খেলাধুলা
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। নতুনদের সুযোগ দিতে এখনই সরে যাওয়ার সেরা সময় বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটকে অবসর বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ শেষে আমি টি-২০ থেকে অবসর নেব। এই সফরে আসার আগেই আমি এটা ঠিক করে রেখেছিলাম। আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এই সংস্করণ থেকে সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দিতে চাই। পরের টি-২০ বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি আমার জন্য এটা কঠিন।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। এর আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ওই সিরিজে কামব্যাক করে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেই অবসরের ঘোষণা দেন। এছাড়া টি-২০ ও ওয়ানডে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কামব্যাক করে ভারতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন।
বাংলাদেশ আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া ওই আসরে খেলতে চান রিয়াদ। এরপর বিদায় বলে দিতে পারেন ওয়ানডে থেকেও। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান করেছেন। ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি-২০ ম্যাচ খেলে ২৩৯৫ রান ও ৪০ উইকেট নিয়েছেন।
রিয়াদ জানিয়েছেন, তার টি-০২ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার এবং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়। ওই জয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিয়াদ ১৮ বলে ৪৩ রান করেছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দেশের মাটিতেই অবসর নিবেন সাকিব!
ভারতে সিরিজ চলাকালেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা। তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে তার দেশে ফেরা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখে দিয়েছে।
দেশে ফিরতে এবং পুনরায় দেশ ছাড়তে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন সাকিব। টাইগার এই অলরাউন্ডারের দেশে ফিরে অবসর নেওয়া ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন ইতিবাচক কথা। আজ সোমবার মিরপুরে মিটিং শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় সাকিবের দেশে ফিরে অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘হ্যাঁ, সাকিবের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, সাকিবের ভালো সম্ভাবনা আছে দেশে এসে অবসর নেওয়ার।’
এরপর সাকিবের নিরাপত্তার ইস্যুতে ফারুক বললেন, ‘লিগ্যালটা তো আমি বলতে পারবো না। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, আমি তো ছোট মানুষ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমার হাতে ক্ষমতা খুব কম। সাকিবের ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকার থেকে আসতে হবে।’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, উপদেষ্টা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেওয়ার। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, স্টেডিয়ামের ভেতর ও ইনডোরে যাবে, মাঠে খেলবে, অনুশীলন করতে যাবে; এই দায়িত্ব নেওয়াটা তো খুব সহজ। এটা আমরা নিতে পারবো।’-যোগ করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবের ঘরের মাঠে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ২১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে দুই টেস্টের প্রথমটি খেলবে বাংলাদেশ। ওই টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান তিনি। তবে সাকিবের দেশে ফেরার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। তিনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে দেশে ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে দল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সাকিব দেশে ফিরলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনিও চান ঘরের মাঠেই বিদায় বলার সুযোগ পান বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে সাকিবের। তিনি দেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি চাই সেই সুযোগ তিনি পান। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা তার যে নিরাপত্তার কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত করব।’
এর আগে আসিফ বলেছিলেন, ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। এছাড়া সাকিবের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি।
কানপুরে টেস্ট খেলতে নামার আগেরদিন অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে সাকিব জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার দেশে ফিরতে কোন বাধা নেই। তবে দেশ থেকে ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তিনি দেশে গিয়ে যখন দরকার তখন ফেরার ব্যাপারে সরকারের থেকে আশ্বাস চান। সাকিবের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। দেশে ফিরতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এমন কথা বলেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিয়ে করলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান
সন্দেহাতীতভাবে আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। সম্ভবত দেশটির সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরও হয়ে উঠেছিলেন রশিদ। কারণ, ২৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনার কবে বিয়ে করবেন, এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ছিল প্রবল আগ্রহ ও কৌতূহল। অবশেষে সেসবের ইতি ঘটল।
