পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি থেকে রোডম্যাপ চায় বিনিয়োগকারীরা
দেশের অস্থিতিশীল শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিএসইসি ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে শাখওয়াত হোসেন বলেন, আমরা বিএসইসিকে বাধা দিতে নয়, বরং সহযোগিতা করতে চাই। আমরা এসেছি পুঁজিবারকে একটা দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রাকচারে দাঁড় করানোর জন্য। তবে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসিনি। তবে এ মুহূর্তে আমরা পুঁজিবাজারের স্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই।
তিনি বলেন, আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত আমরা বিএসইসিকে হোমওয়ার্ক করার জন্য সময় দিতে চাই। ওই সময়ের মধ্যে তারা কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে, সেই ‘রোডম্যাপ’ নির্ধারণ করবে। এরপর আমাদের জানাবে। এটি স্বল্পমেয়াদী (এক মাস), মধ্যমেয়াদী (তিন থেকে ছয় মাস) ও দীর্ঘ মেয়াদী (এক থেকে পাঁচ বছর) হতে পারে। তাতে বিনিয়োগকারীদের ঘরে বসে অন্ধকারে দিন কাটাতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পরিষ্কার- একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার। কোন কোম্পানির পরিচালকদের কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ ধারণ এবং আয় অনুপাতে যৌক্তিক লভ্যাংশ বিতরণ নিয়ে আমরা নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছি।
নিজেদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আমাদের আন্দোলন খুব জোরালো হয়েছিল। এরপর একটি গ্রুপ খুব সকালে এসে লিখিতভাবে জানিয়ে গেছে যে, আমরা না-কি আন্দোলন স্থগিত করেছি। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা আন্দোলন স্থগিত করিনি। আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করব না। আমরা বর্তমানে শেয়াবাজারের স্বার্থে বিএসইসিকে সময় দিতে চাই।
পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এ বিনিয়োগকারী জানান, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য আমরা বিএসইসিকে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দিতে চাই। যদি এটাতেও তারা ব্যর্থ হয়, তবে আমরা কোন বিশৃঙ্খলা করবো না। শুধু বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণের প্রতীক হিসেবে আমরা বিএসইসির দেয়াল লাল রঙ দিয়ে রাঙিয়ে যাবো।
এর আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে বিএসইসির সামনে চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে একদফা দাবিতে এবার মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জিপিএইচ ইস্পাতের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৫৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) মূল্য হয়েছে ৫২ টাকা ৪৩ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ নভেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কারে যে ১৮ কার্যপরিধি খতিয়ে দেখবে টাস্কফোর্স কমিটি
দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের আন্তর্জাতিক মানের সুপারিশ অর্জনের লক্ষ্যে বাজার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, পেশাদার হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজারের প্রধান প্রধান দিকগুলো বিশ্লেষণ, প্রয়োজনীয় সংস্কার, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএসইসি থেকে পাঠানো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ ১৮টি। তবে পরে আরও কোনো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে টাস্কফোর্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্যপরিধি বাড়াতে পারবে বিএসইসি। টাস্কফোর্সকে তাদের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে যৌক্তিক সময়ে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশ বিএসইসিতে জমা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
যে ১৮ কার্যপরিধি খতিয়ে দেখবে টাস্কফোর্স কমিটি
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের আকার তথা ‘জিডিপি ও বাজার মূলধন’-এর অনুপাত কম হওয়ার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের জন্য সরকারের আর্থিক খাতের নীতি প্রণয়নের প্রস্তাবনা।
দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের জন্য সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিশনের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুঁজিবাজারের সুশাসন উন্নীতকরণের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা ও সমাধানের সুপারিশমালা প্রণয়ণ।
বিএসইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, অভ্যন্তরীণ সুশাসন, অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে প্রযুক্তি ও অটোমেশনের প্রয়োগ, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামোর সুপারিশ, মানব সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কমিশনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, সেমিনার, কর্মশালায় অংশগ্রহণসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।
ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএল-এর তদারকি কার্যক্রম বিশ্বমানে উন্নীতকরণসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যুগোপযোগীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন;
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট অফারের মাধ্যমে ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ ইস্যু সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইস্যু অফ ক্যাপিটাল) রুলস, ২০০১ যুগোপযোগীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, কর্পোরেট ডিজক্লোজার, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সঠিকতা নিশ্চিতকরণ-সহ কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং বাজারের গভীরতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন।
