কর্পোরেট সংবাদ
আইসিএসবি অ্যাওয়ার্ড পেল এডিএন টেলিকম

কর্পোরেট সুশাসনের জন্য একাদশ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এডিএন টেলিকম। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইসিএসবির সিলভার অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করে কোম্পানিটি।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনরি হিলটন ও কোম্পানির সেক্রেটারি মো. মনির হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি ক্যাটাগরিতে এডিএন টেলিকম লিমিটেড সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিক্রয় প্রতিনিধির পরিবারকে নগদের আর্থিক সহায়তা

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নড়াইল অঞ্চলের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি (ডিএসও) সেন্টু হাওলাদারের পরিবারকে সাড়ে তিন লাখ টাকার জীবন বীমার চেক হস্তান্তর করেছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
রোববার (২০ জুলাই) বীমা প্রতিষ্ঠান ওয়াদা ইনশিওরের প্রধান কার্যালয়ে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
বিক্রয় প্রতিনিধিরা নগদের সরাসরি কর্মী না; তারা বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা বিপণন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিযুক্ত। তারপরেও নগদ মনে করে পরোক্ষকর্মী হলেও এই দায়িত্ব নগদের ওপরেও বর্তায়। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নগদ সব সময় এই কর্মীদের পাশে থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত প্রশাসক মুতাসিম বিল্লাহ ও ওয়াদা ইনশিওরের এসোসিয়েট ডিরেক্টর এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) এসকে খালিদুজ্জামান। ওয়াদা ইনশিওর ইনস্যুরেন্সের পার্টনার চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আসিফ শামস অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, চিফ কমার্সিয়াল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূইয়াসহ ওয়াদা ইনশিওর এবং চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চেক হস্তান্তরের সময় নগদের প্রশাসক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বিক্রয় প্রতিনিধিরাই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসেবার মূল চালিকা শক্তি। তারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাদের ঝুঁকির বিবেচনায় আর্থিক সহায়তার অঙ্ক খুবই সামান্য। আমরা সহায়তার এই অঙ্ক বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্ঘটনাকবলিত প্রতিটি কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নগদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
চেক হাতে পেয়ে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “দুর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যাওয়াতে আমার যা ক্ষতি হয়েছে সেটা অপূরণীয়। তারপরেও নগদ যে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি নগদের সাফল্য কমনা করি।”
সুমাইয়া আরো বলেন, “আমাদের একমাত্র ছেলেটাকে নিয়েই এখন আমার যত চিন্তা। আমার স্বামীর অফিস থেকে যখন ফোন দিয়ে জানায় যে তারা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমি অবাক হয়ে যাই। আজ সেই চেক দিল। আমাদের এমন বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য নগদকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া এই এককালীন আর্থিক সতায়তার বাইরেও নড়াইলে নগদের বিপণন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়াহিদুজ্জামান, সেন্টু হাওলাদার মারা যাওয়ার পর থেকে প্রতিমাসে তার পরিবারকে দুই হাজার টাকা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (এক বছর) সহায়তা প্রদান করবে। তাছাড়া সেন্টু হাওলাদারের শিশুপুত্রের বয়স দশ বছর হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর চার হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও অব্যাহত রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।
নগদের কাছে প্রতিটি বিক্রয় প্রতিনিধি ও তার পরিবার সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই সামনের দিন গুলোতেও একইভাবে তাদের এমন সহায়তা কার্যক্রম চালু রেখে পাশে থাকতে চায় নগদ।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সাভারের বিসিডিএমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পর্যালোচনা সভায় ইউসিবির ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কৌশলগত অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভার মূল আকর্ষণ ছিল ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক অসাধারণ অর্জন—২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউসিবি নিট আমানত বৃদ্ধি করেছে ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত বাজেট (৫১০০ কোটি) ও লক্ষ্যমাত্রা (৬০০০ কোটি) উভয়কেই উল্লেখযোগ্য ভাবে ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতে, এই অর্জন ব্যাংকের কর্মদক্ষতা এবং গ্রাহকদের অবিচল আস্থার ফলাফল। ইউসিবি বর্তমানে দেশের অন্যতম স্থিতিশীল ও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ঝুঁকিহীন এবং টেকসই ঋণ বিতরণে জোর দেওয়া; অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল গ্রহণ করা; প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানো, যাতে গ্রাহকরা দ্রুত ও নিরাপদ সেবা পান এবং অমানতের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখা: আমানত বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন কৌশল ও পণ্য চালু করা।
বর্তমানে ইউসিবির ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগের বছরের সেপ্টেম্বর (৯২ দশমিক ৫%) ও ডিসেম্বর (৯১ দশমিক ৩%) এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত। যেখানে অনেক ব্যাংক অতিরিক্ত ঋণ বিতরণের ফলে তারল্য সংকটে ভুগছে, ইউসিবি সেখানে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে।
সভা শেষে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এই ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা ইউসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আস্থা ও কর্মীদের দক্ষতায় ইউসিবি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এমএফএসের অপব্যবহার রোধে সচেতনতা বাড়াতে বিকাশের সমন্বয় কর্মশালা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যবহার প্রতিরোধে দেশজুড়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে বিকাশ। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে অনুষ্ঠিত কর্মশালাগুলোতে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার তদন্ত কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি, স্থানীয় একটি হোটেলে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ এর সাথে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৫০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশ এর রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান এবং বিকাশের পক্ষ থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিকাশের উপদেষ্টা ড. মো. নজিবুর রহমান এনডিসি এবং বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.)।
অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশের কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়-এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গত ৩ মাসে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় অনুষ্ঠিত হয় “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালা। ৭টি জেলার ৪০০ জন তদন্ত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সাস্টেইনেবিলিটি রেটিংয়ে আইপিডিসির শীর্ষস্থান অর্জন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবিলিটি রেটিং ২০২৪-এ সেরা সাস্টেইনেবল আর্থিক কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এর মাধ্যমে, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান সুদৃঢ় করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন, গ্রিন রিফাইন্যান্স উদ্যোগ, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি, সিএসআর কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি। এসব সূচকে আইপিডিসির অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এই অর্জন প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। আর্থিক খাতে টেকসই সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য তাদের দিকনির্দেশনা, নেতৃত্ব এবং অটুট প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র জাতীয় ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাবও সৃষ্টি করছে। আইপিডিসির জন্য টেকসইতা কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের ব্যবসার মূলভিত্তির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত, যা আমাদের চিন্তাভাবনা, কার্যক্রম ও অংশীজনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলছে। আমরা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ও টেকসই মূল্য সৃষ্টির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রেখে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই স্বীকৃতি আইপিডিসির সুদূরদর্শী ও সুপরিকল্পিত কৌশলের উজ্জ্বল প্রতিফলন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ও টেকসই অর্থায়নের বিস্তৃত কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে আরও সবুজ, স্থিতিশীল ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলার শক্ত ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই নীতিমালাকে ব্যবসার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত করে আইপিডিসি এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আইপিডিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিএমএসএমই খাতের বিকাশ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, নারী উদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ের ক্ষমতায়ন, মূলধনের সুসংহত কাঠামো নিশ্চিতকরণ এবং দায়িত্বশীল ও টেকসই ঋণ প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে, যেন দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
চলতি বছরের সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে ১০টি ব্যাংক এবং ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে আইপিডিসি তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে।
এই অর্জন বাংলাদেশের আর্থিক খাতের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অবিচল প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকার নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে চালু হলো ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ ব্রাঞ্চ

নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন একটি শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় এর ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিধি ও বিস্তৃতি আরও বাড়িয়েছে। এটি ব্যাংকের প্রথম ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ শাখা, যেখানে গ্রাহকরা প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন।
ব্যাংকিং সার্ভিসকে দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে শাখাটিকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের মধ্যে আছে চেক ও কার্ডের নিরাপদ সংগ্রহের জন্য একটি ২৪/৭ ডিজিটাল ডেলিভারি সিস্টেম ডিজি বক্স, নির্বিঘ্নে স্থানান্তরের জন্য একটি সহজ ডিজিটাল ফাইল-শেয়ারিং সেবা।
গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে শাখাটি কিউআর কোডের একটি ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে, যা গ্রাহকদের অভিযোগ করার ও পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা দেয়। গ্রাহকদের জন্য আছে কিউ ম্যানেজমেন্ট সলিউশন। ডিজিটাল অ্যাম্বাসেডরের তত্ত্বাবধানে একটি ডিজিটাল কর্নার, যা গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিস সম্পর্কে জানতে ও হাতেনাতে ব্যবহার করতে সহায়তা করে। এর ফলে গ্রাহকরা সহজে আস্থা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নতুন শাখাটি উদ্বোধন ব্র্যাক ব্যাংকের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা বৈচিত্র্যময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। শাখাটিতে এক্সক্লুসিভ প্রিমিয়াম লাউঞ্জ এবং লকার সুবিধাও আছে, যা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে শাখাটি উদ্বোধন করেন। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ; ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক ও ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “দেশের প্রতিটি এলাকার গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা সারাদেশে আমাদের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছি। বড় পরিসর এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং-সক্ষম ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২৮৫টি শাখা ও উপ-শাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক-সমৃদ্ধ ব্যাংক।