ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্নাতক পাস করলেন শহীদ আবু সাঈদ, মেধাতালিকায় ১৪তম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেরোবির জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
রবিবার (২০ অক্টোবর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর অনুমোদনক্রমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল প্রকাশকালে উপাচার্য বলেন, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো। ৬৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবু সাঈদ মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। এটি আমাদের ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে আমরা শোকাহত। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
ফলাফল প্রকাশকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রউপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ হোসেন এবং অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা
এইচএসসিতে ফেল করা একদল শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ-অবরোধের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বরেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব। সোমবার আমার পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হন এইচএসসিতে ফেল করা একদল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে যান। সেখানে ভাঙচুরও চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
সে সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১১ দিন ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
টানা ১১ দিনের ছুটিতে কাটিয়ে আজ (রোববার) খুলছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ৯ দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) মিলিয়ে টানা এগারো দিনের ছুটিতে ছিল স্কুলকলেজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের তথ্যমতে, শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হয় গত ৯ অক্টোবর, এর সঙ্গে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি ১৬ অক্টোবর। সব মিলিয়ে ছুটি চলে ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ।
এ বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শেখ বলেন, ১১ দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে স্কুল। সব শিক্ষার্থী—অভিভাবকে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু মৌসুম হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। স্কুল আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবিতে বিলুপ্ত গণরুম, সিট পেল নবীন শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এতদিন কাগজে-কলমে দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। বিগত দুই দশকে অছাত্রদের সিট দখল, রাজনৈতিক প্রভাব, পোষ্যদের আধিপত্য ও অপরিকল্পিতভাবে নতুন বিভাগ খোলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠাকালীন আবাসিক গৌরব হারিয়েছিল।
নবীন শিক্ষার্থীদের জায়গা হতো হলের কমন রুম, ডাইনিং রুম, রিডিং রুম, সংসদ রুম, নামাজের কক্ষ কিংবা সাইবার রুমের মেঝেতে। সেখানে গাদাগাদি করে একজনের জায়গায় তিন থেকে চারজন শিক্ষার্থীকে থাকতে হতো। প্রথম বর্ষের পুরো সময় গণরুমে পার করে দ্বিতীয় বর্ষে তারা পেতেন ‘মিনি গণরুম’। মিনি গণরুমে দু’জনের জায়গায় ছয় থেকে আটজন এবং চারজনের রুমে ১৪ থেকে ১৬ জন থাকত।
দ্বিতীয় বর্ষ পার করে তৃতীয় বর্ষে এসে সিট পেলেও ‘পলিটিক্যাল’ বা ‘নন-পলিটিক্যাল’ পরিচয়ের ভিত্তিতে চারজনের রুমে ৬-৭ জন থাকতে হতো। চতুর্থ বর্ষ বা মাস্টার্সে এসে শিক্ষার্থীরা চারজনের রুমে থাকার সুযোগ পেতেন। এ চিত্র ছাত্রদের হলগুলোর নিয়মিত দৃশ্য ছিল। মেয়েদের হলে অপেক্ষাকৃত আগে সিট পাওয়া গেলেও, তাদেরও প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষে গণরুমে থাকতে হতো।
তবে এ বছর এক ভিন্ন চেহারায় ফিরেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম দিন থেকেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য হলের নির্ধারিত সিট বরাদ্দ করা হয়েছে। সবাই বরাদ্দকৃত সিটে উঠেছেন।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী হল থেকে চলে গেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে অবৈধভাবে সিট দখল করে থাকা নেতাকর্মীরাও হল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে প্রত্যেক বৈধ শিক্ষার্থী তার সিট পেয়েছেন।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে নবীন শিক্ষার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দকৃত সিট বুঝে পেয়েছেন। প্রতিটি হলে তারা একটি বিছানা, টেবিল এবং চেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন। কক্ষ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ সিটে উঠেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন হলে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে নানা আয়োজন করেছে হল প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থীরা। নবীনদের ফুল, কলম এবং মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা তালিকা অনুযায়ী স্বাক্ষর করে তাদের নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রথম দিনেই হলে উঠতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করেন।
উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের হলে প্রথম দিনেই সিট পাবে- এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আবাসিক হল এবং অ্যাকাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করব।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি সিআরসি নেতৃত্ব পেলেন ইমদাদুল-মশিউর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন ‘কাম ফর রোড চাইল্ড (সি আর সি)’ এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমদাদুল হক সভাপতি হিসেবে এবং দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মশিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনা থেকে সি আর সি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাসেল মিয়া।
নবনিযুক্ত কমিটিতে অন্যান্য পদে সহ-সভাপতি হিসেবে মো. মোরছালিন, সাঈদ আকতার, সাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জেরিন আক্তার উর্মি, অর্থ সম্পাদক হিসেবে মো. ফাহিম মাহমুদ, সহকারী অর্থ সম্পাদক হিসেবে মুমতাহিনাহ্ রহমান, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মো. আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুন্নাহার লাকি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মো. বজলুর রহমান, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আঁখি আলমগীর, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে মো. রেজাউল করিম সিকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আঁখি খাতুন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মো. রমজান আলী দায়িত্ব পেয়েছেন।
এছাড়া, মো. সাইফুল ইসলাম স্কুল পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং শিক্ষা ও পাঠ্যচিত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মো. হাছিবুর রহমান এবং স্কুল ও ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সাধনা খাতুন মনোনীত হয়েছেন।
নবনিযুক্ত সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, সি আর সি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য। আমরা সবাই একত্রে পরিবারের মতো কাজ করে এই শিশুদের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বলেন, এই দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করায় আমি সি আর সি পরিবারের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা সকলে একত্রে কাজ করে এই পৃথিবী থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করবো। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সি আর সি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। বর্তমানে সি আর সি পরিচালিত স্কুলে প্রায় ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের জন্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও, সংগঠনটি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রশংসা অর্জন করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গণঅভ্যুত্থানের সৈনিক ছাত্র-জনতার ওপরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সরকারের দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে একত্রিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে; বিচারপতিদের প্রহসন মানিনা মানবো না; দালাল বিচারপতিদের অপসারন করতে হবে; টেরোরিস্ট সংগঠন ও জঙ্গিলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খুনি শেখ হাসিনা আবু সাইদের মতো হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থীদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। শুধু ৩৬ দিনের এই আন্দোলনে নয় বরং ১৬ বছর বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ঘুম, খুন ও নির্যাতন চালিয়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। যে সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে আমাদের ভাই-বোন, মা-বাবার রক্ত জড়িয়ে আছে সেই সংগঠনকে আমরা কখনও মেনে নিতে পারি না।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে বলতে চাই অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত বিচারের আওতায় না আনলে আমাদের আন্দোলন আবারও গণবিপ্লবে রুপান্তরিত হবে। যদি আমাদের কথা আপনারা কর্ণপাত না করেন তাহলে এমন আন্দোলন করা হবে আপনারাও পিছু হটতে বাধ্য হবেন। সুতরাং ছাত্র জনতার প্রাণের দাবি, মনের দাবি এই সন্ত্রাসী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।