পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৪ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ন্যাশনাল পলিমারের আজ ১১ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
সোমবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, ফারইস্ট নিটিং, মালেক স্পিনিং, খান ব্রাদার্স, টেকনো ড্রাগস, গ্রামীণফোন এবং ব্রাক ব্যাংক পিএলসি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিএসইর সঙ্গে ৯ ট্রেকের এপিআই শেয়ারিং চুক্তি সম্পন্ন
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সঙ্গে তাদের সদস্যভুক্ত ৯টি ট্রেকের (ব্রোকারেজ হাউজ) মধ্যে এপিআই (অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) শেয়ারিং চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সিএসইর ঢাকার কার্যালয়ে এপিআই শেয়ারিং চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চুক্তি সম্পন্নকারী ট্রেকগুলো হলো- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
এই চুক্তির মাধ্যমে ট্রেকগুলো তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিএসইর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব আইটি সার্ভিসেস হাসনাইন বারী এবং ট্রেকগুলো পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।
এসময় সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, হেড অব লিস্টিং কমপ্লায়েন্স, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট একেএম শাহরোজ আলম, সংশ্লিষ্ট ট্রেকগুলো থেকে প্রতিনিধিগন এবং সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, এই চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়া ট্রেকহোল্ডারদের জন্য সময়োপযোগী এবং লেনদেনের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী। এপিআই শেয়ারিং চুক্তির মাধ্যমে ট্রেকগুলো তাদের ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এবং আরএমএস ( রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-কে ব্যবহার করে লেনদেন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে পারবে। এটি মূলত একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম যার মাধ্যমে ব্রোকারদের উভয় বাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে শর্ট সেল প্রতিরোধ করতে পারবে এবং ডিএসই এবং সিএসই উভয় মার্কেটের শেয়ারের তুলনামূলক উপস্থিতি খুব সহজে একটি প্ল্যাটফর্মে দেখে কেনেবেচার দ্রুত সিন্ধান্ত নিতে পারবে। এই প্রযুক্তি পুঁজিবাজারের লেনদেনের ধারাকে আরও অগ্রগামী করবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি মিলেনিয়াম ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআইয়ের সাথে সংযোগ নিয়ে নিজস্ব ওএমএস’র মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সিএসইতে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস নীতিমালা লঙ্ঘন, নিশ্চুপ ডিএসই-বিএসইসি
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা জারির পর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হলেও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করলেও নজর নেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
নীতিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরবর্তী কার্যদিবসে শেয়ারদরের সঙ্গে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের কথা। কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয়ই হয়নি। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় এখনও ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত আছে। তবে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে এসেছে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে অনেক বিনিয়োগকারী সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। বোনাস ও রাইটের পর সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কত হবে সেটি বিএসইসির নীতিমালা অনুযায়ীই হিসাব করে পরবর্তীতে আবার বিনিয়োগ হবে। কিন্তু সেই হিসাব যদি ডিএসইর কারণে গড়মিল হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবিষয়ে বিএসইসি যেহেতু একটা নীতিমালা দিয়েছে সেহেতু সে অনুযায়ীই হওয়া উচিত। ডিএসইর আগের নিয়ম থাকলেও সেটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পূর্বের কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লোরপ্রাইসে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হওয়ার কথা ছিলো। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ কোন নিয়মে সমন্বয় করেছে বা না করে থাকলে কেনো করেনি তা যাচাই-বাছাই করা হবে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, বেক্সিমকোর শেয়ার ফ্লোরপ্রাইসে আছে। যেহেতু কোম্পানিটি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে, সেহেতু ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ে কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস ১১০ টাকা ১০ পয়সা হওয়ার কথা। তবে এটি আমাদের ভুল সেটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটি সংশোধন করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লোর প্রাইসের নিচে লেনদেন হবে না কোম্পানির শেয়ার। এমনকি প্রতিটি কোম্পানির যে সার্কিট ব্রেকার দেয়া থাকে, কোনো কোম্পানি যদি ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে সে কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের কারণে সর্বোচ্চ দরে বাড়তে পারবে, কিন্তু কমতে পারবে না।
