অর্থনীতি
মেট্রোরেলের সাবেক এমডির সুবিধায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা অপচয়!

নিজের সুবিধার জন্য বাসার কাছেই নেন অফিস ভাড়া। বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব ছিল ৭০০ মিটার। শুধু অফিস ভাড়া বাবদই মাসে খরচ হতো কয়েক লাখ টাকা। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে একচ্ছত্র ক্ষমতায় পরিচালনা করা সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে রয়েছে এমন অভিযোগ। উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশাল জায়গায় মেট্রোরেলের নিজস্ব ভবন থাকলেও এতদিন ভাড়া কার্যালয়ে অফিস করেছেন ছিদ্দিক। এজন্য মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে গচ্চা দিতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
ডিএমটিসিএল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের সুবিধার জন্য এতদিন অফিস স্থান্তরিত করা হয়নি। তাই এই অর্থ ভাড়া হিসেবে দেয়া লেগেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের।
উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত এমআরটি লাইন-৬ এর ডিপো। সেখানে অবস্থিত ডিএমটিসিএল ভবন। ওই ভবনটি নির্মাণে চুক্তি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর। নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়েছে কাজ। এরপর ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি) ছিল দেড় বছর। ২০২১ সালে ভবনের কাজ শেষ হওয়ার পরই ডিএমটিসিএলে অফিস করেছেন মেট্রোরেলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে ডিএমটিসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইস্কাটন রোডের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ভাড়া অফিসেই এতদিন কার্যক্রম চালিয়েছেন। এমআরটি লাইন-১, লাইন-৬ ও লাইন-৫ এর রুটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে অফিস করেছেন। চলতি মাস থেকে এ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের কারণে এতদিন নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হতে পারেনি ডিএমটিসিএল এর অফিস। প্রবাসী কল্যাণের ভবন থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে রাজধানীর বেইলী রোডের সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার গুলফিশানে থাকতেন ছিদ্দিক। সেখান থেকে প্রবাসী কল্যাণ ভবন কাছাকাছি হওয়ায় এতদিন ভবনটি ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালিয়েছেন। যদিও দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল এর নিজস্ব অফিসটি দৃষ্টিনন্দন। এতদিন সেখানে অফিস না করা নিয়ে উষ্মাও রয়েছে কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে।
গতকাল মঙ্গলবার বেইলী রোডের গুলফিশানে গিয়ে খোঁজ নিলে জানা যায়, ডিএমটিসিএল’র সাবেক এমডি সেখানে আর নেই। ডিএমটিসিএল থেকে তার নিয়োগের চুক্তি বাতিল হওয়ার পর গুলফিশান থেকে চলে গেছেন ছিদ্দিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ভবন ভাড়া নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ। এমআরটি লাইন-১ এর জন্য ১১ হাজার ৮৯০ স্কয়ারফিট জায়গায় ভাড়া নিয়েছিলো প্রবাসী কল্যাণ ভবনে। তবে দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল এর নিজস্ব ভবন নির্মাণ হওয়ার পর অর্থাৎ ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা করে। আর ওই বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া এমআরটি লাইন-১ এর আরও একটি ফ্লোর ভাড়া নেয়া হয় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। ৫ হাজার ৪৪৪ স্কয়ার ফিটের প্রতি স্কয়ার ফিটের মাসিক মূল্য ছিল ৫৫ টাকা। অর্থাৎ তখন থেকে চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিয়েছে ৪১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মেট্রোরেল সাউদার্ন রুটের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৮৫৭ স্কয়ার ফিট। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এজন্য ভাড়া দিতে হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা করে। আর তারপর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া দিয়েছে ৬০ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া মেট্রোরেল লাইন-৬ এর জন্য ১৩ হাজার ৭৮৫ স্কয়ার ফুটের অফিস ভাড়া নিয়েছিল ডিএমটিসিএল। ২০২১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এজন্য ভাড়া দিতে হয়েছে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মাসে প্রতি স্কয়ার ফিট ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা। এরপর থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬০ টাকা ৫০ পয়সা। এপ্রিল থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। সব মিলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রবাসী কল্যাণে অফিস ভাড়া নেয়ার জন্য ডিএমটিসিএলকে দিতে হয়েছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা প্রায়।
ডিএমটিসিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের ভেতরেই দিয়াবাড়ির ভবনের কাজ হয়েছে। তারপর থেকে সেখানে অপারেশন, মেইনটেইনেন্স দলের সবাই অফিস করেছেন। চলতি মাস থেকে প্রবাসী কল্যাণের ভবনে কাজ করা কর্মকর্তারাও এখানে অফিস শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমটিসিএল’র আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক এমডি চাননি দেখে এতদিন দিয়াবাড়িতে অফিস নেয়া যায়নি। তার নিজস্ব সুবিধার কারণে প্রবাসী কল্যাণে আমাদের অফিস করতে হয়েছে। এখানে আমাদের এতদিন শুধু শুধু ভাড়া দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের এমডি বলেছেন, কমলাপুরের কাজ শেষ না হলে দিয়াবাড়ির অফিস আনা যাবে না। তাহলে এখন কীভাবে এনেছে। প্রবাসী কল্যাণে যখন অফিস ছিল সেখান থেকে তো দিয়াবাড়ির কাজ চালানো গেছে। তাহলে এখান থেকে কমলাপুরের কাজ চালাতে তো অসুবিধা নেই। তার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল সেজন্য সেখানে অফিস রাখতে হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন সাবেক এমডি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার বাইরে কথা বলতে পারতেন না কেউই। গণমাধ্যমের সঙ্গেও তার ভয়ে কথা বলতেন না কোনো কর্মকর্তা। এমনকি জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে সাংবাদিকরা কিছু জানতে চাইলেও সাবেক এমডি’র কাছেই জানার জন্য বলতেন। সাবেক এমডি’র ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসন্তোষ ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সিপি-০২ এর কাজ ২০২২ সালে পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছিল। তৎপূর্ব থেকেই ডিএমটিসিএল’র পূর্ণ অপারেশন ও কারিগরি টিম দিয়াবাড়ি কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছে। অতি নগণ্য সংখ্যক অকারিগরি জনবল প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অবস্থিত এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প অফিসের অব্যবহৃত কক্ষ ব্যবহার করেছে। ডিএমটিসিএল কখনো কোনো কক্ষ ভাড়া করেনি।
তিনি আরও বলেন, ডিএমটিসিএল’র নিজস্ব অকারিগরি জনবল কম থাকায় বিভিন্ন লাইনের (লাইন-৬, লাইন-১, লাইন-৫ (উভয় রুট) জনবলকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হয়েছে। তারা সবাই প্রবাসী কল্যাণ ভবনের স্ব স্ব প্রকল্প কার্যালয়ে বসতেন। এখান থেকে জনস্বার্থে স্বল্প ব্যয়ে মতিঝিল-কমলাপুর অংশের এবং বিনা ব্যয়ে অন্যান্য সকল লাইনে কাজের সহজ সমন্বয় করা গেছে। প্রতি মাসে সচিবালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। সর্বোপরি অপারেশন ও কারিগরি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম একইসঙ্গে দিয়াবাড়ি অফিসে গিয়ে নিয়মিত পরিচালনা করা হয়েছে। কাজেই কোনো ভাড়ার অপচয় হয়নি বরং সাশ্রয় হয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ডিএমটিসিএলের চাহিদা অনুযায়ী তাদের অফিস ধরাই ছিল ডিপোতে হবে। সেটা চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পর অস্থায়ীভাবে বসে যে অর্থ খরচ হলো সেটা বেচে যাওয়ার কথা। এজন্যই বিনিয়োগ করা হয়েছে। কেউ যদি বিনিয়োগের সদ্ব্যবহার না করে অপচয় করে তাহলে নিশ্চয়ই এখানে আইন বহির্ভূত কাজ হয়েছে। এই অর্থ অপচয়ে যদি সঙ্গত কোনো কারণ না থাকে তাহলে তদন্ত করে যার দায় তার কাছ থেকে আদায় করতে হবে। কারণ জনগণের টাকায় এটা করা হয়েছে। যারা এটা তদন্ত করবে না তারাও দায়ী থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

দিন দিন ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। ফলে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন, ক্রমান্বয়ে আমাদের মূল্যস্ফীতি নামছে। আমাদের টাকার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা চাই না সাধারণ মানুষের মাঝে চাপটা পড়ুক। আমরা আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টার মধ্যে এটা রেখেছি। তারপরও মূল্যবৃদ্ধি পেলে সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না।
মঙ্গলবার একলাফে সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা এসব বলেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, সরকার দুই হাজার কোটি টাকা শুধু তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়েছে। আমাদের কাছে তথ্যের কোনো গরমিল নেই। ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি, রমজানে ভোক্তা অধিকারকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাজারের শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। সেখানে বহুলাংশে সফল হয়েছি, হয়তো কিছু অংশে ব্যর্থতা রয়েছে।
তিনি বলেন, তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়েছে, সেটা বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের যে নিজস্ব পরিচালন ব্যয় রয়েছে, সেই টাকাটা তো তুলতে হবে। না হলে রাষ্ট্রের দায় তৈরি হবে। সরকারকে লোন করে পরিশোধ করতে হবে। সে টাকা তো আপনাকে-আমাকে দিতে হবে। এখন আমরা কি সেটা করবো, নাকি নিজেদের সামর্থ্যে চলার চেষ্টা করবো। এই কষ্টটা আমাদের করতে হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা এখন দেশে স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তেল না এনে তেলবীজ এনে তেল করার চেষ্টা করছি। যাতে খরচ কম হয়। প্রতিযোগিতা বাড়ে। দেশে বড় বড় দুটি প্রতিষ্ঠান এখন বিনিয়োগে আসছে। টেকসইভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক বিশেষ আদেশে আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মো. মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পামতেল আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