বিয়ে করেছেন আফগানিস্তানের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান। তা–ও একা নন; একসঙ্গে বিয়ে করেছেন তাঁর তিন ভাইও। গতকাল দেশটির রাজধানী কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে রশিদ ও তাঁর তিন ভাই আমির খলিল, জাকিউল্লাহ ও রাজা খান শুভ কাজ সারেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রশিদের সতীর্থ মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজলহক ফারুকি, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ আশরাফ, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নসিব খানসহ আরও অনেকে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশতুন রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন রশিদ ও তাঁর তিন ভাই। তবে তাঁদের স্ত্রীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। রশিদের বিয়ে উপলক্ষে হোটেলের ভেতরে ও বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। একটি ভিডিওতে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ছিল ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে রশিদ ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তিনি লিখেছেন, ‘তোমাদের বিয়েতে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের জীবন ভালো ও সমৃদ্ধ হোক।’
কদিন আগেই বিয়ে করেছেন ওমরজাই। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এবার রশিদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বিয়ে করার জন্য জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন রশিদ খানকে অভিনন্দন। আল্লাহর রহমতে তার সুখী জীবন কামনা করছি।’
২০২০ সালে রশিদ নাকি জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে রশিদ দাবি করেন, তিনি এ ধরনের কথা কোথায় বলেছেন, তা জানা নেই।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারকা এই লেগ স্পিনার বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি এটা অনেকবারই শুনেছি, আমি নাকি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিয়ে করব। জানি না কোথায় এটা বলেছি। আমার কাছে এটার কোনো ভয়েস ক্লিপ নেই। তবে এটা সত্যি যে এ নিয়ে সমর্থকদের অনেক বার্তা পাই। আমি একবার মিডিয়ায় বলেছিলাম, আগামী দুই বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তারপর বিয়ের ব্যাপারে ভাবব। মানুষ এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ বছর পর ম্যাচ জিতল বাঘিনীরা
সময়ের হিসেবে ১০ বছর, ম্যাচের হিসেবে ১৬ আর টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি সময় অতিবাহিত করার পর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লম্বা সময় পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আজ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ডের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে।
স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সে বার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাথি রানী ও সোবহানা মোস্তারীর ব্যাটে ৭ উইকেটে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে রিতু মণি, মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার সারা ব্রাইস ছাড়া কেউ-ই স্কটল্যান্ডকে পথ দেখাতে পারেননি। ব্যাটিং করা বাকিদের মধ্যে কেবল দুজন দুই অঙ্কের রান করেন, তবে এদের কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা ব্রাইস ৫২ বলে একটি চারে ইনিংস সেরা ৪৯ রানের ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন।
অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস ও অ্যালিসা লিস্টার ১১ রান করে করেন। স্কটল্যান্ডের আর কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। রিতু মণি ৪ ওভারে ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মারুফা, নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা সোবহানা মোস্তারী ৩৮ বলে ২টি চারে করেন ৩৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করা সাথি রানীও রানের চেয়ে বেশি বল খরচা করেন। ৩২ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৬ রানে আউট হন মুর্শিদা খাতুন, বাঁহাতি এই ব্যাটার ১৪ বলে একটি চারে ১২ রান করেন। প্রথম উইকেট হারানোর পর ৪৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন দলের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা সাথি ও সোবহানা। এরপর সেভাবে আর জুটি গড়ে ওঠেনি, কেউ সেভাবে রানও করতে পারেননি। এক বল খেলা তাজ নেহার রান আউটে কাটা পড়েন, রানের খাতা খোলা হয়নি তার।
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হওয়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ১৮ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন। শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তোলেন ফাহিমা খাতুন, ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৫ বলে ২ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন। স্কটল্যান্ডের সাসকিয়া হর্লে ২ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ক্যাথরিন ব্রাইস, অলিভিয়া বেল ও ক্যাথরিন ফ্রেজার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন বিরাট কোহলি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এক নক্ষত্রের নাম। নক্ষত্রেরও একদিন থেমে যেতে হয়। সাকিবও থামছেন। ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও, চেয়েছেন দেশের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে টেস্টকে বিদায় বলতে। দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে যা অনেকটা অসম্ভব। সেই হিসেবে কানপুরে নিজের শেষ টেস্টটি খেলে ফেললেন সাকিব।
শেষ ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ভারতের চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ছিল বিরাট কোহলির উইকেট। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কোহলিকে বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশ অবশ্য জিততে পারেনি ম্যাচ। সাকিবের সম্ভাব্য শেষটা তাই হলো হারের তিক্ততায়।
ম্যাচ হারলেও খেলা শেষে সাকিবকে বেশ ফুরফুরে মেজাকে দেখা যায়। কানপুরে আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) উপহারও পেয়েছেন তিনি। তাকে ব্যাট উপহার দিয়েছেন কোহলি। এমআরএফ কোম্পানির ব্যাট ব্যবহার করেন কোহলি। নিজ হাতে সাকিবকে ব্যাট দেন কোহলি। বিদায়ী উপহার দেওয়ার সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে জড়িয়ে ধরেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংসে সাকিব নিয়েছেন চার উইকেট। যার সবগুলোই প্রথম ইনিংসে। ব্যাট হাতে হতাশই করেছেন তিনি। লম্বা সময় ধরেই ব্যাটে রান নেই তার। কানপুরেও পারেননি ভালো করতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতাই।
এমআই