পুঁজিবাজার
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
সভা শেষে লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মনোস্পুল পেপারের ২০ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা পরিচালক ২০ লাখের বেশি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন ২০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। এসবের মধ্যে তার স্ত্রী দিলারা মোস্তফাকে ১০ লাখ ২০ হাজার এবং ছেলে মোস্তফা আজাদকেও সমপরিমাণ শেয়ার উপহার হিসেবে প্রধান করবেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষিত শেয়ার হস্তান্তর করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, দিলারা মোস্তফা এবং মোস্তফা আজাদ উভয়ই কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দুই ঘণ্টায় ১৮২ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনে ধীরগতিতে প্রথম দুই ঘণ্টায় হাতবদল হয়েছে ১৮২ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১৪ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ১০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৫ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৫৮ ও ১৯০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৮২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসের একই সময়ে ১৪৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছিলো।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮৫টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এজিএমের ভেন্যু জানালো সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভেন্যু বা স্থান ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আগামী ১১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। শারিরীক উপস্থিতির জন্য কোম্পানিটির নির্ধারিত স্থান দ্য কিং অব চিটাগং।
কোম্পানিটির এজিএম হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের এই লিংকে প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিএসইর সঙ্গে ৯ ট্রেকের এপিআই শেয়ারিং চুক্তি সম্পন্ন
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সঙ্গে তাদের সদস্যভুক্ত ৯টি ট্রেকের (ব্রোকারেজ হাউজ) মধ্যে এপিআই (অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) শেয়ারিং চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সিএসইর ঢাকার কার্যালয়ে এপিআই শেয়ারিং চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চুক্তি সম্পন্নকারী ট্রেকগুলো হলো- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
এই চুক্তির মাধ্যমে ট্রেকগুলো তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিএসইর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব আইটি সার্ভিসেস হাসনাইন বারী এবং ট্রেকগুলো পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।
এসময় সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, হেড অব লিস্টিং কমপ্লায়েন্স, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট একেএম শাহরোজ আলম, সংশ্লিষ্ট ট্রেকগুলো থেকে প্রতিনিধিগন এবং সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, এই চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়া ট্রেকহোল্ডারদের জন্য সময়োপযোগী এবং লেনদেনের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী। এপিআই শেয়ারিং চুক্তির মাধ্যমে ট্রেকগুলো তাদের ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এবং আরএমএস ( রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-কে ব্যবহার করে লেনদেন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে পারবে। এটি মূলত একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম যার মাধ্যমে ব্রোকারদের উভয় বাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে শর্ট সেল প্রতিরোধ করতে পারবে এবং ডিএসই এবং সিএসই উভয় মার্কেটের শেয়ারের তুলনামূলক উপস্থিতি খুব সহজে একটি প্ল্যাটফর্মে দেখে কেনেবেচার দ্রুত সিন্ধান্ত নিতে পারবে। এই প্রযুক্তি পুঁজিবাজারের লেনদেনের ধারাকে আরও অগ্রগামী করবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি মিলেনিয়াম ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআইয়ের সাথে সংযোগ নিয়ে নিজস্ব ওএমএস’র মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সিএসইতে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস নীতিমালা লঙ্ঘন, নিশ্চুপ ডিএসই-বিএসইসি
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা জারির পর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হলেও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করলেও নজর নেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
নীতিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরবর্তী কার্যদিবসে শেয়ারদরের সঙ্গে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের কথা। কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয়ই হয়নি। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় এখনও ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত আছে। তবে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে এসেছে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে অনেক বিনিয়োগকারী সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। বোনাস ও রাইটের পর সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কত হবে সেটি বিএসইসির নীতিমালা অনুযায়ীই হিসাব করে পরবর্তীতে আবার বিনিয়োগ হবে। কিন্তু সেই হিসাব যদি ডিএসইর কারণে গড়মিল হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবিষয়ে বিএসইসি যেহেতু একটা নীতিমালা দিয়েছে সেহেতু সে অনুযায়ীই হওয়া উচিত। ডিএসইর আগের নিয়ম থাকলেও সেটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পূর্বের কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লোরপ্রাইসে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হওয়ার কথা ছিলো। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ কোন নিয়মে সমন্বয় করেছে বা না করে থাকলে কেনো করেনি তা যাচাই-বাছাই করা হবে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, বেক্সিমকোর শেয়ার ফ্লোরপ্রাইসে আছে। যেহেতু কোম্পানিটি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে, সেহেতু ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ে কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস ১১০ টাকা ১০ পয়সা হওয়ার কথা। তবে এটি আমাদের ভুল সেটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটি সংশোধন করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লোর প্রাইসের নিচে লেনদেন হবে না কোম্পানির শেয়ার। এমনকি প্রতিটি কোম্পানির যে সার্কিট ব্রেকার দেয়া থাকে, কোনো কোম্পানি যদি ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে সে কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের কারণে সর্বোচ্চ দরে বাড়তে পারবে, কিন্তু কমতে পারবে না।
জানা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সমন্বয় করা দর নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইসের কম হলে পরিবর্তন করা হয় সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। এটি সংশোধন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাভবান হবেন বিনিয়োগকারীরা। আবার সমন্বয় দর ফ্লোর প্রাইসের বেশি হলে আগের ফ্লোর প্রাইসই বহাল থাকে। এতে লোকসান হয় বিনিয়োগকারীদের। এভাবেই নির্ধারিত হয়ে আসছিল কোম্পানির সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস।
এমন অবস্থায় বিএসইসির ৭৬১তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোনো কোম্পানি বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করলে রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দরের সঙ্গে সমন্বয় হয়ে পরিবর্তন হবে সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। তবে বিএসইসির এমন নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
ফলে বিএসইসির এই নতুন নিয়মে ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে যারা শেয়ার কিনছেন তারা হিসাব মেলাতে পারছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসি ৭৬১তম সভায় ফ্লোর প্রাইস সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঘোষিত বোনাস বা রাইট শেয়ারের রেকর্ড ডেটের পরবর্তী সর্বনিম্ন দরকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
এ হিসেবেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিএটিবিসি) সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৫১৮ টাকা। বিএটিবিসি তার শেয়ারধারীদের জন্য নগদের পাশাপাশি ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। রেকর্ড ডেটের আগে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১ হাজার ৫৫৪ টাকা। বিএসইসির নির্দেশনার পর এটাই ছিল প্রথম ফ্লোর প্রাইস সংশোধন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলো, যারা বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করবে তাদের ক্ষেত্রে এভাবেই ফ্লোর প্রাইস সংশোধন করা হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় এখনও ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত আছে। তবে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে এসেছে কোম্পানিটি।
এর আগে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের রেকর্ড ডেটের পর ফ্লোর প্রাইস পুনর্নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে ডিএসই।
এসএম