রাজনীতি
বিরাজনীতিকরণ দেখতে চাই না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিচ্ছি, সময় দেবো। কিন্তু কতদিন? আমরা সেই পর্যন্ত সময় দেবো, যতদিনে যৌক্তিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে।
তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ দেখতে চাই না। মাইনাস টু দেখতে চাই না। জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। সাময়িক বিজয় হয়েছে, যা ধরে রাখতে হলে সুসংহত থাকতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এখন দলে দলে বেরিয়ে আসছেন। নানা দাবি নিয়ে আসছেন। আর আগে জমি বিক্রি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের কাছে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন। দেশ পরিবর্তন না করতে পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় যেন না ভাসি, না, ক্ষমতায় আসেনি। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নানা চক্রান্তের বেড়াজালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে মন্তব্য করেন তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পরও দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা। যে দলটি গণতন্ত্রের পুরোধা বলে দাবি করেছিল, সেই দলটির কারণে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। পতিত সরকার দেশে বৈষম্যের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ৩১ দফায় আমরা সব সমস্যা ও সমাধানের কথা বলছি।
দুর্নীতির ভূত দূর করতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, না হলে কোনো কিছুই করতে পারবে না। আমরা ব্যর্থ হয়নি, আগেও জয়ী হয়েছি, এবারও জয়ী হবো।
কাফি

রাজনীতি
গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ক্ষমতা লাভ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভায়’ তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জনগণের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদরাও একইভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও, ১৬ তারিখের পর তা কেবল কোটায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং সেই সময়েই দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল যে, মাফিয়া সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার। এই বিশ্বাস থেকেই সকল গণতান্ত্রিক দল একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল এবং এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে আন্দোলন কোনো একক দলের পরিচয়ে পরিচিত না হয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকেই কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করে আসছেন। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদরা জাতির গৌরব। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান জানানো সম্ভব। আর এই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রথম ও প্রধান শর্তই হলো ‘জনগণের সরকার’ প্রতিষ্ঠা। এর জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা জরুরি, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।
রাজনীতি
জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান-কে দেখতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে যান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৫টার পর বক্তব্য শুরু করেন জামায়াত আমির। ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রথমবার অসুস্থ হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর মঞ্চের অন্য নেতাদের সহযোগিতায় তিনি উঠে দাঁড়ান। এ সময় নেতারা তাকে ধরে রাখেন এবং কেউ কেউ তার খোলা মাথায় বাতাস করেন। ৫টা ২৩ মিনিটে তিনি আবার বক্তব্য শুরু করেন। এক মিনিট বক্তব্য না দিতেই ফের অসুস্থ বোধ করলে ক্ষণিকের জন্য বক্তৃতা বন্ধ করেন। এরপর ডান হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেন এবং তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় অন্য নেতারা চারপাশ থেকে তাকে ধরে বসিয়ে দেন। বসা অবস্থাতেই তিনি বক্তৃতা চালিয়ে যান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন, তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না। সুতরাং এটা নিয়ে আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।”
তিনি আল্লাহ যাতে তাকে শহীদি মৃত্যু দেন, সেই কামনা করেন। এরপর ‘আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে জামায়াত আমির তার বক্তৃতা শেষ করেন।
রাজনীতি
আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে: ডা. শফিক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলব আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ। একটা লড়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।”
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই দুর্নীতির মূল উৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্র করে সেই লড়াইয়েও ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করব।”
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে, তার প্রমাণ কী? সবাইকে নিয়েই তা গড়ে তুলব। আমরা কথা দিচ্ছি, মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় জামায়াতের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বসেই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এবং বলেন, “আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না আমি। সুতরাং এটা আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।”
শাসনক্ষমতায় গেলে কী করবেন, তা জানিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাআল্লাহ।”
ঘোষণা দিয়ে আমিরে জামায়াত বলেন, “আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, লাখো জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবেন, কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী সরকার থেকে কোনো প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না, নিজেদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য যে বরাদ্দ পাবেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের কাছে হিসাবের প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।”
এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, “চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।”
রাজনীতি
বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থবোধ, মঞ্চে বসে বক্তব্য শেষ করলেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অসুস্থবোধ করায় দুবার মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তিনি মঞ্চে বসেই তার বক্তব্য শেষ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আবু সাঈদরা বুক পেতে না দিলে এই বাংলাদেশ আমরা দেখতাম না। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, আমরা যেন তাদেরকে অবজ্ঞা না করি।”
জামায়াতের এই মহাসমাবেশে অংশ নিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন। দলটির পক্ষ থেকে দেশের ডান ও ধর্মভিত্তিক ঘরানার একাধিক রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি দল সমাবেশে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
রাজনীতি
নতুন সংবিধান লাগবে, জামায়াতের সমাবেশে সারজিস আলম

আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে। গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। নারীদের অধিকার ও সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
সারজিস বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে আমরা আরেক বছরে এসে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদীদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। গোপালগঞ্জে মুজিববাদীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। মুজিববাদের সদস্যরা এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয়। এই মুজিববাদ একটি আদর্শ। শুধু আইনিভাবেই মুজিববাদের মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেই মুজিববাদের কোমর ভেঙে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু স্বৈরাচারের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সব শক্তি একসঙ্গে থাকতে হবে। এই বাংলাদেশে আবার নতুন করে মুজিববাদী ভারতপন্থি শক্তিগুলো এখন সক্রিয় হচ্ছে। আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে তবে এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থি ব্যতীত অন্য কোনো পন্থির জায়গা হবে না। এই বাংলাদেশে আর কোনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের জায়গা হতে দেওয়া যাবে না। অন্য যে কোনো দেশের নামে বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, জুলাই-আগস্টের ৫ তারিখ আমাদের যে স্বপ্ন ছিল আরেক ৫ আগস্ট আসতে চলেছে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সুশীল সরকারের ভূমিকায় চাই না। এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচারের রায় হতেই হবে।
সারজিস বলেন, এই বাংলাদেশের বিচার বিভাগে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে আমরা দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামদের বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই না। কেউ চাঁদাবাজি করলে আমরা সেটা মুখের ওপর বলবো। কিন্তু স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ থাকবো।