জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আমরা মাঠে আছি, নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন: সেনাপ্রধান
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার- উজ-জামান বলেছেন, সবাই নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সবাই যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবেন। সেজন্য যা কিছু করতে হয় তা আমরা করবো। আমরা মাঠে আছি। আপনারা নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন, পূজা করবেন।
তিনি বলেন, আপনাদের কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই, সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে, আমি বিশেষভাবে বলে দিয়েছি।
এ সময় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সভাপতিসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে ইলিশ সম্পদ: মৎস্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে হবে দেশের মানুষকে সচেতন করে মাছ ধরা থেকে বিরত রেখে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে অনুষ্ঠিত সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সকলকে শরীয়তপুরের পদ্মার অভয় আশ্রমে মাছ ধরা থেকে এবং ইলিশ বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি সুরেশ্বর মাছ ঘাটকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহয়ের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর জেলে ও জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শরীয়তপুরের জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম মন্ত্রণালয়
চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
২০২৫ সালে হজে যেতে এক মাসে প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন ১ হাজার ৮৭ জন হজযাত্রী। গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমে হজে যেতে এ নিবন্ধন চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ৬৩৪ জন ও বেসরকারি মাধ্যমে ৪৫৫ জনসহ মোট এক হাজার ৮৭ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, সচিব এবং হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বর্তমানে সৌদি সফরে রয়েছেন। তারা সেখানে আগামী বছর হজে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া এবং সৌদি প্রান্তের খরচের বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। সৌদি হজ মন্ত্রীর সঙ্গে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন একটি বৈঠকও করবেন। উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি আগামী ৭ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরবে। এরপর চলতি মাসের শেষ নাগাদ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈরী আবহাওয়ায় ৬ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
উপকূলীয় অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢাকা থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬ রুটে নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শনিবার এ নির্দেশনা দেয়।
সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা নৌ-রুটগুলো হলো- ঢাকা টু হাতিয়া (নোয়াখালী), ঢাকা টু বেতুয়া (ভোলা), ঢাকা টু খেপুপাড়া (পটুয়াখালী), ঢাকা টু চরমন্তাজ (পটুয়াখালী), ঢাকা টু রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) ও ঢাকা টু মনপুরা (ভোলা)।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া, সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি এবং উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে প্রচণ্ড রোলিং থাকার কারণে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা টু হাতিয়া, ঢাকা টু বেতুয়া, ঢাকা টু খেপুপাড়া, ঢাকা টু চরমন্তাজ, ঢাকা টু রাঙ্গাবালী, ঢাকা টু মনপুরাগামী উপকূলীয় অঞ্চলের নৌ পথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আট মাসে বজ্রপাতে ২৯৭ জনের মৃত্যু
দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মোট ২৯৭ প্রাণহানি ঘটেছে। আর এই আট মাসে আহত হয়েছে ৭৩ জন। নিহতদের মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ। আর আট মাসের মধ্যে মে মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেভ দ্যা সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডে সংগঠনটির কার্যালয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে ২৯৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন। নিহতদের মধ্যে ১১ শিশু, ৫৫ জন নারী রয়েছে। নারীর মধ্যে ৬ জন কিশোরী। মোট মৃত্যুর মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ। পুরুষের মধ্যে কিশোর ১৭ জন।
সংগঠনটির তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারিতে বজ্রপাতে মারা গেছে একজন। মার্চ মাসে মারা হয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও একজন নারী। মার্চে আহত হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে ৬ জনই পুরুষ। এপ্রিল মাসে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১১ নারী, এক শিশু এবং দুইজন কিশোরী রয়েছে। এপ্রিলে আহত হয়েছেন একজন পুরুষ।
মে মাসে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৭৯ জন, নারী ১৭, শিশু ২ এবং কিশোর ২ ও কিশোরী একজন। মে মাসে ২৮ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ২৩ ও নারী পাঁচজন। জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৬১ জন, নারী ১৬ জন, শিশু ৫, পুরুষের মধ্যে কিশোর রয়েছে ৭ জন। এ মাসে আহত হয়েছেন ১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ ও নারী ২ জন।
জুলাই মাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এর মধ্যে নারী ১ এবং ১৮ জন পুরুষ। আহত হয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে একজন নারী এবং ৯ জন পুরুষ রয়েছে।
আগস্টে বজ্রপাতে মোট ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন নারী ও ১৪ জন পুরুষ। এর মধ্যে ১ শিশু, ১ কিশোর ও ১ কিশোরী। এছাড়া এ মাসে আহত হয়েছেন দুইজন পুরুষ।
সেপ্টেম্বর মাসে বজ্রপাতে মোট ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৬ নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ২ শিশু রয়েছে। পুরুষের মধ্যে ৪ জন কিশোর ও নারীর মধ্যে ২ কিশোরী রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে ১০ পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছে।
কোন জেলায় কত নিহত?
এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৩ জন মারা গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এছাড়া ফেনীতে ১২, কক্সবাজারে ১০, জয়পুরহাটে ১৩, হবিগঞ্জে ১৩ এবং গাইবান্ধায় ১০ জন মারা গেছেন। ধান কাটা, ঘাস কাটা, গরু আনা ও নানা কৃষিকাজের সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আট মাসে শুধু কৃষি কাজের সময় বজ্রপাতে ১৫২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গরু আনতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া মাছ ধরার সময় ৫২ জেলের মৃত্যু হয়েছে। আম কুড়ানোর সময় ১১ জন, ফাঁকা রাস্তায় চলাচলের সময় ১৫, ঘরে থাকাকালীন ২৭, পাথর উত্তোলনের সময় ৩, বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় ১৪ শিশু-কিশোর ও গাড়িতে থাকাকালীন একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কাফি