জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব হলেন সিরাজ উদ্দিন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ্য সচিব হিসেবে মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে (পরিচিতি নম্বর ১৩৮০) অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।
যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়।
এমআই

জাতীয়
লন্ডনে রাজনৈতিক সংলাপ: ইউনূস-তারেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

আসন্ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জুন সকালে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বৈঠকটির জন্য নির্ধারিত কোনো নির্দিষ্ট ফরমেট নেই। যেহেতু তারেক রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা, তাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও জানান, “দুই নেতার মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার ও জুলাই চার্টারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।”
এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে মনে করছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি হতে পারে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমঝোতার একটি বড় পদক্ষেপ।
এমএস
জাতীয়
রাজশাহীতে অবরোধ: আড়াই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলমুখী মানুষের ভ্রমণে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। তারা লাল কাপড় টাঙিয়ে ট্রেন থামিয়ে স্টেশন চত্বরে অবস্থান নেন এবং ‘স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি চাই’— এমন দাবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসসহ আরও কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। এতে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী যাত্রী নোমানুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পরিবার নিয়ে যশোর ফিরছিলাম। কিন্তু রাস্তায় আন্দোলনের কারণে শিশুসহ সবাইকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন সমর্থনযোগ্য নয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি— সিল্কসিটি, সাগরদাঁড়ি, বরেন্দ্র ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর যাত্রাবিরতি এবং শতবর্ষী নন্দনগাছী রেলস্টেশনের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার। জানা গেছে, ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেশনটিতে আগে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন পোর্টার কর্মরত আছেন এবং স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ।
এর আগে গত ১ মে একই দাবিতে চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলার মানুষ রেলপথ অবরোধ করেছিলেন। তখন রেল কর্তৃপক্ষ ১ জুনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বুধবার আবারো অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম জনি বলেন, তিন উপজেলার মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র এই স্টেশনটি। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এখন পরিত্যক্ত অবস্থা। অতীতেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এবারও আমাদের দাবির পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ সাহেবের মধ্যস্থতায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের ইশ্বরদী থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, ঈদের পরে ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করি।
এ বিষয়ে রেলপথের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ খান বলেন, ঈদের ছুটির পর যাত্রাকালীন সময়ে এমন আন্দোলন আত্মঘাতী। আমরা ছুটি ছাড়াই সেবা দিচ্ছি। আন্দোলনের পরিবর্তে অফিস খুললে আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে।এস
এমএস
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে সহায়তায় আগ্রহী কমনওয়েলথ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে এ আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে, আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, আগামী পাঁচ বছরে সংগঠনটির অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান। একইসঙ্গে তিনি বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিমাণ আগামী কয়েক বছরে কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে বোচওয়ে বলেন, “কমনওয়েলথের অনেক সদস্য দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি, যাদের মধ্যে অনেক দেশ আকারে ক্ষুদ্র। তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।”
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ক্রীড়ার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”
জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি মাসেই ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রামের আয়োজন করছে কমনওয়েলথ। তিনি জানান, সংগঠনটির ১.৫ বিলিয়ন তরুণ জনগণকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে তারা কাজ করছে এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
এমএস
জাতীয়
রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, স্থানীয়দের স্টপেজ দাবি

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি (স্টপেজ) এবং স্টেশন সংস্কারের দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়রা স্টেশনের দুই প্রান্তে লাল পতাকা দিয়ে রেলপথ অবরোধ করেন। এরপর লাইনের ওপর বসে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করেন।
এতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী সিল্কসিটি, বনলতা ও মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো স্টেশনের আশেপাশে আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী, বিশেষ করে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যাওয়া মানুষজন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, নন্দনগাছী স্টেশনে নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামাতে হবে। স্টেশনটি সংস্কার করে জনবল নিয়োগ দিতে হবে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও তারা ঘোষণা দেন।
তথ্য অনুযায়ী, ১৯২৯ সালে স্থাপিত এ স্টেশনটির কার্যক্রম ২০১৫ সালের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায়। একসময় যেখানে ১২ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কেবল একজন পোর্টার কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে কেবল দুইটি লোকাল ট্রেন এখানে থামে।
সাগরদাঁড়ি ট্রেনের গার্ড মজিবুদ দৌল্লা বলেন, “আমরা রওনা হওয়ার আগে এই বিক্ষোভের কোনো খবর জানতাম না। রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, “বিক্ষোভের কারণে বেশ কিছু ট্রেন আটকা পড়েছে। যতক্ষণ না আন্দোলন প্রত্যাহার হয়, ততক্ষণ রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ মে একই দাবিতে এলাকাবাসী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেইল ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
এমএস
জাতীয়
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ হাজি

পবিত্র হজ সম্পন্ন করে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ জন হাজি। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এসভি-৩৮০৩’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এসময় বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে হাজিদের স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি ফুল দিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটের হাজিদের বরণ করে নেন।
বিমানবন্দরে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আজ আরও সাতটি ফিরতি ফ্লাইটে আড়াই হাজারের বেশি হাজি দেশে ফিরবেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।
এ বছর হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সৌদি আরবে গেছেন। এরমধ্যে প্রথম হজ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ২৯ এপ্রিল। এরপর প্রায় এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রীদের বহন করে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। সর্বশেষ হজ ফ্লাইটটি যায় গত ১ জুন। পুরো এই সময়ে মোট ২২০টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।
জানা গেছে, এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় অংশ নেয় তিনটি এয়ারলাইনস। সেগুলো হচ্ছে —বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস। ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রেও এসব এয়ারলাইনস প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফিরতি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা। বেবিচক জানিয়েছে, এভসেক পুরো হজযাত্রী চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লাইট আগমনের পর আনসার সদস্যরা হাজিদের স্বাগত জানিয়ে সঠিক পথে গাইড করবেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের তত্ত্বাবধানে হাজিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে করে ভিড় এড়ানো এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। লাগেজ বেল্ট ৫, ৬, ৭ ও ৮ শুধুমাত্র হাজিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আনসার সদস্যরা হাজিদের লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা করবেন। লাগেজ সংগ্রহ শেষে হাজিরা গ্রিন চ্যানেল-২ দিয়ে কাস্টমস পার হবেন। এরপর তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে জমজমের পানি সংগ্রহ করবেন এবং ক্যানোপি-২ দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
এ ছাড়া, এপিবিএন এর ব্যবস্থাপনায় হাজিদের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভওয়েতে যান চলাচল সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।