অর্থনীতি
স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বুধবার থেকে কার্যকর
ফের আরেক দফা দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ১৩৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৯ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ অক্টোবর থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৭ বার দাম বাড়ানও হয়েছে, আর কমানও হয়েছে ১৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচারের টাকায় বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সামিটের আজিজ
গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার ঢাল ব্যবহার করে শুধুই তর তর করে ওপরে উঠেছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ, সরকারি কেনাকাটা, পণ্য ও সেবার সরবরাহ করে সবাইকে পেছনে ফেলে ধনী থেকে আরো ধনী হয়েছেন। বেসরকারি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আজিজ খানের পরিচিতি এখন শুধু বাংলাদেশের ধনী হিসেবেই নয়; বরং তিনি এখন সিঙ্গাপুরেরও অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন দেশে, আর তা পাচার করে ধনকুবের হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। বলতে গেলে, বিলিয়নেয়ার আজিজ খান প্রায় পুরো টাকাটাই দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য সূত্র ও তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
আজিজ খান শুধু যে সিঙ্গাপুরেরই শীর্ষ ধনী তাই নয়; যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের ২০২৪ সালে প্রকাশিত নিরীক্ষা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সারিতেও আছেন মুহাম্মদ আজিজ খান। সাময়িকীটির করা ৭৮টি দেশের দুই হাজার ৭৮১ জনের তালিকায় দুই হাজার ৫৪৫ নম্বরে রয়েছেন আজিজ খান। যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.১২ বিলিয়ন ডলার। আয়ের খাত হিসেবে জ্বালানি খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হয়েও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন। ছেড়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী। আগের বছর (২০২৩) সে দেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৪২ নম্বরে ছিলেন। এ বছর এক ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
অর্থ পাচারসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে ২০১৬ সালে পানামা পেপারসে সামিট গ্রুপের আজিজ খানের নাম শীর্ষে উঠে আসে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করে। জানা যায়, ক্ষমতার প্রভাব আর আইনি জটিলতায় এখনো শেষ হয়নি অনুসন্ধান।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) দপ্তর থেকে সম্প্রতি সামিট গ্রুপের দুর্নীতির তথ্য বের হয়েছে। মাত্র দুই মাস আগেই বিটিআরসি থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সামিট কমিউনিকেশনস কোনো ফি ছাড়াই তার শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবে। তবে আকস্মিকভাবেই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। অভিযোগ উঠেছে, সামিট কমিউনিকেশন নতুন শেয়ার ইস্যুর আড়ালে শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রি করছিল।
সামিট কমিউনিকেশন ২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশের পর টেলিকম ও ইন্টারনেট সেক্টরের বৃহত্তম কম্পানিতে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠানটি মার্চের শেষের দিকে আবুধাবি ও মরিশাসভিত্তিক দুটি পৃথক কম্পানির কাছে ১৭০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের নতুন শেয়ার ইস্যু করার জন্য বিটিআরসির অনুমোদন চায়। আবেদন অনুসারে প্রতিটি শেয়ার ১২ টাকা দরে মোট ১৪.২০ কোটি নতুন শেয়ার ইস্যু করা হবে। এর এক মাস পর এটির প্রাক-অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরের মাসেই সরকারি অনুমোদন আসে। এরপর চলতি বছরের ১২ জুন বিটিআরসি কম্পানিটিকে কোনো চার্জ ছাড়াই শেয়ার ট্রান্সফারের অনুমতি দেয়।
সরকারি অনুমোদনের জন্য পাঠানোর আগে বিটিআরসি আইনি মতামত চেয়েছিল। যেখানে সামিট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে কোনো চার্জ প্রযোজ্য হবে না বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল। তবে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সামিট আসলে নতুন শেয়ার ইস্যু করার আড়ালে শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রি করছিল। ফলে সামিটের ওপর বিটিআরসির আইনি ও লাইসেন্সিং শর্ত অনুযায়ী চার্জ প্রযোজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সামিট কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের ছোট ভাই। ফরিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়েরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে সামিটকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ বিটিআরসির কর্মকর্তাদের।
সামিট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চুক্তিও বিটিআরসিকে জমা দেয়। সেখানে দেখা যায়, আবুধাবিভিত্তিক কম্পানি গ্লোবাল এনার্জিকে সামিটের যে নতুন শেয়ার দেওয়ার চুক্তি হয়েছে, তার শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একজন হলেন আদিবা আজিজ খান, যিনি ফরিদের বড় ভাই সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানের মেয়ে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন শেয়ারের মধ্যে ১১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ৯.৪৪ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। অন্যদিকে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা মূল্যের আরো ৪.৪ কোটি শেয়ার মরিশাসভিত্তিক সেকোইয়া ইনফ্রা টেককে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত ৭ অক্টোবর সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ আজিজ খান, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, আয়শা আজিজ খান, আদিবা আজিজ খান, আজিজা আজিজ খান, জাফর উদ্দিন খান, মোহাম্মদ লতিফ খান, মোহাম্মদ ফরিদ খান, সালমান খান ও মোহাম্মদ ফারুক খানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়কর মেলা এবারও হবে না, অনলাইন রিটার্নে তাগিদ
