Connect with us

অর্থনীতি

স্ত্রীসহ ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডির ব্যাংক হিসাব স্থগিত

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাজনিন আকতারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ইউনিয়ন ব্যাংকের অনেক গ্রাহক হিসাব থেকে টাকা তুলতে না পারলেও মোক্কামেল হক বেতনের পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন।

তথ্যানুসারে, ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ২ ও ৩ অক্টোবর ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি ২ লাখ টাকা ও ৫ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর হিসাবে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। একই দিন মাসের বেতনের ১০ লাখ ৮ হাজার ২৪২ টাকা জমা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই হিসাবে জমা হয় ৪২ লাখ টাকা। এরপর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা, ২ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকা এবং ৩ অক্টোবর ৫০ লাখ ও ৫৩ লাখ টাকা তোলেন।

ইউনিয়ন ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের কেওয়াইসি, হিসাব খোলার ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণী এবং পাঁচ লাখ টাকা ও তার ওপরে যেকোনো অঙ্কের টাকার লেনদেন ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বন্যায় ফসলে বড় ঘাটতি, বাড়তে পারে সংকট

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

দেশের খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চলগুলোর একটি ময়মনসিংহ। বাংলাদেশের মোট খাদ্য চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ এখান থেকেই পূরণ করা হয়। ময়মনসিংহের পাশাপাশি জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা—এ চার জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ টন। বিপরীতে এ অঞ্চলে চাহিদা ছিল মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ টন। বাকি প্রায় ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যে পূরণ করা হয় রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোর চাহিদা। তবে সাম্প্রতিক বন্যায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও। দেশের পূর্বাঞ্চলে তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায়ও আমনসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলায় সাম্প্রতিক এ বন্যার কারণে ফসল উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলে তা সার্বিক খাদ্যনিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা কৃষি বিশেষজ্ঞদের।

দেশে উৎপাদিত মোট চালের কম-বেশি ৪০ শতাংশ চালই আসে আমন থেকে। বোরো মৌসুম থেকে সবচেয়ে বেশি, ৫৫ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয়। বাকিটুকু আসে আউশ থেকে। এবার বন্যার কারণে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমিতে পানি উঠে যাওয়ায় ধানের শীষ বের হচ্ছে দেরি করে। এতে ধান উৎপাদনে সময় লাগছে বেশি। এর প্রভাবে বোরো ধান রোপণের সময়ও পিছিয়ে যেতে পারে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে কৃষকের ঘরে থাকা বোরো ধানের বীজও। উদ্বৃত্ত এসব অঞ্চলের এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে উদ্যোগ না নিলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শেরপুর জেলা। এ বছর সীমান্ত জেলাটির ৯৫ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৭ হাজার ১৫৫ হেক্টরই উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলায় এ বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ২৪ হাজার ৬৬৭ হেক্টর আমন খেত ও ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার সীমান্ত ও নিম্নাঞ্চল কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, পূর্বধলা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও মদন। অথচ এ অঞ্চল পুরোপুরিভাবেই কৃষিনির্ভর। এছাড়া ময়মনসিংহের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৫৬০ হেক্টর রোপা আমনের জমি নষ্ট হয়েছে ধোবাউড়া উপজেলায়। ১০ হাজার ৩১০ হেক্টর আমনের জমি নষ্ট হয়েছে হালুয়াঘাটে। ফুলপুর উপজেলায় নষ্ট হয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমির আমন ধান।

একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণের জেলা নোয়াখালীতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলাটিতে লক্ষ্যমাত্রার ৩৫ শতাংশ আমন ধানের উৎপাদন কমবে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চালের বাজারে। দুর্যোগ-পূর্ববর্তী সময়ে কৃষি বিভাগ নোয়াখালীতে রোপা আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমির। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩ টন। আর এখান থেকে চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৫ টন।

দুর্যোগ-পরবর্তী কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, মাঠে রোপা আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২৭ হেক্টর। দুর্যোগ-পরবর্তী আবাদ অনুযায়ী ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ৭ হাজার ২৮০ টন। ওই হিসাবে নোয়াখালীতে এ বছর চাল উৎপাদন হতে পারে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৬ টন। তবে যেসব এলাকায় দেরিতে আবাদ হয়েছে এবং যেখানে ধানের চারার অবস্থা তুলনামূলক খারাপ সেসব এলাকায় আবাদ আরো কম হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, ‘ধান উৎপাদন যেহেতু কম হবে, সেক্ষেত্রে চাল উৎপাদনও কমবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে যেসব এলাকায় আমন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকায় আগাম বোরো উৎপাদন করবেন কৃষক। এতে আমনের ক্ষতি বোরোতে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। সেজন্য এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষীদের মাঝে আগাম বোরো বীজ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।’

দেশের বর্তমান বন্যাপরবর্তী খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে, উদ্বৃত্ত জেলাগুলোর ফসল উৎপাদনে ঘাটতি মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিয়মিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন বা ৩০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। খাদ্য ব্যয় সংকোচনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ২৯ শতাংশ মানুষ। আর সার্বিক জীবন-জীবিকায় ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ৭১ শতাংশ।

খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ধারাবাহিকতায় দেশে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলো কম খাবার গ্রহণের ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। পুষ্টিহীনতা বেড়ে যায়। এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কমে যায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। ফলে নানাবিধ রোগ-ব্যাধির প্রকোপও বাড়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, বন্যায় কত জমিতে কত ফসলহানি হলো, কী কী ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। কৃষি পরিসংখ্যানকে কীভাবে লাইভ ডাটায় রূপান্তরিত করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আছে, তারা যে পরিসংখ্যান দেয় তা সঠিক নয়। সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে আমরা নির্ভুল তথ্য জানতে পারতাম। তখন সঠিক নীতিসহায়তা দেয়া সম্ভব হতো। আমাদের খাদ্যনিরাপত্তায় সম্ভাব্য ঘাটতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া যেত। কিন্তু সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না সঠিক তথ্যের অভাবে।’

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১০ জেলার কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কৃষিটা এখন এক সিজনের পর আরেক সিজনে চলছে। ফলে এখানকার মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য খারাপ হলে যত জীব আছে সবার স্বাস্থ্য খারাপ হবে। বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোও ভালোভাবে কাজ করছে না। ভূমি যে হারে কমছে তারও সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। জোর করে পরিসংখ্যানকে কমিয়ে রাখা হয়েছে। এসব করে আমাদের ক্ষতি করা হয়েছে। বাজারে যখন ঘাটতি পড়ে যাবে, তখন আর কিছু করার থাকবে না।’

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, শেরপুর, নওগাঁ, বগুড়া, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ভোলা। এসব জেলায় ৮০ থেকে ১৮৩ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নীলফামারী, রংপুর, মাগুরা, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলায় ৫১ থেকে ৭৭ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। গাইবান্ধা, নাটোর, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২২ থেকে ৪৮ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলায় ১ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। অর্থাৎ এ জেলাগুলোয় খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই।

চালের ঘাটতিতে থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি। এ জেলাগুলোয় ৪৬ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত চালের ঘাটতি রয়েছে। আর মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে রয়েছে ১৯-৪০ শতাংশ চালের ঘাটতি।

জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘বন্যার কারণে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আমরা একটা প্রাক্কলন করেছি। বন্যার কারণে আমনে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে আউশের মাধ্যমে তা পূরণের চেষ্টা করছি। আমাদের কৃষকদের আউশের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি, জনসচেতনতাও তৈরি করছি। এর পরও আমাদের ফসলে ৮-৯ লাখ টন ঘাটতি থাকবে। এ ঘাটতি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। বন্যার সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে আমরা সচেতন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করছি।’

বন্যায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ককর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান একেএম মকসুদুর আরেফীন স্বাক্ষরিত গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) দেয়া এক চিঠিতে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কবলে চালের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার ফলে আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশে চাল সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি বর্তমানে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে স্থানীয় উৎপাদক চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না উল্লেখ করে ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৯ কোটি টন, যার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দেশে বর্তমানে গত এক মাসে সরু, মাঝারি ও মোটা চালের দাম যথাক্রমে শূন্য শতাংশ, ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে তিন ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৭ শতাংশ।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

চালের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

আমদানি শুল্ক কমানোর পরও চাল আমদানিতে সাড়া মিলছে না। এ জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক–কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

বিটিটিসি আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ সুপারিশ করেছে। বিটিটিসি বলেছে, সম্প্রতি বন্যায় চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল করার স্বার্থে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে চাল আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক–কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান আজ গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার কারণে সাত–আট লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়েছে। চালের বাজার ঠিক রাখতে শুল্ক প্রত্যাহার করা এখন জরুরি।

চালে আমদানি শুল্ক (সিডি), নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি), অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও আগাম কর (এটি) মিলে ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক-কর। এনবিআর ২০ অক্টোবর এআইটি ছাড়া চাল আমদানিতে তিন ধরনের শুল্ক কমিয়েছে। সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ ও আরডি ২০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। এ ছাড়া আগাম কর ৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।

শুল্ক–কর কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর বলেছিল, এতে বাজারে শুধু চালের সরবরাহ বাড়বে না; বরং আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে। আমদানি যেহেতু এখনো হয়নি, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েনি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার বাজারে সরু অর্থাৎ নাজিরশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এ ছাড়া মাঝারি, অর্থাৎ পাইজাম চাল ৫৮ থেকে ৬৩ এবং মোটা, অর্থাৎ স্বর্ণা বা চায়না ইরি চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

বিটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্ক কমানোর পর ভিয়েতনাম থেকে ২৬ টন চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে ২৭ অক্টোবর। এলসি খোলার এমন কম প্রবণতা চালের বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে আজ ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫৭ টন চাল আমদানি হয়েছে। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৩৪ দশমিক ১৮ টন চাল আমদানি হয়েছিল। তার আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ টন চাল। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৪৮ টন। এনবিআর থেকে নেওয়া এসব তথ্য বিটিটিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে খাদ্য অধিদপ্তর গতকাল সোমবার চালের মজুত, নিরাপত্তা মজুত, সম্ভাব্য ঘাটতি—এসব চিত্র জানিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১০ লাখ টন চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। অর্থবছরের বাকি সময়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা কঠিন হতে পারে। তাই উন্মুক্ত দরপত্রের পাশাপাশি সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বন্যায় আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানিতে উৎসাহিত করতে হবে মনে করছে খাদ্য অধিদপ্তর।

খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্যার কারণে এবার চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। চালের মজুত বৃদ্ধির বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার জন্য তাই খাদ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা চিঠি দিয়েছি।’

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের হাতে ১০ লাখ টন চালের মজুত ছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টন এবং জুন পর্যন্ত বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ টন। সেই হিসাবে ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত সম্ভাব্য মজুত দাঁড়াবে ২১ লাখ টন।

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ বছরের কর অব্যাহতির

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য শতভাগ কর অব্যাহতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগকারীরা এই সুবিধা পাবেন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে সেগুলো সম্পূর্ণ কর অব্যাহতিসহ ১০ বছর পর্যন্ত নানা মাত্রায় কর ছাড় পাবেন। নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগকারীরা এই সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছরে ১০০ শতাংশ কর অব্যাহতি, পরের ৩ বছর ৫০ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি ও শেষের ২ বছর ২৫ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।

বিগত ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে ২০২৩ সালের ২৬ জুন এই খাতে পূর্ণ কর মওকুফ প্রত্যাহার করে ১০ বছরের জন্য ধাপে ধাপে কর প্যাকেজ প্রবর্তন করেছিল।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে পাঠানো একটি চিঠিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান এই বিষয়টি তুলে ধরার পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ আসে।

অর্থ উপদেষ্টাকে পাঠানো ৮ অক্টোবরের চিঠিতে জ্বালানি উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ যদি বিনিয়োগকারীদেরকে পরিবেশবান্ধব শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহিত করে তাহলে বিদ্যুতের মূল্য কমে যাবে। আগে যেমন শর্তযুক্ত আর্থিক প্রণোদনা এবং ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল তা চালু রাখা এবং পুনর্বহাল করা উচিত।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

শীতের ৩ মাসে সীমান্তে বাড়ে স্বর্ণ চোরাচালান

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা অন্তত ১ হাজার টন। বিশেষ করে বিয়েসহ নানা উৎসবের মৌসুম হওয়ায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা অন্তত ১ হাজার টন। বিশেষ করে বিয়েসহ নানা উৎসবের মৌসুম হওয়ায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু উচ্চ মাত্রায় শুল্ক আরোপিত থাকায় এ চাহিদা পূরণের জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের বৈধপথে স্বর্ণ আমদানিতে খরচ পড়ে অনেক বেশি। এ কারণে বিশ্বব্যাপী পাচারকৃত স্বর্ণের বৃহত্তম গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত, যার বেশির ভাগই প্রবেশ করে বছরের শেষ তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তথা শীতকালে। দেশটিতে পাচারকৃত এ স্বর্ণ সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে।

ভারতীয় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পরিচালিত এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পাচার হয় শীতের তিন মাস অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে। মূল্যবান ধাতুটির আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতে স্বর্ণ পাচারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুভিত্তিক সেন্ট জোসেফস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এবং পন্ডিচেরি ইউনিভার্সিটির তিন গবেষক।

‘গোল্ড স্মাগলিং ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস ইফেক্ট অন দ্য বুলিয়ন ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গত মার্চে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা এ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করছেন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।

তাদের ভাষ্যমতে, শীতকালে কুয়াশা বেশি থাকার কারণেও চোরাকারবারিরা এর সুবিধা নিতে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। আবার এ কুয়াশার কারণেই শীতে পাচারের সময় স্বর্ণ জব্দের পরিমাণও কমে যায়। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২৩ পর্যন্ত চার বছরে সীমান্ত এলাকায় পাচারের সময় মোট প্রায় ৫৯৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছেন বাহিনীটির সদস্যরা। এর প্রায় ৪৪ শতাংশই আটক হয়েছে গত বছর। ২০২৩ সালে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে ২৬০ কেজি ৫৬৭ গ্রাম স্বর্ণ। এর মধ্যে অক্টোবরে ১৪ কেজি ৭৯৪ গ্রাম, নভেম্বরে ২৭ কেজি ৪০০ ও ডিসেম্বরে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত শীতের সময় সীমান্ত এলাকায় কুয়াশার প্রকোপ থাকে বেশি। এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে স্বর্ণ পাচারে যুক্ত অপরাধীরা। স্বর্ণ পাচার বন্ধে শীতের আগেই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আগামীতেও সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার রোধে শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে বিজিবি।’

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ভারসাম্যে স্বর্ণ পাচারের ব্যাপক প্রভাব পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, ব্যাংকার ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, স্বর্ণ পাচার বাড়লে ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধানও বেড়ে যায়। দেশের কার্ব মার্কেটের একটি অংশ সবসময়ই ভারতনির্ভর। প্রতিবেশী দেশটি থেকে অবৈধ পথে আসা ডলার লেনদেন হয় মূলত কার্ব মার্কেটে। সাম্প্রতিক সময়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভারতে স্বর্ণ পাচার ও সেখান থেকে মুদ্রাটির সরবরাহের যোগসূত্র রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের কার্ব মার্কেটে ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে আসে। আগস্টের শেষের দিকে ব্যাংক খাতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ছিল ১২০ টাকা। একই সময়ে খুচরা বাজারে প্রতি ডলার ১২১-১২২ টাকায় ওঠানামা করছিল। আবার চলতি মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে ডলারের বিনিময় হারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা যায়। গতকালও রাজধানীর মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে। এর আগে গত দুই সপ্তাহে এ দর ১২৬ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

