পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে লেনদেন কমলেও বেড়েছে মূলধন

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩০১ কোটি ৪০ হাজার টাকা বা ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৯ শতাংশ।আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৬৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১১টি কোম্পানির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম

পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা এস.আলম কোল্ড রোল্ডের শেয়ার দর ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এম.এল ডায়িং, এইচ.আর টেক্সটাইল, শাইনপুকুর সিরামিক, এপেক্স ট্যানারি, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং লাভেলো আইসক্রিম।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ বুধবার (০৪ জুন) কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার।
আর ১০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফাইন ফুড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সি পার্ল বিচ, উত্তরা ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, মালেক স্পিনিং এবং বিএটিবিসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
সর্বনিম্ন লেনদেনের নতুন রেকর্ড করে ছুটিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার

আগামী শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০দিনের ছুটিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। ছুটির দিনগুলোতে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ থাকবে। সেই অনুযায়ী, ঈদের দীর্ঘ ছুটির আগে আজ ছিলো শেষ কর্মদিবস। তবে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বনিম্ন লেনদেনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইতে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এরআগে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিলো।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১০২৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৬২ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৭টি কোম্পানির, বিপরীতে ৫৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম
পুঁজিবাজার
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ব্যর্থ রাশেদ মাকসুদ ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন বিনিয়োগকারীরা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্ন্তবর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশননের (বিএসইসি) অযোগ্য-ব্যর্থ চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সর্বোচ্চ পদে থেকেও বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুই আনতে পারেনি। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। এটি রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা। এখন বাজারের চাহিদা হলো আস্থা। তার সাথে বাজারের চাহিদা হলো রাশেদ মাকসুদ এবং অর্থ উপদেষ্টার অপসারণ। তাদের অপসারণই হবে এই সরকারের ঈদ উপহার।
বুধবার (৬ জুন) রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনটির পক্ষ থেকে রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা তুলে ধরে তার অপসারণের দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন, সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র মো. নুরুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন বলেন, পুঁজিবাজারে টাকা লাগবে না, শুধু পলিসি লাগবে। অবস্থা এমন মনে হচ্ছে যেন রাশেদ মাকসুদের অপসারণ এই সরকারের জন্য পরাজয়। ওনারা পুঁজিবাজারটাকে শেষ করার জন্য গলা চেপে ধরেছে। যেখানে তিন হাজার কোটি টাকা ট্রেড হতো এখন দুইশো কোটি টাকার ট্রেড ভলিয়ম হয়ে গেছে। ড. ইউসূসের উদ্দেশ্যে বলছি, কোন কোন পরাজয় জয়ের চাইতেও গ্লানিকর হবে।
বাজেট বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, আমরা বাজেটে কি পেলাম? আমরা সাধারণ একটা দাবি জানিয়েছিলাম যে, অপ্রদর্শিত আয় শেয়ার বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে। ছোট্ট একটা দাবি। আমরা শর্ত দিয়েছিলাম যে, বৈধ টাকাই যেটাতে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়েছে সেটাকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। সেটাতে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করা হোক। নিদ্বিধায় সে যেন এটা বিনিয়োগ করতে পারে। সেইসাতে একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া যায় যাতে সেই সময়ের মধ্যে শুধু লভ্যাংশ নিতে পারে কিন্তু ক্যাপিট্যাল উত্তোলন করতে পারবে না। আমরা তো চুরি-ডাকাতি, যারা টাকার বস্তা ফেলে গেছে তাদের টাকা আমরা কখনই এসব টাকা চাইনা। পুঁজিবাজারে যেন একটা প্রতিযোগীতা চলছে এটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এটাতো হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টানা ৯ মাস চরম সংকট চলছে পুঁজিবাজারে। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। টানা দরপতন আর কমে যাওয়া লেনদেনে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ কোনও প্রণোদনা না থাকায় বিনিয়োকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিলো বাজেটে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে কার্যকর ও স্পষ্ট উদ্যোগ থাকবে, থাকবে মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই। কিন্তু এসব কিছুই মেলেনি ঘোষিত বাজেটে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে আসতে পারেনি। তিনি এটা হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন- যা হওয়ার হবে এমন অবস্থায়।
এসময় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৯ মাস টানা পতনে রয়েছে বাজার। এটা বিশ্বের কোনো শেয়ারবাজারে দেখা যায় না। রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব সেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার পতনের বৃত্তে আটকে গেছে। তিনি যে ফ্যাসিস্টের দোসর তার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ ছাড়া মার্কেট ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবণা নেই। তাঁর পদত্যাগেই একমাত্র সমাধান।
এসময় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, পুঁজিবাজারের মূল শক্তি বিনিয়োগকারী। তবে তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রাখা হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করে যদি উপার্জিত আয় থেকে লাভের প্রায় অর্ধেক কর বাবদ দিয়ে দিতে হয় তাহলে পুঁজিবাজারে মানুষ কেনো বিনিয়োগ করবে। অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই দরকার ছিলো। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে তিনটি উদ্যোগ বাজেটে রাখা হয়েছে সেগুলো একটিও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য না। এমনকি
এসএম
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের নাম সংশোধনে সম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রস্তাবিত নাম সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির নাম ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি’ হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে কোম্পানিটি নতুন নামে পুঁজিবাজারে লেনদেন করবে।
নাম সংশোধন ছাড়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
এসএম