নভেম্বর মাস এলেই কর মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন অনেক করদাতা। করোনা পরবর্তী ২০২০ সাল থেকে আর কর মেলা হয়নি। চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে করদাতাদের সুবিধার্থে এবার ঘরে বসে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়াকেই বেশি উৎসাহ দিচ্ছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কর কার্যালয়ে রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা দিতে নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস পালন করা হবে। এ ছাড়া সচিবালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে কর কর্মকর্তারা সহায়তা দিতে যাবেন। এমনকি সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবীও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, সব কর অঞ্চলে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা দেওয়া হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাবেন করদাতারা।
২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। এরই মধ্যে এই কর মেলা সাধারণ করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে গত বছরও করোনা বিবেচনায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৪০টি কর অঞ্চল রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর তারিখ নির্ধারণ
বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০ বছর (রি-ইস্যু) মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির নিলাম আগামী মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে মঙ্গলবার ২০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির (রি-ইস্যু) নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ নিলামে ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কুপন হারে ইস্যু করা ২০ বছর মেয়াদি (আইএসআইএন নম্বর বিডি ০৯৪৪০৫১২০২) ২ হাজার কোটি টাকা অভিহিত (লিখিত) মূল্যের ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যু করা হবে।
এ বন্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ২০৪৪ সালের ২৮ জুলাই। এছাড়া ট্রেজারি বন্ডের রি-ইস্যু নিলাম প্রাইসভিত্তিক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, নিলামে শুধু সরকারি সিকিউরিটিজের প্রাইমারি ডিলারের ভূমিকায় নিয়োগ পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিড দাখিল করতে পারবে। তবে অন্যান্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নিজস্ব খাতে তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের জন্য প্রাইমারি ডিলারের মাধ্যমে নিলামে বিড দাখিল করতে পারবে।
অভিহিত (লিখিত) মূল্যে প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের বন্ড কিনতে কাঙ্ক্ষিত প্রাইস ও বন্ড কেনার পরিমাণ উল্লেখ করে নিলামে অংশ নিতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এমআই মডিউলের মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে।
তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিয়ে ম্যানুয়াল বিডস ইন সিলড কভারস পদ্ধতিতে বিড দাখিল করা যাবে।
এদিকে নিলামে অংশগ্রহণের বিস্তারিত নির্দেশনা এরই মধ্যে প্রাইমারি ডিলারসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ দিনে প্রবাসী আয় ১৯৫ কোটি ডলার
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে বৈধপথে ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ (১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের প্রবাসী আায় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে ৯ ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক লুটপাটকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: গভর্নর
দেশে যাঁরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছেন এবং টাকা পাচার করে বিদেশে সম্পদ গড়েছেন, এসব লুটেরাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক লুটপাটকারীদের সম্পদ খুঁজে বের করে, যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে চলমান বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে সাইডলাইনে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকের লোপাট করা অর্থ দেশে-বিদেশে যেখানেই থাক, তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি তালিকায় রাখা হয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী পেশাজীবীরা দেশের ব্যাংক খাত এবং অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানান।
চরম তারল্যসংকটের মুহূর্তে ব্যাংক গ্রাহকদের ধৈর্যের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও তারা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে হামলা করেনি। এ জন্য নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সুদের হার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে দেশে ছয় মাস পর সুদহার কমানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর মূল্যস্ফীতি কমাতে দেশে নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯.৫০ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এটি ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
গভর্নর বলেন, আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের মূল্যায়ন শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরেন নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।
এমআই