জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।
কাফি

জাতীয়
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ

কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। পরিদর্শন শেষে এজাজ জানান, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ভোর থেকেই রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে।
এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় লাবিবা ক্লাসিক লিমিটেড পরিবহন কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় সড়ক পরিবহন আইনের ৮০ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাফি
জাতীয়
কালুরঘাট সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর ওপরে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে প্রাথমিকভাবে চার রেলকর্মীকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া রেলকর্মীরা হলেন দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট ট্রেনের গার্ড সোহেল রানা (হেড কোয়ার্টার, চট্টগ্রাম), লোকোমাস্টার গোলাম রসুল (টি নম্বর-৫৩০), সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ (টি নম্বর-৭২৩) এবং অস্থায়ী গেটকিপার মাহবুব (টিএলআর)।
গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমই (লোকো), ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-১ ও বিভাগীয় চিকিৎসক (পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম)। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঠিক তখনই কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতুর দিকে এগিয়ে আসে। নিয়ম অনুযায়ী, লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে ট্রেন সেতুতে ওঠার কথা থাকলেও লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) তা মানেননি। ফলে সেতুর ওপর থাকা কয়েকটি অটোরিকশা, একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রেনের ধাক্কায়।
কাফি
জাতীয়
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার যানজট

শেষ সময়ে নারীর টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে মানুষ ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এ মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে করে গন্তব্য যাচ্ছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতুর ওপর গাড়ি বিকলসহ বিভিন্ন কারণে বুধবার (৪ জুন) ভোর ৪টা থেকে মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট সারাদিন পেরিয়েও সারারাত অব্যাহত থাক। সবশেষ শুক্রবারও (৬ জুন) মহাসড়কে যানজট দেখা যায়।
পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা জানান, ২ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৬-৮ ঘণ্টা। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে এই ভোগান্তি। অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যানগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ঈদযাত্রায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যানজট নিরসন আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।
জাতীয়
১৬ দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

লিখিত আশ্বাসে ১৬ দিন আন্দোলনের পর মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রতিশ্রুত ও জারিকৃত দপ্তর আদেশে পল্লী বিদ্যুতের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাসে এবং আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক ভোগান্তির বিষয় বিবেচনায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
এ সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মো. সোলায়মান, ফারজানা খানম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, নিয়াজ মোরশেদ, আবু আব্দুল্লাহ সজীব ওয়াফিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ভয়ে কাজে যোগদান করার জন্য বলেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।
সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল পক্ষের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
সীমান্তে চামড়া ও গরু চোরাচালান রোধে বিজিবির কড়া নজরদারি

ঈদুল আজহাকে ঘিরে সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু চোরাচালান ও কুরবানির চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় ৪২ বিজিবির মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান।
তিনি বলেন, “দেশে কুরবানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু মজুদ রয়েছে। দেশীয় খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সীমান্ত দিয়ে বিদেশি গরুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। একইসঙ্গে কুরবানির চামড়া পাচার প্রতিরোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছে।”
তিনি জানান, চলতি সময়ে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশ ইন করা হয়েছে মোট ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ৪২ ও দিনাজপুর জেলার ১৫ জন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে বিজিবি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পুশ ইন রোধে সীমান্তে নজরদারি, টহল ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান অধিনায়ক। তিনি বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশ ইন করায় বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে পতাকা বৈঠকসহ লিখিত ও মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সীমান্ত এলাকার শান্তি, নিরাপত্তা ও অপরাধমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা অপরিহার্য। কোনো ধরনের সন্দেহজনক ব্যক্তি বা তৎপরতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে অবহিত করতে হবে।”
কাফি