ডেট ও ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ ইস্যুর আবেদনের ক্ষেত্রে দাখিলকৃত তথ্য-উপাত্ত, দলিল-দস্তাবেজ, সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে প্রস্তুতকারী পক্ষসমূহ যেমন: ইস্যুয়ার কোম্পানি, ইস্যু ম্যানেজার ও আন্ডার রাইটার (মার্চেন্ট ব্যাংকার), ভেল্যুয়ার এবং অডিটরসহ অন্যান্য পক্ষসমূহের দায়দায়িত্ব ও সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন।
বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এতদসংশ্লিষ্ট বিধিমালা যেমনঃ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) বিধিমালা, ১৯৯৬, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-সহ
সংশ্লিষ্ট বিধিমালা যুগোপযোগীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন।
ডেট ও ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ ইস্যু সংক্রান্ত বিধি-বিধানের যেমনঃ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (রাইট ইস্যু) রুলস, ২০০৬, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ডেট সিকিউরিটিজ), রুলস ২০২১, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইনভেস্টমেন্ট সুকুক), রুলস ২০১৯, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সম্পদ ভিত্তিক সিকিউরিটি ইস্যু) বিধিমালা, ২০০৪-সহ সংশ্লিষ্ট বিধিমালা যুগোপযোগীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ ও সমন্বয় এর গাইডলাইন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন।
বাজারে কারসাজি, সুবিধাভোগী ব্যবসায় লেনদেন ও অন্যান্য অনিয়মের বিচার ও জরিমানায় সমতা আনয়নের জন্য বিদ্যমান আইনের শান্তির ধারার অধীনে একটি সুনির্দিষ্ট পেনাল কোড বা শান্তির বিধিমালা প্রণয়ন করা।
মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ যুগোপযোগীকরণ-সহ, বিদ্যমান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও বিজনেস ইন্টেলিজেন্স মডিউল সমৃদ্ধ বিশ্বমানের অনলাইন ও অফলাইন সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম বা বাজার তদারকি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিরুপণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়ন।
বর্তমান বাজার কাঠামো-এর মূল্যায়ন, বাজারের গভীরতা, তারল্য ও পণ্য বৈচিত্র্য-কে বিবেচনাপূর্বক দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কিভাবে আরো আকৃষ্ট করা যায় সেই কৌশল প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান।
পুঁজিবাজারের কার্যক্রমে অটোমেশন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সুশাসন এবং বিনিযোগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও উন্নয়ন এবং পুঁজিবাজার উপযোগী ফিনটেক টেকনোলজি প্রচলন এবং পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত সংবেদনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর (বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইডিআরএ, এমআরএ, এনবিআর, আরজেএসসি ইত্যাদি) সাথে সমন্বয় সাধনের উপায় নির্ধারণে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOP) বা নির্দেশিকা প্রণয়ন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির সাথে অতালিকাভুক্ত কোম্পানি বা তালিকাভুক্ত কোম্পানির মার্জার, অ্যামালগামেশন, একুইজেশন এর মাধ্যমে কোন শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে এতদসংক্রান্ত স্কীম অনুমোদনের পূর্বে বিএসইসি হতে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়ন।
এছাড়াও টাস্কফোর্সের সাথে আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সমন্বয়, সংযোজন করা যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কারে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন
দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএসইসি থেকে পাঠানো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
বিএসইসি জানায়, দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের আন্তর্জাতিক মানের সুপারিশ অর্জনের লক্ষ্যে বাজার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, পুঁজিবাজারের অংশীজনদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংগঠন (ডিবিএ, বিএমবিএ, এসিআরএবি, বিএপিএলসি), অর্থনীতিবিদ, পেশাদার (চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি প্রভৃতি) বিনিয়োগকারী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজারের প্রধান প্রধান দিকগুলো বিশ্লেষণ, প্রয়োজনীয় সংস্কার, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়, দক্ষ পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, নিরীক্ষক, প্রযুক্তিবিদ ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কাজের অভিজ্ঞ সদস্যদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হল। পরবর্তীতে কমিশন টাস্কফোর্সের আকার ও পরিধি চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবে। টাস্কফোর্সের অধীনে গঠিত ফোকাস গ্রুপে পুঁজিবাজারের বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিরা, বাজার মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষ পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ ১৮টি। তবে টাস্কফোর্সকে তাদের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যৌক্তিক সময়ে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশ বিএসইসিতে জমা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ২০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার ৬২ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৭ অক্টোবর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি অগ্নি সিস্টেমসের ১১ কোটি ৮৯ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিকন ফার্মার ২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড সমাপ্ত হিসাববছরের ইউনিট হোল্ডারদের কাছে নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ফন্ডটি।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত সময়ের জন্য রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।
এসএম