ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব ওষুধের দাম কমানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরস্যালাইন, ইনজেকশনসহ মোট ৯ ধরনের ওষুধ।
প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর পাশাপাশি লাভজনক অবস্থা দাঁড় করাতে কাজ চলছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, উৎপাদন বাড়াতে এবং প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, দুর্নীতি দমন এবং প্রায় ৭০০ অপ্রয়োজনীয় কর্মচারী ছাঁটাই করার মতো বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ। কাঁচামাল কেনার দরপত্র উন্মুক্ত করার কারণে প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ইডিসিএল-এর অধীনে নতুন দুটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে একটি হবে ভ্যাকসিন উৎপাদনমুখী বায়োটেক প্ল্যান্ট, যেখানে ইনসুলিনসহ অন্যান্য বায়োলজিক্যাল পণ্য উৎপাদন করা হবে। নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। টোল ম্যানুফ্যাকচারিং ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৪

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১০২ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৬৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য
হার্টের রিংয়ের দাম কমাল সরকার

হার্টের স্টেন্টের (রিং) দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে সরকার, যেখানে একেকটি রিংয়ের দাম কোম্পানিভেদে ৩ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এ অফিস আদেশে তিন কোম্পানির ১১ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে ট্যাক্স, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ/ কমিশন এবং কোম্পানিগুলোর যুক্তিসঙ্গত মুনাফা বিবেচনায় এনে Abbott, Boston Scientific এবং Medtronic হতে আমদানিকৃত করোনারি স্টেন্টসমূহের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুমোদিত মূল্য তালিকা ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণসহ হাসপাতালগুলো যেন স্টেন্টের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করে এবং অনুমোদিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) ব্যতীত কোনো কার্ডিওভাসকুলার ও নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস যেন ক্রয় না করা হয় এ বিষয়ে মনিটরিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু: নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুই সিটির ১৩ ওয়ার্ড

রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকেও বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ১২, ২, ৮, ৩৪, ১৩, ২২ নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩১, ৪১, ৩, ৪৬, ৪৭, ৪, ২৩ নং ওয়ার্ড।