জানা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সমন্বয় করা দর নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইসের কম হলে পরিবর্তন করা হয় সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। এটি সংশোধন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাভবান হবেন বিনিয়োগকারীরা। আবার সমন্বয় দর ফ্লোর প্রাইসের বেশি হলে আগের ফ্লোর প্রাইসই বহাল থাকে। এতে লোকসান হয় বিনিয়োগকারীদের। এভাবেই নির্ধারিত হয়ে আসছিল কোম্পানির সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস।
এমন অবস্থায় বিএসইসির ৭৬১তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোনো কোম্পানি বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করলে রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দরের সঙ্গে সমন্বয় হয়ে পরিবর্তন হবে সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। তবে বিএসইসির এমন নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
ফলে বিএসইসির এই নতুন নিয়মে ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে যারা শেয়ার কিনছেন তারা হিসাব মেলাতে পারছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসি ৭৬১তম সভায় ফ্লোর প্রাইস সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঘোষিত বোনাস বা রাইট শেয়ারের রেকর্ড ডেটের পরবর্তী সর্বনিম্ন দরকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
এ হিসেবেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিএটিবিসি) সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৫১৮ টাকা। বিএটিবিসি তার শেয়ারধারীদের জন্য নগদের পাশাপাশি ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। রেকর্ড ডেটের আগে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১ হাজার ৫৫৪ টাকা। বিএসইসির নির্দেশনার পর এটাই ছিল প্রথম ফ্লোর প্রাইস সংশোধন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলো, যারা বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করবে তাদের ক্ষেত্রে এভাবেই ফ্লোর প্রাইস সংশোধন করা হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় এখনও ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত আছে। তবে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে এসেছে কোম্পানিটি।
এর আগে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের রেকর্ড ডেটের পর ফ্লোর প্রাইস পুনর্নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে ডিএসই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের ৪ ব্যাংককে আরও তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে আরও তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাকা না ছাপিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অর্থ সহায়তা দেবে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এই চারটি ব্যাংক অর্থ সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল সহায়তা চেয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৫ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে মিটিং করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো কতো টাকা যোগান পেলে সংকট থেকে বের হতে পারবে, সেই তথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় গভর্নর ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে টাকা ছাপিয়ে তাদের সহায়তা করা হবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম এবং বিল ও বন্ড বাজারে বিক্রির নিজস্ব আয় থেকে ব্যাংকগুলোকে এই সহায়তা দেবে।
এদিকে, নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা পেলে ব্যাংকগুলো খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে-এমন প্রত্যাশা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
এবিষয়ে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সাকিব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তার এই বার্তা ব্যাংকগুলো সম্পর্কে গ্রাহকদের নেতিবাচক মনোভাব অনেক পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিঘ্রই গ্রাহকদের আমরা কাংখিত সেবা দেওয়ার অবস্থানে ফিরবো। এ বিষয়ে তিনি গ্রাহকদের ইতিবাচক মনোভাব প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যেসব ব্যাংক অর্থ সংকটের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের সহায়তার জন্য খুব শিগগিরই আপনারা নতুন উদ্যোগ দেখতে পাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বুধবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে ৮ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের ৮ কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, ফাইন ফুডস, পেপার প্রসেসিং, বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা, মুন্নু সিরামিক, সিলভা ফার্মা এবং মুন্নু এগ্রো।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর)। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী রবিবার (১ ডিসেম্বর)।
আর রেকর্ড ডেটের দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল
রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে আগামীকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমান ফীড, আমান কটন ফাইবার্স, মোজাফফর হোসেন, জিবিবি পাওয়ার এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
সূত্র মতে, এর আগে কোম্পানিগুলো শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন শুরু করে। আজ কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন সম্পন্ন হবে।
আর রেকর্ড ডেটের পর আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কোম্পানিগুলো আবার লেনদেনে ফিরবে।
এসএম