আদেশে বলা হয়, এ অব্যাহতি সুবিধা নেওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য প্রযোজ্য সব শর্তাদি পরিপালন করতে হবে। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৪০ এ উল্লিখিত মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও দাখিলপত্রের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা। এতদিন দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। এই রেকর্ড দাম নির্ধারণ করার একদিন পর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো। এতে অতিতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে সোনা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮৯২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৮৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১২২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৫১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।। আজ বুধবার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট, উপস্থাপন ২ জুন

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা এই বাজেট উপস্থাপন করতে পারেন। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ সভায় আগামী বাজেট বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেন অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আগের বছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকুচিত মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি ব্যয় কমানো এবং বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ করতেই আকার কমানো হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থান করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির পূর্বাভাস হলো- এবার প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে অনেক কম হবে।
এদিকে আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সাধারণত প্রতি অর্থবছরেই বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে রেখে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হতে পারে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য যে ঘাটতি ধরা হচ্ছে, সেই ঘাটতির অর্ধেকেরও বেশি বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকিটা ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রাণালয় সূত্র জানা গেছে, নতুন বাজেটের আকার কমলেও পরিচালন বা অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের ব্যয় ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
অনুন্নয়ন ব্যয় বাড়লেও কমবে উন্নয়ন ব্যয়। নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হতে পারে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো বাতিল করায় আগামী অর্থবছর প্রকল্পের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে নতুন অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় কমবে।
এদিকে রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়া এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান কমে যাওয়ায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে আগামী অর্থবছরের ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বাজেটের আকার কমলেও এনবিআর’র রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর’র মাধ্যমে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অনেক কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়। সার্বিকভাবে এনবিআরের পক্ষ থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে এনবিআর’র কাঁধে রাজস্ব আদায়ের ভার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা

চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনেই এসেছে ১০৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকার বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে, বন্ধ হয়েছে অর্থপাচার। এছাড়া খোলাবাজার এবং ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারে একই রকম দাম পাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর এসব কারণে বৈধপথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে বাড়ছে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ, একইভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে (কৃষি ব্যাংক) এসেছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ কোটি ৩ লাখ ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে ১০ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটিজেন ব্যাংক, আইসিটি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
এর আগে মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার)। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০২৫ সালের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লো মার্চ মাসে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর সবশেষ মার্চে এসেছে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।