পুঁজিবাজার
ন্যাশনাল টি’র চাঁদা গ্রহণের সময় বাড়লো, তদন্তে কমিটি গঠন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চাঁদা উত্তোলনের সময় বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে কোম্পানিটির মূলধন বৃদ্ধির সম্মতিপত্রে উল্লেখিত শর্তসমূহের পরিপালিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করাসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯২৬ তম কমিশন সভা এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের সম্মতিপত্রে উল্লিখিত সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ন্যাশনাল টির আবেদন মোতাবেক মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রদত্ত সম্মতিপত্রের মেয়াদ (শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময়সীমাসহ) ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। একইসঙ্গে, সংগৃহীত চাঁদার ক্ষেত্রে সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির শর্ত পরিপালিত না হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোম্পানিটি উক্ত চাঁদা ব্যবহার করতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ন্যাশনাল টি বিগত ৫ বছরে সরকারি শেয়ারধারণ হ্রাসের কারণ, শেয়ার বিক্রয় বা হস্তান্তরের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানির মূলধন কাঠামোর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময় বৃদ্ধির আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবে শেয়ার ক্রেডিট করার কারণ, বিদ্যমান বর্তমান ঋণের দায় এবং গত তিন বছর ধরে ক্রমাগত লোকসানের কারণ, কোম্পানির শেয়ার দরের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কারণ, মূলধন বৃদ্ধির সম্মতিপত্রে উল্লেখিত শর্তসমূহের পরিপালিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করাসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার জন্য বিএসইসি একটি কমিটি গঠন করেছে।
গত ১৬ অক্টোবর গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৬১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৫০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১১ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রাইম ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৮০ পয়সা বা ২৭.৫৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৪.০৭ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ৫০ পয়সা বা ২১.৭৪ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ২০.১৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের ১৮.১৮ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১৬.৬৭ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১৫.৪২ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১৪.৪১ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ১৪.২৯ শতাংশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটে ইসলামী ব্যাংকের ১৪.২৯ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে এনভয় টেক্সটাইল

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এনভয় টেক্সটাইলের। সপ্তাহের ব্যবধানে এনভয় টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৮.৬৮ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্যামপুর সুগার। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা বা ২০.৮৩ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৫.৬৩ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে ইউসিবি ব্যাংক।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টেকনো ড্রাগসের ১৪.৬৫ শতাংশ, ক্রাউন সিমেন্টের ১৪.১০ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৩.৬০ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ১২.১৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১০.৯৯ শতাংশ, সাপোর্টের ১০.৫৯ শতাংশ এবং মেট্রো স্পিনিংয়ের ১০.০৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে খান ব্রাদার্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৫০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার এলিয়েন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯১ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে রবি আজিয়াটা। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা, টেকনো ড্রাগসের ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, সোনালী পেপারের ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রীমে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা,সী পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং আইএসএনের ১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, লেনদেনের সঙ্গে কমেছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা বা ০.০২ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৩.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৩.৯৪ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৮.১১ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৩৯.০২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম