জাতীয়
সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা
২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থ্যাৎ গত ১৪ বছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডির টিআইবির নিজ কার্যালয়ে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণার ফল উপস্থাপনের সময় এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষণায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আওতাভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো গুরুত্ব দিয়ে এক হাজার কোটি টাকার নিচের প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ। এর মধ্যে নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্তি ও ঠিকাদারের বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতির হার ১১-১৪ শতাংশ ও নির্মাণ কাজে রাজনীতিবিদ, ঠিকাদার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে দুর্নীতির হার ১০-২০ শতাংশ; দরপত্র লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ বিক্রয়, সমঝোতা, স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক চাঁদাবাজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুর্নীতির হার ২-৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে একদিকে অতি উচ্চ ব্যয়ে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, অন্যদিকে নির্মিত সড়ক ও সেতুর মান খারাপ হচ্ছে ও টেকসই হচ্ছে না, যা প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জনকে ব্যাহত করছে এবং জাতীয় সম্পদের বিপুল পরিমান অপব্যবহার ও অপচয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক খাতে রাজনীতিবিদ, সংশ্লিষ্ট আমলা ও ঠিকাদারের ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রমের নীতি নির্ধারণ, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে করায়ত্ত করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে আইনের লঙ্ঘন ও অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সুশাসনের সব সূচকে ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। ত্রিপক্ষীয় যোগসাজশের মাধ্যমে সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে এবং কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অবাধ সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প অনুমোদন সভায় দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তাব উত্থাপন এবং গোপনে প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে সওজ’র কোনো কোনো কর্মকর্তা পরিকল্পনা কমিশনের কিছু কর্মচারীদের ২-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেয়। প্রকল্প প্রণয়নের সময় অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে অতিরিক্ত প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলন; এক্ষেত্রে কখনো কখনো প্রাক্কলিত বাজেটের ২৫-৩০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বেসরকারি এয়ারলাইন্সে ডিউটি, বিমানের ক্যাপ্টেন সাজিদকে নোটিশ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন সাজিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আরেকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, শফিকুর রহমান বিমানের একজন স্থায়ী পাইলট হওয়া সত্বেও বেসরকারি একটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট দুবাই থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে বিমান অবহিত নয়। এতে বলা হয়েছে, আপনি পদত্যাগপত্র গত ২৪ অক্টোবর জমা দিয়ে ওইদিন তা কার্যকরের জন্য বলেছেন, যা বিমান বাংলাদেশ করপোরেশন এমপ্লয়িজ রেগুলেশন ১৯৭৯ অনুযায়ী এতে বৈপরীত্য রয়েছে।
তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি ওই বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উিউটি করেছেন। এই ধরনের অসদাচারণ বিমান বাংলাদেশ করপোরেশন এমপ্লয়িজ রেগুলেশন ১৯৭৯’র ৫৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে রেগুলেশন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বছরের মার্চে ক্যাপ্টেন সাজিদকে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের কারণে বিমানের চিফ ট্রেনিংয়ের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।ক্যাপ্টেন সাজিদের স্ত্রী সাদিয়া জাল সনদে ১০ বছর বিমানে উড়োজাহাজ চালিয়ে পরবর্তীতে চাকরিচ্যুত হন। বৈমানিক হতে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে পড়তে হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিয়মানুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতসহ এইচএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হয়।
বিজ্ঞানে না পড়েও জাল সনদ জমা দিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমানের বৈমানিক হিসেবে নির্বাচিত হন এয়ারলাইন্সটির সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী সাদিয়া আহমেদ। ২০০১ সালে তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাসের সনদ জমা দেন।
সাদিয়া প্রথমে জিএমজি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরবর্তীতে দিয়ে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি নেন। এসব জায়গায় প্রায় ১০ বছর চাকরি করেছেন। বিমানে যোগদানের আগে জাল সনদের ম্যাধমে বৈমানিক হওয়া সাদিয়া আকাশে উড়েছেন। পরবর্তীতে এসব এয়ারলাইন্স থেকে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছাগলের খামারে মাটি খনন করে অবৈধ সিগারেটের সরঞ্জাম জব্দ
কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলার ফার্ম চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের অভিযান পরিচালনাকারী একটি দল।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সদর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে নিবারক দল কর্তৃক ‘চোরাচালান’ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপজেলার ফার্ম চেয়ারম্যান পাড়া এলাকাস্থ বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো লিমিটেডের মালিকানাধীন গুদাম ও ছাগলের খামারে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ সিগারেটের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, অভিযানে ছাগলের খামারে মাটি খনন করে ফয়েল পেপারে মোড়ানো অবস্থায় ব্যবহৃত সিগারেট স্ট্যাম্প এবং ব্যবহৃত সিগারেট ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালনাকারী দল কর্তৃক বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো লিমিটেড চকোরিয়া, কক্সবাজারের ভ্যাট ম্যানাজার মো. কামরুজ্জামান স্বপনের উপস্থিতিতে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার পিস ব্যবহৃত সিগারেট স্ট্যাম্প এবং ২ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট নকল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়। বর্ণিত ব্যান্ডরোলসমূহ ব্যবহার করলে প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি হতো। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে ও সরকারি রাজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বদা অগ্রগামী ও গতিশীল। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য নিবারণী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সকল ধরনের অবৈধ/জাল পণ্য ও সিগারেট বাজারে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের প্রাণহানি
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক হাজার ২৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৯৭ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৫৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৭৬ জন। মারা গেছেন ২৯৭ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোহিঙ্গাদের উত্তর আমেরিকায় পুনর্বাসনে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসনের কাজ ত্বরান্বিত করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁওয় কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা লাফেভকে একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে তার সেবার প্রশংসা করেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় তার স্মৃতি বর্ণনা করার সময় হেলেন লাফেভ বলেন, আমি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে খুব গর্বিত।
চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসনের কাজ ত্বরান্বিত করছে।
তাদের আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরশাসনের সময় বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে বিবৃতিতে জানান।
লাফেভ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে। চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা সম্ভব ছিল।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচার অনুসন্ধানে সিআইডি
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের বিষয় অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকর্পোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি ফ্ল্যাট কেনেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসা করার জন্য দুবাইয়ে র্যাপিড র্যাপ্টর এফজিই এবং জেবা ট্রেডিং এফজিই নামে ২টি প্রতিষ্ঠান খোলেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়া তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় কিউ গার্ডেন্স ও বুটিক রেসিডেন্সে ২টি ফ্ল্যাট কেনেন, যার দাম ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহাম। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিজের ও স্ত্রী রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান খোলেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত যে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সেই তালিকায় সাইফুজ্জা
পুলিশ সুপার আজাদ রহমান আরও বলেন, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সম্পদ বিবরণী জমা দেন, সেখানে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্য নেই। অর্থপাচার, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে একটি সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।