এ বিষয়ে রাজধানীর মতিঝিলভিত্তিক এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে এ ডলার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে মুদ্রাটির বিনিময় হারের ভারসাম্যে বরাবরই স্বর্ণ পাচারের বড় প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।’

দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে রেমিট্যান্স হিসেবে ডলারের সরবরাহেও বড় প্রভাব ফেলছে স্বর্ণ পাচার। দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে আসা ডলারের বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ভারতে পাচারকৃত স্বর্ণেরও অন্যতম প্রধান উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের অর্জিত আয়ের পরিবর্তে বড় একটি অংশ এখন ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের বার হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দেশের বিমানবন্দরগুলোয় এগুলোর বৈধকরণও হচ্ছে। শুল্কহার দ্বিগুণ করেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্সের পরিবর্তে স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করা যায়নি। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার বৈধ করা হয়েছে। তবে বৈধ পথে যত স্বর্ণ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, অবৈধ পথে তার কয়েক গুণ প্রবেশ করছে বলে মনে করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-সংশ্লিষ্টরা।

যশোরসহ খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো এখন ভারতে বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ পাচারের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শুধু যশোরেই গত চার বছরে পাচারের সময় স্বর্ণ জব্দ হয়েছে ২৫০ কেজি।

স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, বর্ষা মৌসুমে যশোরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় পানি জমে থাকে। এটিও এখানকার চোরাকারবারিদের স্বর্ণ পাচারের জন্য শুষ্ক মৌসুমকে বেছে নেয়ার বড় কারণ।

সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু ব্যবসার নামে খাটাল (গোয়াল) তৈরি করা হয়। মূলত এর আড়ালেই বাহকের মাধ্যমে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা হয়। এর বিনিময়ে ভারত থেকে সমপরিমাণ ডলার বা অন্য মুদ্রা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়। এখান দিয়ে যে পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয় বিজিবি বা কাস্টমসের হাতে তার ভগ্নাংশ ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। যশোর সীমান্তে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। এ কারণে চোরাকারবারি স্বর্ণ পাচারের জন্য শুষ্ক মৌসুমকে বেছে নেয়।’

বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচার বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে দেশটিতে পণ্যটি আমদানিতে উচ্চ মাত্রায় শুল্ক আরোপকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে দেশটিতে স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই এখন চোরাচালানের মাধ্যমে আনা পণ্য সংগ্রহের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে বৈশ্বিক স্বর্ণ আমদানি ও স্বর্ণ গহনা রফতানি—দুদিক থেকেই ভারতের অবস্থান শীর্ষে। দেশটিতে এখন প্রতিনিয়তই সম্প্রসারণ হচ্ছে স্বর্ণের কালোবাজার। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) জানিয়েছে, এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী গৃহস্থালি পর্যায়ে স্বর্ণের সবচেয়ে বড় মজুদ রয়েছে ভারতে। দেশটির পরিবারগুলোর কাছে জমা স্বর্ণের পরিমাণ কমপক্ষে ২৫ হাজার টন। বিয়ে, ধর্মীয় উৎসব ও পারিবারিক নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে।

ক্রমবর্ধমান এ চাহিদার কারণে ভারত এখন বৈশ্বিক স্বর্ণ চোরাচালানের সবচেয়ে বড় গন্তব্য দেশ হয়ে উঠেছে। দেশটির ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, চাহিদা অনেক বেশি হলেও ভারতে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি করতে হলে বড় অংকের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে দেশটিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন পণ্যটি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। আর দেশটিতে চোরাচালানকৃত স্বর্ণের সবচেয়ে বড় উৎস এখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ভারতে এখন পর্যন্ত আটক করা পাচারকৃত স্বর্ণের ৭৩ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে। দেশটিতে চীন থেকে আসা স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে মিয়ানমার হয়ে। আর মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকাসহ অন্যান্য উৎস থেকে পাচার হওয়া স্বর্ণের সবচেয়ে বড় করিডোর এখন বাংলাদেশ।

যশোরের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের সীমান্ত দিয়েও প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ চোরাচালান হয় ভারতে। এ স্বর্ণ চোরাচালানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এখানে খুনখারাবির ঘটনাও ঘটেছে অনেক। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এখানকার জনপ্রতিনিধিও। সর্বশেষ গত মে মাসে কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ ও ভারতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। সে সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানে আধিপত্য বিস্তারের যোগসূত্র রয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে স্বর্ণ পাচারের আরেক বড় রুট এখন চুয়াডাঙ্গা দিয়েও প্রচুর স্বর্ণ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর কাজী আসিফ ইকবাল বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। চোরাচালান রোধে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সমিতির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ পরিসংখ্যান আমরা বিগত সরকারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এটি গ্রহণ করেনি। কেন করেনি সেটা এখন বুঝতে পারছি। বিগত সরকারের মধ্যে যারা এ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারাই এর পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বিগত সরকার স্বর্ণ আমদানির যে নীতিমালা দিয়েছে সেখানে জটিলতা রয়েছে। বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি লাগেজের মাধ্যমেও স্বর্ণ আনার সুযোগ করে দেয়া হলো। এ দ্বৈত নীতি নেয়া হয়েছিল মূলত স্বর্ণ পাচারকে উৎসাহিত করার জন্য। এ ব্যাগেজ নীতিমালার মধ্য দিয়ে গত বছর ৫৪ টন স্বর্ণ দেশে এসেছে। পরে এর ৮০ শতাংশই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের যে দাম তার সঙ্গে আমাদের দেশের দামের সমন্বয় থাকছে না।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯১ শতাংশ

Published

on

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকের ত্রৈমাসিক মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএস জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিবিএস।

বিবিএস আরও জানায়, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থিরমূল্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, শিল্প খাতের ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শেয়ারবাজারের সর্বশেষ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার1 min ago

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার23 mins ago

ঢাকা ব্যাংকের আয় কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার10 hours ago

মোস্তফা মেটালের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এসএমই প্লাটফর্মের কোম্পানি মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে জন্য লভ্যাংশ...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার10 hours ago

এনসিসি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন এনসিসি ব্যাংক পিএলসির নতুন চেয়ারম্যান হলেন মো. নূরুন নেওয়াজ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) পরিচালনা পর্ষদের এক...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি) গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত জানালো মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে লুব-রেফ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

ওয়াটা কেমিক্যালসের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা...

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
অন্যান্য12 hours ago

মিডল্যান্ড ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয়...

Advertisement
Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার1 min ago

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
অর্থনীতি6 mins ago

বন্যায় ফসলে বড় ঘাটতি, বাড়তে পারে সংকট

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার23 mins ago

ঢাকা ব্যাংকের আয় কমেছে

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
রাজধানী31 mins ago

রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বুধবার

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
জাতীয়48 mins ago

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার10 hours ago

মোস্তফা মেটালের লভ্যাংশ ঘোষণা

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
সারাদেশ10 hours ago

তিন ‘ভুয়া’ সমন্বয়ক আটক

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
অর্থনীতি10 hours ago

চালের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার10 hours ago

এনসিসি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
স্বাস্থ্য10 hours ago

ডেঙ্গুতে বছরের সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যু ৬

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার11 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত জানালো মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
গণমাধ্যম12 hours ago

২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে লুব-রেফ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

ওয়াটা কেমিক্যালসের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
অন্যান্য12 hours ago

মিডল্যান্ড ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

সিটি ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার12 hours ago

ইউসিবির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩২ শতাংশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার13 hours ago

ওয়ালটনের ৩৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
কর্পোরেট সংবাদ13 hours ago

ইউনিয়ন ব্যাংকে শিষ্টাচার বিষয়ক কর্মশালা

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার13 hours ago

ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার13 hours ago

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার13 hours ago

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজার14 hours ago

বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দিতে সরকারের সঙ্গে বসবে বিএসইসি

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১